রেসিপি পোস্ট ||| চাল কুমড়ো খোসা ভর্তা ||| original recipe by @saymaakter.
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই বোনেরা আশা করছি পরিবারকে নিয়ে সুস্থ ও সুন্দরভাবে দিন যাপন করছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
বরাবরের মতো আবারো হাজির হলাম আপনাদের মাঝে নতুন আরেকটি ব্লগ নিয়ে।আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে। যে কোন রেসিপি তৈরি করতে অনেক ভালো লাগে। নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে আরও বেশি ভালো লাগে। তাই তো সবসময় চেষ্টা থাকে আমার নতুন রেসিপি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।আমরা প্রতিদিন আমাদের খাবার টেবিলে যদি মাছ মাংস রাখি তাহলে একঘেয়েমি এসে যায়।তার সঙ্গে যদি একটু ভর্তা হয় তাহলে মন্দ হয় না।গরম ভাতের সঙ্গে যে কোন ভর্তা খেতে অতুলনীয় স্বাদ।ভর্তা ঝাল ঝাল হলে খেতে আরো দারুন স্বাদ। আমার তো মাছ মাংসের রেসিপি তৈরি করলেও তার সাথে ভর্তা থাকবে। ভর্তা খেতে অনেক ভালো লাগে। তাই তো চেষ্টা করি বিভিন্ন রকমের ভর্তা তৈরি করে খাওয়ার জন্য।
তবে যেটা খেতে অনেক মজাদার এবং সেটাই আমি ট্রাই করি। পানি কুমড়ো অথবা চাল কুমড়ো যেটাই বলি না কেন সেই চাল কুমড়োর খোসা ভর্তাটি এতটা মজার যা না খেলে বোঝার উপায় নেই। তাইতো "চাল কুমড়ো খোসা ভর্তা" রেসিপিটি আপনাদের মাঝে নিয়ে হাজির হলাম। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করেছি দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণসমূহঃ-
১।চাল কুমড়ার খোসা।
২।পেঁয়াজ।
৩।কাঁচামরিচ।
৪।শুকনা মরিচ।
৫।রসুন।
৬।লবণ।
৭।সরিষার তৈল।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
প্রথমে চাল কুমড়ার খোসা গুলো পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়েছি।
এবার সে খোসা গুলো পেশার কুকারে সিদ্ধ করে নিয়েছি।
পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে রান্নার উপযোগী করে কেটে নিয়েছি।
রসুনের খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি।
সিদ্ধ করা খোসা গুলো একটি কড়াইয়ে সরিষার তেল দিয়ে সুন্দর করে ভেজে নিয়েছি।
সেই খোসার সঙ্গে পেঁয়াজ কুচি রসুন কাঁচামরিচ ভেঁজে নিয়েছি।
এবার শিলপাঠায় সকল উপকরণগুলো একসাথে মিহি করে বেটে নিয়েছি আর এভাবেই হয়ে গেল আমার "চাল কুমড়ো খোসা ভর্তা"।এবার "চাল কুমড়ো খোসা ভর্তা" এর একটি ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
চাল কুমড়োর খোসা ভর্তা করে খাওয়া যায় আগে জানতামনা আপু। আপনার এই রেসিপি দেখে নতুন একটি রেসিপি শিখে নিলাম। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
ভর্তা খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আপনি দেখছি চাল কুমড়ো খোসা দিয়ে ভর্তা রেসিপি করেছেন। তবে চাল কুমড়ো খোসা দিয়ে ভর্তা করে অনেকবার খেয়েছি আমি। এ ধরনের ভর্তা দিয়ে গরম ভাত এবং পান্তা ভাত খেতে কিন্তু বেশ মজাই লাগে। মজার ভর্তা রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
চাল কুমড়োর খোসা ভর্তা করে খাওয়া যায় তা আমার জানাই ছিল না। ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। তবে যেকোনো ধরনের ভর্তা গরম ভাতের সাথে খেতে আমার বেশ ভালো লাগে। আপনার তৈরি করার রেসিপিটি দেখেও ভালো লাগলো এভাবে একদিন ট্রাই করে দেখব। ধন্যবাদ মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ভর্তা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। আর আমি ভর্তা খেতে অনেক পছন্দ করি৷ আর আজকে যেভাবে আপনি চালকুমড়া ভর্তা রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তা যেরকম সুস্বাদু দেখা যাচ্ছে৷ এটি দেখে মনে হচ্ছে যেন এখনি এখান থেকে নিয়ে খেয়ে ফেলি৷ একই সাথে এখানে রেসিপি শেয়ার করার মধ্য দিয়ে আপনার কাছ থেকে ভিন্ন ধরনের রেসিপি দেখতে পেলাম৷ যা দেখে আরো অনেক বেশি ভালো লাগছে৷ ধন্যবাদ আপনাকে এত সুস্বাদু রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