আবর্তন
নমষ্কার,,
আজকে সকালের সবথেকে ভালো খবর হলো রান্নার খালা আবার ফিরে এসেছেন বাড়ি থেকে। কষ্ট করে রান্না করে খাওয়া থেকে আপাতত মুক্তি পেলাম। কয়েকটা দিন খুব ভোগান্তি পোহাতে হলো। ব্যাচেলর অবস্থায় একা একা সবকিছু করে খাওয়া সত্যিই খুব কষ্টের।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে একটু লেট হয়েছে। কয়েকদিন হল রাতে ঘুমোতে দেরি হয়ে যাচ্ছে। আগে থেকেই ভাবা ছিল আজ ঢাকা ভার্সিটি গিয়ে কিছু কাজ সেরে নেব। তাই স্নান করে খাওয়া দাওয়া করে রওনা দিয়ে দিলাম। এই রাস্তাটায় মোটামুটি সব সময় যানজট লেগেই থাকে ভালো রকমের। আজকেও তার ব্যতিক্রম ছিল না। চোখ বুজে নানান ধরনের কথা ভাবতে ভাবতে ইচ্ছে হলো নিজের মতো করে কিছু একটা লিখে ফেলি। আমার পাগলামোর কথোপকথন যাকে বলে। আজ সেই লেখাটাই সবার সাথে ভাগাভাগি করে নিচ্ছি।
অনেক গুলো নির্ঘুম রাতের পর আজকের সকালটা
শিশির ভেজা ঘাসে স্পর্শের মতই তা কোমল
সাদা মেঘের আড়াল থেকে উকি দেওয়া সূর্যের মতোই তা মিষ্টি
নীল নদের মতোই তা শান্ত
ট্রাফিকের সিগন্যালে ধরা খেয়েছি বহুবার
জরিমানা গুনতে গুনতে পকেট টাও ক্ষুধার্ত
অনেক দিকে পাশ কাটিয়ে সবুজ আলোটা জ্বলে উঠলো হঠাৎ করেই
ঠিক যেমনটা চাইছিল নীড় খুঁজে বেড়ানো চড়ুই পাখি টা
ইউক্রেন, সিরিয়া কিংবা সুদান
ঘরটা তো বাঁধা চাই
ভাঙা স্বপ্ন গুলো না হয় আরেকটু ভেঙ্গে যাক
তবুও তো ছুঁতে ইচ্ছে করে আরো একবার
কপালের ঐ নীল টিপটা না হয় কালোই হোক
থাকুক না হয় ঐ ঝাঁঝালো শাসন
রং ধনুর সাত রং থেকে হারিয়ে যাক দু চারটে রং
মেঘে মেঘে ঘর্ষণ হয়েই যাক
তবুও ফিরে আসুক এই সকালটা
মৃত্যুদন্ডে সাজা পাওয়া আসামীর কি আর মৃত্যু ভয় আছে!
হ্যামলেটের যে কোন চরিত্রে সে হারাতে রাজি
হতেও পারে কুলিন হুবারের কোন গল্পগাঁথা
তবুও যেন সূর্যটা ঢেকে না যায় অমাবস্যার কালো আঁধারে
রোজ শ্রাবণ নামুক এই তল্লাটে তে
ভাসিয়ে নিয়ে যাক উচ্ছন্নে যাওয়া জীবনের যত নোংরা বিষাদ কাব্য
এবার তো একটু খানি আমি হই
আমাদের জীবনটা বড্ড বিচিত্র। যতই ঝড় ঝাপটা আসুক , যতই হেরে যাই তবুও একটা না একটা বার ইচ্ছে করে ঘুরে দাঁড়ানোর। ভেঙে যাওয়ার স্বপ্ন গুলো জোড়া লাগানোর প্রয়াস যেন থামতেই চায়না। হ্যাঁ , হতে পারে গল্পের চরিত্রগুলো ভিন্ন। তবুও আমরা একটুখানি আশা পেলে সেটা আঁকড়ে ধরেই ঘর বাঁধার চেষ্টা করি পুনরায়। আর এটাই হয়ে যায় বেঁচে থাকার অস্ত্র।
থাক, আজ আর কিছু লিখছি না। অনেক তো ভারী ভারী কথা হলো। এত সিরিয়াস ব্যাপার সেপার আসলে আমার সাথে যায় না। আমি হাসতে ভালোবাসি। অন্যের মুখে হাসি দেখতেও ভালোবাসি।
তাই সবশেষ বলবো, নিজে ভালো থাকুন এবং অন্যকেও ভালো রাখুন।
আপনার লেখা কবিতা এর আগে পড়েছি কিনা মনে পড়ছে না। তবে আপনি এত ভালো কবিতা লিখেন এর আগে জানা ছিল না। প্রত্যেকটি লাইন যেন নতুন রকমের ছন্দ। আসলে আমাদের জীবন থেকেই ছন্দের তৈরি হয়। আর জীবনের কথাগুলোই ছন্দের ভাষায় কবিতা হয়ে যায়। নতুনভাবে স্বপ্ন দেখার নামই জীবন। জীবনের বাস্তবতায় স্বপ্ন আছে বলেই আমরা বেঁচে আছি। আর মেসের খালা ফিরে এসেছে সেই খুশিতে আমাদেরকে মিষ্টি খাওয়ালে ভালো হবে ভাইয়া। আমরা মনে হয় মনে মনে দোয়া করেছিলাম তাই তো সে ফিরে এসেছে। 😅😅
এমন পাগলামো করে মোটামুটি প্রতি সপ্তাহেই একটা করে পোস্ট দেওয়ার চেষ্টা করি। নিজেকে খোঁজার একটা ব্যর্থ চেষ্টা বলা যায়। মনে মনে যেমন দোয়া করেছেন, আমিও মনে মনে সবাইকে মিষ্টি খাইয়ে দেব আপু 😅😅
পরাজিত হয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রবণতার নামই বোধয় জীবন😅।আর পাগলামো করতে করতে দেখি সত্য কথাগুলো বলে ফেলেছেন।সাংঘাতিক ভালো লেগেছে ভাই।😅
এই লাইনটা জোস ছিল।তবে লাইনটা পড়ে একটা হাসির কথা মনে হইলো।
বিচারক: আপনার মরার আগে শেষ ইচ্ছে কি?
