ক্রিয়েটিভ রাইটিং পোস্ট ||| বুদ্ধি দিয়েও অকেজো জিনিস সুন্দর করা যায়।
আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই বোনেরা আশা করছি পরিবারকে নিয়ে সুস্থ সুন্দরভাবে দিন যাপন করছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
বরাবরের মতো আবারো হাজির হলাম আপনাদের মাঝে নতুন আরেকটি ব্লগ নিয়ে। আজকের ব্লগ টা একটু ব্যতিক্রম। চেষ্টা করেছি ব্যতিক্রম কিছু নিয়ে আপনাদের মাঝে নিয়ে হাজির হতে জানিনা কতটুকু আপনাদের ভালো লাগবে। আমি আজ আপনাদের মাঝে ক্রিয়েটিভ রাইটিং "বুদ্ধি দিয়েও অকেজো জিনিস সুন্দর করা যায়"।
আপনারা সবাই অবগত আছেন আমাদের ছোট্ট একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে এক ধরনের কাপড় রয়ে যায়। ছোট বড় বিভিন্ন রকমের কাপড়ের টুকরো এ যেন বস্তায় বস্তায় বন্দী হয়ে থাকে।প্রত্যেকটা জিনিসেরই একটি মেয়াদ আছে এই কাপড় গুলো একটু যদি বুদ্ধি খাটিয়ে কাজে লাগাতে পারি তাহলে আমরা খরচ থেকেও কিছুটা সাশ্রয় পাবো। সাদা কাপড়ের ভিতরে কাঁথার সেলাই গুলো দেখতে এতটা ভালো লাগছিল এবং এই কাপড় গুলো ফেলে দিতেও খুব কষ্ট হচ্ছিল।
ভাবলাম একটু চেষ্টা করলে তো দোষের কিছু নেই। এরকম ছোট ছোট টুকরোগুলো এবং সুই সুতার হাতের কারু কাজগুলো এতটা সুন্দর লাগছিল। তাইতো আর দেরি না করে এই কাপড়গুলো দিয়ে মেশিনে বসে পড়লাম। অনেক চেষ্টা করলাম বেডশীট বানানোর জন্য। কিন্তু ডিজাইন গুলো মিলাতে পারছিলাম না আর ডিজাইন যদি মাপে মাপে না হয় তাহলে দেখতে অতটা ভালো লাগে না। তাই ভাবলাম বালিশের কভার বানায়ে ফেলি দেখি কেমন হয়।
যে ভাবনা সেই কাজ। টুকরো কাপড়গুলো সুন্দর করে জয়েন দিলাম এবং সেই মাপ অনুযায়ী ডিজাইন টা ফেললাম।ডিজাইনগুলো মাপ যদি সমান হয় তাহলে যে কোন জিনিস এমনিতেও দেখতে ভালো লাগে। প্রথম বালিশের কাভার বানানোর পর আরেকটি কভার চেষ্টা করলাম। কিন্তু এতটা সুন্দর হবে এবং দেখতে এতটা ভালো লাগবে কল্পনাও করতে পারিনি। তবে চেষ্টা করলে যে সবই সম্ভব এটা মাঝে মাঝে আমি নিজেও প্রমাণ পাই। আমরা অবসর অবহেলায় সময় গুলো গল্প করে না কাটিয়ে যদি নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে নতুনত্ব কিছু তৈরি করি সেটার ভিতরে প্রচুর আনন্দ কাজ করে।
আমি চেষ্টা করি অপচয় না করার জন্য আর অপচয় কারিকে আমাদের সৃষ্টিকর্তা ও পছন্দ করে না।বিভিন্ন রকমের কাপড়ের টুকরো দিয়ে নানা ডিজাইন দিয়ে বিভিন্ন রকমের জিনিস আমি তৈরি করি। যদিও আমাকে দ্বারা আগে এসব কিছুই সম্ভব ছিল না কিন্তু চেষ্টা আমাকে সব সম্ভব করিয়ে দিয়েছে। তবে চেষ্টা করলে যে সবই সম্ভব আর ধৈর্য শক্তি প্রতিটি কাজেই থাকতে হয়। ধৈর্য না থাকলে কোন কাজ করে যেমন শান্তি পাওয়া যায় না এবং সেই কাজটি অসম্পূর্ণ থাকে। আমি আমার চেষ্টা ও পরিশ্রম দিয়ে কাজটি করেছি এবং সফল হতে পেরেছি।
আজ এ পর্যন্তই আবারো হাজির হব আপনাদের মাঝে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
https://x.com/mst_akter31610/status/1918491555339370785?t=iIdmby5kKvxwd-A1oOwRmQ&s=19
https://x.com/mst_akter31610/status/1918492784446656834?t=XFsTl3JB_LBGf8qUwPTbHw&s=19
ফেলে দেওয়া কোন কিছু যখন কাজে লাগানো যায় তখন সত্যি অনেক ভালো লাগে। আর সেগুলো দিয়ে নতুন কিছু তৈরি করতে ভালো লাগে। আপু আপনার পোস্ট দেখে ভালো লাগলো।