লাইফ স্টাইল পোস্ট - 🥰 " গিফট পেলাম "
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয়"আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।
আমি @shimulakter,"আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার।আমি ঢাকা থেকে আপনাদের মাঝে যুক্ত আছি।আমি প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয় নিয়ে ব্লগ শেয়ার করে থাকি।আমি বিশ্বাস করি আমার ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লাগে।আমি আমার প্রতিদিনের নানা রকম কর্মকান্ড থেকে কিছু কিছু বিষয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করে থাকি।আজ ও এসেছি এমন একটি বিষয় আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে।আশাকরি সঙ্গেই থাকবেন।
গিফট পেলামঃ
বন্ধুরা,আজ আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। প্রতিনিয়ত আমি চেষ্টা করি ভিন্ন ভিন্ন ব্লগ শেয়ার করার। আপনারা যারা আমার ব্লগ নিয়মিত পড়েন তারা জানেন আমি এখন বর্তমানে শ্বশুরবাড়িতে আছি।বাড়িতে এসেছি প্রায় ১০ দিনের মতো।ছেলের স্কুল খোলা তাই আম্মুর কাছে রেখে আসতে হয়েছে।যদিও ছেলেও আসবে একটি বিয়ের দাওয়াতে অংশ নিতে।স্কুল খোলা, তাই ছেলে হয়তো চলে যাবে এসে।আমি আর কিছু দিন থাকবো।আমি কেন থাকবো?? আসলে এটাও আমি কোন এক ব্লগে শেয়ার করেছিলাম।তবে আবার ও বলছি আমার দেবর দেশের বাইরে থেকে এসেছে বেশ কিছুদিন হলো।আর ওর কারনেই বাড়িতে আমি আর আমার ননদ এখন আছি।
আমার দেবর বেশকিছু দিন আগেই এসেছিল।ঢাকায় নেমে আমার বাসায় ই ছিল।ও বাড়িতে এলেও তখন আমি আসলে একসাথে আসতে পারিনি।ছেলের বই দেওয়া তখনও হয়নি।তাই তখন আসিনি।কিন্তু দেবর দেশে এসেই ভাইয়ের ছেলের জন্য চকলেট বের করেছিল।আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন আমার ছেলের চকলেট খুব প্রিয়।তাই চাচা কোন লাগেজ না খুললে ও ঢাকায় বসে চকলেটের লাগেজ খুলে চকলেট দিয়ে গিয়েছিল।সেই চকলেট আর গিফট নিয়েই কিছু অনুভূতি আজ শেয়ার করতে চলে এলাম।
গিফট পেতে কার না ভালো লাগে বলুন। আমিতো গিফট পেতে যেমন পছন্দ করি ঠিক তেমনি গিফট দিতেও পছন্দ করি খুব বেশি। সত্যি কথা বলতে গিফট দেয়া আর নেয়া এর মধ্যে দুজন মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা বৃদ্ধি পায়। তাই প্রতিটি মানুষের উচিত একে অপরের মাঝে গিফট আদান- প্রদান করা।এই যে দেখছেন চকলেট,মিমি এসব পেয়ে ছেলে মহা খুশী।অন্য কোন গিফট আর না পেলেও সমস্যা নেই তার।তবে ওর একটি সমস হলো চকলেট একসাথে বেশী খেয়ে ফেললে জ্বর এসে যায়।আমার কথা শুনে জানি আপনারা অবাক হয়েছেন।আমি বিস্তারিত বললে আসলে বুঝবেন চকলেটের সাথে জ্বর আসার কি সম্পর্ক।
চকলেট যদি একসাথে বেশী খেয়ে নেয় তখন ওর টনসিলে এফেক্ট হয়।আর এতে করে জ্বর এসে যায়। তাই ডাক্তার বলেছিলেন তুমি আইসক্রিম খাও তবুও চকলেট খেও না।কিন্তু বাচ্চারা কি আর এসব কথা শুনে।তাই ডাক্তার বলেছিলেন তুমি চকলেট যদিওবা খেয়ে নাও,তখন সাথে সাথে এক কাপ হাল্কা গরম পানি পান করে নেবে।কিন্তু বাচ্চা সুস্থ থাকা অবস্থায় এই কথা শুনতে নারাজ।তাই ছেলে এতো চকলেট পেয়ে নিজে বুঝতে পেরেছিল একসাথে এতো খাওয়া যাবে না।তবে এক সাথে এতো চকলেট পেয়ে খুশী হয়েছে এটাই যথেষ্ট। আমি কিছু চকলেট দিয়ে বাকি গুলো ফ্রিজে তুলে রেখেছিলাম।
