গল্প// ভুল মানুষকে ভালোবাসার পরিনাম মৃত্যু(শেষ পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,শুভ রাত্রি
হ্যালো বন্ধুরা,আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
গত পর্বে বলেছিলাম রিমা তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে একমাস হোটেলে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর সময় যেতে থাকে। একমাস শেষ হওয়ার কিছুদিন আগে রিমা জানতে পারে সে কনসিভ করেছে। এরপর রিমা খুব চিন্তায় পড়ে যায়। এই কথা তার বয়ফ্রেন্ড কে বললে সে খুব রেগে যায়। এরপর দু'জনেই সিদ্ধান্ত নিলো তারা এই বাচ্চা পৃথিবীতে আনতে চায় না। তারপর তারা ডাক্তারের পরামর্শ মতো ঔষধ নিয়ে আসে। হোটেলে এসেই রিমা সাথে সাথে ঔষধ খেয়ে নেয়। ঔষধ খাওয়ার ১০ মিনিট পর রিমা বলছে আমার ভালো লাগছে না।
এরপর কিছু সময় যেতে না যেতেই রিমা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। কথায় বলে না,পাপ বাপকেও ছাড়ে না। তেমনি রিমার অবস্থাও হয়েছে। অতিরিক্ত পাপের শাস্তি সে এভাবে পেলো। বাচ্চা নষ্ট করতে গিয়ে বাচ্চার সাথে সেও মরে গেল। উপরওয়ালা রিমাকে উপযুক্ত শাস্তি দিয়ে দিয়েছেন। দু'জনের মধ্যে একজন তো কঠিন শাস্তি পেয়ে উপরে চলে গিয়েছে,বাকি রইল আরেকজন। রিমার বয়ফ্রেন্ড রিমার মৃত্যু দেখে ভয় পেয়ে যায়। এরপর রিমাকে হোটেলে রেখে চুপিচুপি সে পালিয়ে যায়।
রিমা যখন পালিয়ে এসে হোটেলে উঠেছিল তখন তার মায়ের সাথে ফোনে যোগাযোগ হতো। প্রতিদিনের মতো রিমার মা সেদিনও রিমা কে কল দেয়। কিন্তু কোনো রেসপন্স না পেয়ে টেনশনে পড়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরে হোটেলের লোকজনের মধ্যে যখন জানাজানি হয়ে যায় তখন রিমার মায়ের মোবাইলে কল আসলে তারা সবাই হোটেলে ছুটে যায়। এই নিয়ে পুলিশ কে ও জানানো হয়। কয়েক ঘন্টার মধ্যে পুলিশ রিমার বয়ফ্রেন্ড কে গ্ৰেফতার করে।
এভাবে দু'জনেই তাদের পাপের শাস্তি পায়। অন্যদিকে আসিফ রিমার মৃত্যুর খবর পেয়ে কষ্ট পেয়েছেন ঠিকই কিন্তু তারপরও নিজেকে সামলিয়ে নিয়েছে। কয়েক বছর পর আসিফ আবার বিয়ে করে এবং সুখে শান্তিতে জীবন কাটাতে থাকে। তারজন্য বলে, ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া যেমন উচিত নয় তেমনি বিয়ের পর আগের প্রেম চালিয়ে যাওয়া ও ঠিক নয়। এতে কখনও ভালো কিছু বয়ে আনে না বরং কিছু কিছু সময় নিজের মৃত্যুর ও ঝুঁকি থাকে।
আমাদের বাবা মা কখনও আমাদের জন্য খারাপ কিছু করবে না। কিন্তু অনেক সময় আমরা তা বুঝি না। তবে সময় চলে গেলে যখন বিপদে পড়ি তখন বাবা- মায়ের কথাই সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে। কিন্তু আমরা আবেগে সবসময় ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। যেই সিদ্ধান্ত আমাদের মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। মানুষের জীবনটা বড়ই অদ্ভুত,কার ভাগ্যে কি লেখা রয়েছে কেউ বলতে পারবে না। রিমার কিন্তু সুন্দর একটা সংসার হতে পারতো যদি না সে তার প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যেতো। তাহলে হয়তো এভাবে তার মৃত্যু হতো না। সত্যিই মানুষের জীবন নাটকের চেয়েও নাটকীয়।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।






Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power



https://x.com/TanjimaAkter16/status/1885007173270565041?t=XnVOR2p09ta3nUsdQp9Z1g&s=19
রিমার উপযুক্ত শাস্তি হয়েছে। আসলে আপু পাপে ছাড়ে না বাপেরে।আপনার গল্পের আগের পর্ব গুলো ও পড়েছিলাম। আজকের পর্ব পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু পাপ কখনও যেমন ঢাকা যায় না তেমনি কোন না কোনভাবে তার শাস্তি পাবে। ধন্যবাদ।
রিমা নিজের পাপের শাস্তি অনেক ভালোভাবেই পেয়েছে। আসলে মানুষ এই পৃথিবীতে এই পাপের শাস্তি পেয়ে যায় এটা ঠিক। রিমার নিজের জন্যই তার এখন এরকম অবস্থা হয়েছে। পৃথিবী ছেড়ে তাকে এক অল্প বয়সে চলে যেতে হয়েছে। অন্যদিকে তার মৃত্যুর পর তার বয়ফ্রেন্ডকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে দেখে ভালো লাগলো। খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে, গল্পটার শেষ পর্ব।
হ্যাঁ আপু রিমা ও তার বয়ফ্রেন্ড দু'জনেই তাদের পাপের শাস্তি পেয়েছে। ধন্যবাদ।
প্রতিটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মানুষকে বারবার ভালো লাগে। না হলে নিজের জীবনেই বেশি কিছু হয়ে যেতে পারে। যেমনটা রিমার জীবনে হয়েছে। তার একেবারেই উচিত হয়নি বিয়ের পরেও তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে সম্পর্ক রাখা। সেই সাথে আবার তাকে বিয়ে করার আগে একসাথে থাকা। সে তার পাপের ফল পেয়েছে। আবার তার বয়ফ্রেন্ডও পেয়েছে। ভালো লাগলো পুরো পোস্টটা
বিয়ের পরে বয়ফ্রেন্ডের সাথে যোগাযোগ রেখে রিমা বড্ড ভুল করেছে বলেই তার এই পরিণতি হয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
বেনিফিশিয়ারীতে ভুল করেছেন, ১০ এর জায়গায় ১% দেয়া হয়েছে। এই বিষয়ে আরো সতর্ক হওয়ার পরামর্শ রইল। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাইয়া ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য। আমি পরবর্তীতে খুব সতর্কতার সাথে বেনিফিশিয়ারী দেবো।
রিমা এবং তার বয়ফ্রেন্ডের উচিত শিক্ষা হয়েছে। আসলে কাউকে কষ্ট দিয়ে কেউ কখনো ভালো থাকতে পারে না। যাইহোক আসিফ পরবর্তীতে বিয়ে করে সুখের সংসার করছে, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। এতো চমৎকার একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাইয়া কাউকে কষ্ট দিয়ে কেউ ভালো থাকতে পারে না। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।