আসামি:একটা সিগারেট খেতে চাই...
বিচারক: না সিগারেট দেওয়া যাবে না।ধূমপান মৃত্যুর কারণ।😐
ওরে ভাই আমি হাসতে হাসতে শেষ। দারুন মজা দিলেন কমেন্ট করে 😅😅😅। পাশেই থাকবেন সব সময়।
সমস্ত ঝঞ্ঝার পরও আশার আলোর কবিতা এটি। এমন জীবনমুখী কবিতা অবশ্যই আরো লিখবেন। যাদের জীবনে সব সময়েই খারাপ হেছে। যারা কখনও ভালো কি তা জানে নি তাদের কাছে এই কবিতা বেঁচে থাকার কারণও হতে পারে। এমন কবিতা নিকষ অন্ধকারেও আলোর রূপলী রেখা। ধন্যবাদ আপনাকে। 😊
বাহ্ বেশ কাব্যিক একটা মুড নিয়ে কমেন্ট টা করেছেন মনে হচ্ছে। ভালো লাগলো খুব। অনেক ধন্যবাদ। এভাবেই পাশে থাকবেন।
জী ভাইয়া অনেক সুন্দর সুন্দর ভারী ভারী কথা বলেছেন। পাগলামোর কথোপকথন যে এত সুন্দর হয় সেটা জানা ছিল না। আমাদের জীবনটা সত্যিই বিচিত্রময়। জীবনে কখন কে আসে কে যায়,কখন উত্তান পতন হয় কেউ জানে না। ভেঙ্গে গেলে উঠে দাড়াবার চেষ্টা করি,আবার ভেঙ্গে পড়ি। এভাবেই যাচ্ছে আমাদের জীবন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
জীবন টা আসলেই পদ্ম পাতার জল। গড়িয়ে কখন কোন দিকে যায় একদম বলা মুশকিল। ভালো লাগলো আপনার কথা গুলো ভাই। অনেক ভালো থাকবেন।
যাক আপনার কাজের খালা অবশেষে ফেরত এসেছি জেনে ভালো লাগলো। ব্যাচেলরদের কাজের খালা না আসলে খুবই ভোগান্তিতে পরতে হয়। আর ওই দিকটা জ্যামের কথা বইলেন না। জ্যাম হয়ে অবশ্য ভালো হয়েছে আপনার আবোল তাবোল লেখা থেকে সুন্দর একটি কবিতা পেয়ে গেলাম আমরা। আপনার এই আবোল তাবোল কবিতাগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। খুব সুন্দর লিখেন আপনি। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
একদম আপু, চার দিন খুব কষ্ট করে খাওয়া দাওয়া করতে হয়েছে। আর পাগল ভাইটার পাগলামো গুলোর পাশে থাকেন বলেই মাঝে মধ্যে এমন দুঃসাহস করে বসি হঠাৎ করেই। এভাবেই পাশে থাকবেন আপু। ভালো থাকবেন সবসময়।
ঝড়ঝাপটা মিলিয়েই জীবন।এই ঘুরে দাড়ানোর ইচ্ছা টুকু না থাকলে জীবন টা হয়ে উঠত নরক।আপনি দারুন লিখেন দাদা। খুবই সুন্দর হয়েছে কবিতাটি।ধন্যবাদ দাদা অসাধারণ কবিতাটি শেয়ার করার জন্য।
কষ্ট না থাকলে হয়তো দুঃখের আনন্দ টাই ফিকে হয়ে যেত এই জীবনে। সে জন্যই হয়তো এত রং বদল। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
সত্যি বলতে দাদা তুমি আসলে যে ভাষায় কবিতা গুলি লেখ,একবারে তা পড়ে তার পুরো অর্থ বুঝতে পারার মতো ক্ষমতা আমার এখনো হয়নি। আস্তে আস্তে নিজের উচ্চতার টাকে তো দেখছি একটা অন্য জায়গায় তুলে নিয়ে চলে যাচ্ছো🙏🏻। তবে হ্যাঁ শেষে খুব সুন্দর ভাবে লিখেছ।আসলে সত্যিই বারবার দুমড়ে মুচড়ে যাওয়ার পরেও আবার যদি বেঁচে থাকার সামান্য কোন আশা পাওয়া যায় তার থেকে ভালো অনুভূতি আর হয় না। বরঞ্চ সেই বেঁচে থাকাটা আরও বেশি সুমধুর হয়।
হাহাহাহাহা, ওরে ভাই একদম পাতি বাংলা ভাষা গো, আমি পেঁচিয়ে কিছুই পারিনা লিখতে। একদম সোজা সাপটা সব। আর এগুলো তো আরেক পাগলামির গপ্পো। হিহিহিহি। খুব সুন্দর করে নিজের মতামত দিয়েছো। ভালো লাগলো দেখে।
জীবনের কথাগুলো খুব সুন্দর ভাবে কবিতার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছ ভাই। নিজেকে খোঁজার চেষ্টায় আপনি সফল হয়েছেন । খুব সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন পড়ে খুবই ভালো লাগলো।
জানিনা কতটা সফল হতে পেরেছি, তবে এখনও চেষ্টায় আছি ভাই। ভালো থাকবেন। অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।