কলিগের বিদায়...
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে ভালো আছি। বরাবরের মতোন আজকেও নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
আজকে বেশ মন খারাপ নিয়েই পোস্ট টি লিখছি। আমাদের এক কলিগ এর আজ বিদায় দিলাম। মানে আমাদের অফিসে আজকেই তার অফিশিয়াল লাস্ট ডে ছিলো। উনার নাম- সুমিত আরিফিন। অফিসে আমি, সুমিত ভাই আর সাময়া আপু, আমাদের ৩ জনের জয়েনিং ছিলো একই দিনে৷ আমরা ৩ জন একই দিনেই ভাইভাও দিয়েছি। আমার বেশ মনে আছে, ভাইভার দিন সব মিলিয়ে আট জন ক্যান্ডিডেট ছিলাম আমরা। তার মধ্যে আমাদের ৩ জন (আমি, সুমিত ভাই আর সায়মা আপু) এর চাকরি কনফার্ম হয় এবং পরবর্তীতে একই দিনে আমরা জয়েন করি। সেখান থেকেও আমাদের ৩ জনের বন্ডিং টা বেশ ভালোই ছিলো। আর আমাদের অফিসটায় আসলে মানুষ খুব বেশি নেই। আমরা মোটে ৩০ জন হেড অফিসে সব ডিপার্টমেন্ট মিলিয়ে।তার উপর অধিকাংশই মার্কেটিং এর হওয়ায় বাইরে বাইরে ঘোরাঘুরিও হয় একসাথে। আমাদের অফিসে সবার মাঝেই বেশ অন্যরকম টীম বন্ডিং কাজ করে । আমরা একসাথে বেশ হাসি মজা করতে করতেই কাজ করি। সেখান থেকেই একজন যখন চলে যান, স্বাভাবিকভাবেই ভীষণ খারাপ লাগা কাজ করছে।
কথায় আছে, যার যেখানে যতদিন রিজিক, সেটা পূর্ব-নির্ধারিত। আর তাছাড়া ক্যারিয়ারে সবাই ই বেটার অপশন খুঁজে, এটাও স্বাভাবিক। আর কারোর কাছে বেটার অপরচুনিটি আসলে, মায়ায় পরে সেটাকে হাতছাড়া না করাই বুদ্ধিমানের কাজ। সেটাই মেনে নিয়ে আমরা আজকেও তাকে হাসিমুখেই বিদায় দেয়ার চেষ্টা করেছি।আর সামান্য কিছু ব্যবস্থা করেছি। উপরে তারই কিছু ছবি শেয়ার করলাম।
হয়তো সুমিত ভাই এর সাথে কাল থেকে আর দেখা হবে না। তার সিটটি আপাতত ফাঁকাই পরে থাকবে কিছুদিন। তারপর একদিন তার রিপ্লেসমেন্ট চলে আসবেন নতুন কেউ, এসে সেই সিটটি ফিলয়াপ করে দিবে। কর্পোরেট লাইফে এটি নতুন কিছু না, বরং যাওয়া-আসা চলতেই থাকে। সুমিত ভাইয়ের জন্য শুভকামনা জানিয়ে আজকের পোষ্ট এই পর্যন্তই শেষ করছি।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি। OR
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
আসলে আপু বিদায় যেভাবেই হোক অনেক কঠিন। সত্যি বলতে আপু যেতে নাহি দিব হায় তবু সে চলে যায়। আসলে যাওয়া আসা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সত্যি একসাথে অনেক দিন এভাবে কাজ করলে তার জন্য বিদায় বেলা একটু কষ্টই লাগে। ধন্যবাদ আপু পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বিদায় সবসময়ই কষ্টের এবং বেদনাদায়ক। তবুও কারোর না কারোর ভালোর জন্য কষ্ট নিয়েই হাসিমুখে বিদায় বলতে হয়... এটাই বোধ হয় নিয়ম।
আসলে কর্পোরেট লাইফ এ বেটার অপশন খুঁজে পেলে নির্দ্বিধায় চাকরি পরিবর্তন করা উচিত। আপনার কলিগ সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং আপনারাও তাকে সমর্থন করেছেন এটাই সব থেকে বড় বিষয়।
তবে বিদায় জিনিসটা সবসময়ই অনেক কষ্টের এবং আবেগ ঘন জায়গা। আপনারা হাসিমুখে প্রিয় কলিগকে বিদায় দিলেন এটা সত্যিই স্মৃতির পাতায় উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার অনুভূতিগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
বিদায় সবসময়ই বেদনাদায়ক । তবুও হয়তো কারোর ভালোর জন্য হাসিমুখেই বিদায় জানাতে হয়। এটাই নিয়ম।
ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি একটা জায়গায় কিছুদিন কাজ করলে সেখানকার মানুষের প্রতি মায়া ভালোবাসা কাজ করে সব সময়। যদিও আপনারা একই দিনে ভাইবা দিয়েছিলেন এবং একই দিনে জয়েনিং হয়েছিল যার কারণে আপনাদের মাঝে বন্ডিংটা অনেক বেশি ভাল ছিল। যাইহোক কর্পোরেট লাইফে এটা নতুন কিছু নয়, এটা আমাদের সবাইকে মেনে নিতে হবে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে কলিগের বিদায়ের কিছু মুহূর্ত তুলে ধরার জন্য।
একদম তাই। কর্পোরেট লাইফে এইটাই স্বাভাবিক। তবে বিদায়ের সময়েও ভালো সম্পর্ক বজায় রাখাটা হয়তো সবসময় হয় না কর্পোরেট লাইফে।
দিদি, আপনাদের ৩ জনের জয়েনিং একই দিনে হওয়া সত্ত্বেও একজনের এভাবে বিদায় নেওয়াটা ঠিক বোধগম্য হলো না।যাইহোক যাওয়া আসা থাকবেই,আর কারো সঙ্গে দীর্ঘদিন একত্রে কাজ করলে খারাপ লাগাটা স্বাভাবিক।অনুভূতিটা ভালো ছিল, ধন্যবাদ আপনাকে।
বেটার অপশন পেলে তো চলে যাবেই আপু। সুযোগ এলে সেটা হাতছাড়া করার তো কারণ নেই। আর প্রাইভেট সেক্টরে যাওয়া আসা চলতেই থাকে।
আচ্ছা, বুঝলাম।