ছোট গল্প ||| শেষ ভালোবাসায় তুমি পর্ব-০৫ ||| original writing by @saymaakter.
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আশা রাখি সকলে সুস্থ আছেন এবং সুন্দর সময় অতিবাহিত করছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের ভালোবাসায় বেশ ভালো আছি।
আজকে আবারো আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হতে চলেছি।আমার ছোট গল্পটির গত পর্বগুলোতে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পেয়ে গল্প লেখার আগ্রহ বেশ বেড়েছে। আপনাদের এরকম সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পেলে আসলে কাজ করার আগ্রহ অনেক গুণ বেড়ে যায়। তাই চলুন আর কথা না বাড়িয়ে "শেষ ভালোবাসায় তুমি পর্ব-০৫" কি লেখা আছে তা দেখে নেওয়া যাক।
চাকরি পেয়ে মামা মামিকে সারপ্রাইজ দিয়ে বর্ষা নিজেই কেঁদে ফেলল। এ যেন খুশির আনন্দের অশ্রু ঝরছিল তার দুচোখে। কিন্তু রেস্টুরেন্টে একটি কথাই বারবার তার মামাকে বলল মামা আজ যদি আমার মা বেঁচে থাকতো পৃথিবীতে সব থেকে তার মত খুশি আর কেউ হত না এবং আমিও খুব শান্তি পেতাম। মামা বর্ষার মাথার উপর হাত দিয়ে বলল মা চিন্তা করিস না আমরা আছি তোর সঙ্গে। আর পাগলি এমন একটা খুশির দিনে কষ্টের কথা আর মনে করতে নেই।
আজ আমিও তোমার জন্য একটা বড় সারপ্রাইজ রেখেছি। তোমাকে কিছু বলিনি চলো বাসায় চলো তারপর বলব। এদিকে তার মামাতো বোনেরা সারপ্রাইজ দিল বড় আপুকে। বাসায় অনেক আয়োজনকরে বড় কেক নিয়ে এসে সবাই অনেক আনন্দ করল। মোটকথা পুরো ফ্যামিলির বর্ষাকে অনেক আনন্দের ভেতর রাখার চেষ্টা করছিল যেন এই খুশির দিনে বর্ষা কষ্ট না পায়।
নতুন চাকরিতে জয়েন করে খুব ভালোভাবে কাজগুলো গুছিয়ে নিতে পারছিলো বর্ষা। প্রতিটি দিন টাইম মতো অফিসে যায়। আবার টাইম মতো বাসায় ফিরে আসে। বর্ষা আর অন্যান্য ৫-১০ টি মেয়ের মত নয়। বর্ষা ছিল খুব স্বাভাবিক সাদামাটা একটি মেয়ে। অনেক কষ্টে তার জীবন গেছে তো তাই কষ্টগুলো সে ফিল করতে পারে। আর এজন্যই সে নিজেকে খুব সাধারন ভাবে রাখে। অফিসের কাজ অফিসের কলিগদের সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার।
নিয়মমাফিক কাজ। পরিশ্রম এবং কাজের সফলতা তাকে আরো উপরের দিকে নিয়ে যেতে সাহায্য করলো।অফিসের বস বর্ষার কাজে এতটা সন্তুষ্ট যে তাকে একটি প্রমোশন দিয়ে দিল।চাকরির এক বছর হতে না হতেই বর্ষা তার নিজের সফলতায় প্রমোশন পেয়ে গেল।বর্ষার এই প্রমোশনে তার কোয়ালিকরাও অনেক খুশি।কারণ বর্ষার ফ্যামিলি সম্পর্কে অনেকেই জানতো। তাইতো অফিসের কলিকরা ও বর্ষাকে খুশিতে রাখার চেষ্টা করত।
অফিস সেরে যখন বাসায় গেল অনেক মিষ্টি হাতে নিয়ে মামাকে সারপ্রাইজ দিল । বর্ষার মামা রীতিমতো অনেক খুশি বর্ষার সফলতা দেখে। বর্ষার কপালে একটি চুমু দিয়ে বলল মা তুই খুব ভাগ্যবান। আমার এই হাতটি সব সময় তোর মাথায় আছে তুই এগিয়ে যা কোন টেনশন করিস না।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
https://x.com/mst_akter31610/status/1923669722991821218?t=paW2xHLdQ0UqwCNenBZXQQ&s=19
https://x.com/mst_akter31610/status/1923670618018545774?t=U7KdqM7IzFt7TA0dI-owGw&s=19