দেবর আরো কিছু গিফট করেছিল আমাকে তা আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নিলাম।এখনো বাড়িতে আছি।সময়টা সবার সাথে ভালো ই কাটছে।সবার সাথে মিলে মিশে থাকার মাঝে আনন্দ আছে।সেই আনন্দের কিছু অনুভূতি আজ শেয়ার করলাম।আশাকরি সবার আমার অনুভূতি গুলো ভালো লাগবে।সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।আজ এখানেই শেষ করছি।
ধন্যবাদ সবাইকে
পোস্ট বিবরন
| শ্রেনি | লাইফ স্টাইল |
|---|---|
| প্রয়োজনীয় ডিভাইস | Samsung A 20 |
| ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
| স্থান | ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।আমি এম এস সি(জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি স্বাধীনচেতা একজন মানুষ।ভালোবাসি বই পড়তে,নানা রকমের রান্না করতে,ফটোগ্রাফি করতেও আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
X-promotion
গিফট পেতে ও দিতে অনেক ভালো লাগে। আসলে আপু বাচ্চারা অন্য কিছু পেলে যতটা খুশি না হয় কিন্তু চকলেট পেলে তার চেয়ে অনেক বেশি খুশি হয়। সব বাচ্চারা চকলেট পেলে অনেক খুশি হয়। বেশ ভালো লেগেছে আপনার পোস্টটি।
ধন্যবাদ আপু।
গিফট আদান-প্রদান করলে নিজেদের মাঝে সম্পর্ক আরও ভালো হয়- এটা সত্যিই। আর আপনার সন্তানের যে চকলেট থেকে এমন অসুবিধা হয় জেনে অবাক লাগলো। চকলেটের সাথে টন্সিলের সম্পর্ক জানা ছিলো না। তবে সে যে বুঝে বাকিগুলো রেখে দিয়েছে, এটা কিন্তু ভীষণ ভালো গুণ। তার মঙ্গল কামনা করি।
চকলেট খাওয়ার পর গলায় লেগে ইনফেকশন তৈরি করে জ্বর হয়।তাই গরম পানি খেতে বলেছিল ডাক্তার চকলেট খাওয়ার পর।ধন্যবাদ দিদি মতামত প্রকাশ করার জন্য।
গিফট পেতে সবার কাছেই ভালো লাগে। আর এরকম চকলেট পেলে তো আরো বেশি ভালো লাগবে। আপনি আপনার দেবরের কাছ থেকে এতগুলো উপহার পেয়েছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে আপু। আর আমার কাছে তো চকলেট গুলো দেখে লোভ লেগে গেল।
সত্যি ই আপু গিফট পেতে সবার ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
বাইরে থেকে গিফট পেলে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। আপনার দেবর অনেক গিফট প্রদান করেছে দেখে ভালো লাগলো। তবে বাচ্চাদের সাবধানে রাখাটাই উচিত ডাক্তারের কথা শোনে। আইসক্রিম চকলেট দুইটাই অতিমাত্রায় ক্ষতিকারক। বাবুকে সাবধানে রাখেন বুঝিয়ে বলবেন এতে ভালো হবে। একথা সত্য সবাই একসাথে থাকলে অনেক ভালোলাগা থাকে এবং মহব্বত বাড়ে। তাই আমি মনে করি আপনজনদের সাথে মিলেমিশে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলাটা আমাদের সবার জন্য বেটার এবং বুদ্ধিমানের কাজ।
জি ভাইয়া একদম।আমিতো একা থাকতেই পারিনা।সবাই কে নিয়ে মিলে মিশে থাকা ভালো। ধন্যবাদ আপনাকে।
গিফট পেতে সবাই বেশ পছন্দ করে।আর পছন্দের গিফট পেলেতো আরও ভালো লাগে।তাইতো আপনার ছেলে তার পছন্দের গিফট পেয়ে এতো খুশি। তবে চকলেট খেলে যে জ্বর আ্সতে পারে তা জানা ছিলনা। নতুন একটা বিষয় জানা হলো।
আসলেই আপু গিফট পেতে সবাই খুব পছন্দ করে। আপনার দেবর তো দেখছি অনেক কিছু গিফট করেছে। এতগুলো চকলেট দেখে তো আপনার ছেলে খুশি হবেই। কারণ চকলেট পেলে তো বাচ্চাদের আর কিছুই লাগে না। যাইহোক পোস্টটি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।