ছোট গল্প ||| শেষ ভালোবাসায় তুমি পর্ব-০৮ ||| original writing by @saymaakter.
<
আসসালামু আলাইকুম। আমার প্রিয় কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আশা রাখি এই গরমের মধ্যে সকলেই সুস্থ আছেন এবং সুন্দর সময় পার করছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের ভালোবাসায় ও মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভাল আছি।
তারা সবাই অনেক খুশি। মামা মামীর মনের আশা যেন পূরণ হয়েছে। বর্ষার মামা সব সময় শুকরিয়া আদায় করে আমি যেটা বলেছি আল্লাহ আমার আশা পূরণ করেছে আমার বর্ষা অনেক সুখে আছে দেখে খুব ভালো লাগলো।যেদিন বর্ষার মামা-মামী চলে যাবে সেদিন বর্ষা প্রচুর কান্না করছিল মনে হয় তার মা এবং বাবা আসছে তাকে দেখতে।যতদিন যাচ্ছে বর্ষার সাগরের প্রেমে আরো হাবুডুবু খাচ্ছে। কারণ বর্ষা কে কেউ এতটা ভালবাসেনি। যার কারণে স্বামীর যতটুকু ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব অতটুকু তার কাছে মনে হয়েছে অনেক বেশি।
তার স্বামীর প্রতি ভালোবাসা বিশ্বাস দিনে দিনে বেড়েই চলছিল। তাইতো তার বেতনের যত টাকা সব নিয়ে এসে তার স্বামীকে দিত তার শাশুড়িকে দিত এবং বলতো আমার এ জীবনে এগুলা দিয়ে কি হবে তুমি বা আমাকে একটু ভালোবাসো আমার পাশে থেকো এটাই আমার জীবনের পরম পাওয়া। অতিরিক্ত টাকা-পয়সা হলে যে মানুষ আর মানুষ থাকে না এই কথাটি একটু হলেও সত্য। তাই সাগর যখন বর্ষার টাকা এবং নিজের টাকা একসঙ্গে অনেকগুলো টাকা হাতে পায় তখন সে কি করবে সে নিজেও জানে না। একটু একটু করে সে বাইরের জগতে চলে যাচ্ছিল এবং নেশা করা শুরু করে দিচ্ছিল।
কিন্তু এটা প্রথমে বর্ষা বুঝতে পারেনি। যত ছিল বর্ষা সাগরের প্রতি যেমন বিশ্বাস ও আস্থা জন্মাচ্ছিল এবং ভালোবাসাও দিনে দিনে বেড়ে যাচ্ছিল। তাইতো টায়ার্ড হয়ে এসে বর্ষা রাতের খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়তো এবং পরের দিন সকালে অফিসে চলে যেতে। একদিন বর্ষা সাগর কে জিজ্ঞাসা করল তুমি আগে তো এত রাত করে বাসায় ফিরতে না এখন এত লেট হয় কেন। অফিসের কাজ বেড়েছে প্রচন্ড চাপ তাই একটু লেট হয়। তুমি আমার জন্য অপেক্ষা না করে খাওয়া দাওয়া কমপ্লিট করে ঘুমিয়ে পড়ো। বর্ষা ঠিক তাই করে প্রতিদিন। কারণ এতটা বিশ্বাস ও আস্থা ছিল তার স্বামীর প্রতি। কোন কিছু তার মাথায় এলোনা।
কারণ সাগর বর্ষাকে বিয়ের আগে ড্রিঙ্ক করতো। বর্ষাকে বিয়ের পর তার বাবা মা অনুরোধে সে নেশা ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু একথা বর্ষা জানতো না।তাই প্রায় এক বছর পর তার সেই নেশার জগতে আবার চলে যায়। এ যেন অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়া। বর্ষা এতটা ব্যস্ত ছিল তারপরও তার স্বামীর কাজগুলো সে নিজ দায়িত্বে কমপ্লিট করে রাখত। কারণ সে এটাকে দায়িত্ব মনে করতো।বর্ষা নিজে নিজে অনেক কথা ভাবে এবং বলে জিবনে অনেক কষ্ট আমি পেয়েছি হয়তোবা সৃষ্টিকর্তা আমাকে তার বিনিময়ে এই ফ্যামিলিতে নিয়ে এসে কিছুটা সুখের মুখ দেখিয়েছে জানিনা এই সুখ আমার কপালে সহ্য হবে কিনা। কারণ আমার কপাল তো ফাটা কপাল। এভাবে চলতে থাকে তাদের দিন।
একদিন বর্ষা রাতে ঘুমে স্বপ্ন দেখে তার মা তাকে বলছে মা তোকে আমি অনেক দোয়া করি তুই ভাল থাক কিন্তু তোর জামাইয়ের একটু খোঁজখবর রাখিস এতটা বিশ্বাস করা ঠিক না কারণ তোর জিবনে অন্ধকার নেমে আসুক এটা চাই না। তুই ভাল থাক সুখে থাক এটা আমি দূর থেকে দেখে যাব এবং শান্তি পাব কিন্তু তুই কষ্টে থাকলে আমার আত্মা শান্তি পাবে না। তারপর বর্ষা মায়ের স্বপ্নটি দেখে অনেকক্ষণ চিন্তা করল।কিছুক্ষণ বসে থাকার পর যখন ভোর চারটা বাজে তখনো দেখে তার হাজবেন্ড সাগর বাসায় ফিরে নাই।কিন্তু সে কিছুই বলল না সকালে যখন বাসায় এলো।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
https://x.com/mst_akter31610/status/1929906841921958253?t=nnpK7EcItUJ0cj-0Ize6MQ&s=19
https://x.com/mst_akter31610/status/1929908717920891008?t=xBFBvqO4Q7dH3yu5vYKLUw&s=19