বর্তমানে যুবসমাজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে//by ripon40

in আমার বাংলা ব্লগ11 days ago (edited)

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক


  • স্কুল জীবনের গল্প
  • ০২, ডিসেম্বর ,২০২৪
  • সোমবার


kids-160168_1280.webp.png

Source

আজকের তরুণরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, অনেক তরুণ এখন নেশার জালে আটকে যাচ্ছে। এই নেশাদ্রব্য যুবসমাজকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে।যুবসমাজের এক বড় অংশ মারাত্মক এক সমস্যার মধ্যে পতিত হচ্ছে নেশাদ্রব্য। এটি শুধু ব্যক্তিগত জীবন নয়, সামাজিক, পারিবারিক ও জাতীয় জীবনেও গভীর প্রভাব ফেলছে।

নেশাদ্রব্য মানে এমন কিছু জিনিস যা খেলে বা নিলে শরীর কিছু সময় ভালো লাগলেও পরে অনেক ক্ষতি করে। যেমন: ইয়াবা, গাঁজা, মদ, ফেনসিডিল ইত্যাদি। এগুলো শরীর ও মনের জন্য খুবই বিপজ্জনক।নেশাদ্রব্য বলতে সাধারণত এমন সব রাসায়নিক বা প্রাকৃতিক উপাদান বোঝানো হয়, যা গ্রহণ করলে মানুষ সাময়িক উত্তেজনা বা স্বস্তি অনুভব করে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে তা দেহ ও মনের মারাত্মক ক্ষতি করে। মাদকদ্রব্য যেমন ইয়াবা, গাঁজা, হেরোইন, ফেনসিডিল, মদ ইত্যাদি বর্তমানে তরুণদের মাঝে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে।

অনেক সময় তরুণরা বন্ধুদের সাথে মিশে, কৌতূহল থেকে বা দুঃখ-কষ্ট ভুলতে নেশা শুরু করে। আবার কেউ কেউ পরিবারের সমস্যার কারণে বা পড়ালেখার চাপ থেকে মুক্তি পেতেও নেশা করে।তরুণদের নেশার প্রতি ঝুঁকে পড়ার প্রধান কারণগুলো হলো মানসিক চাপ, পরিবারে অশান্তি, বন্ধুদের প্ররোচনা, সামাজিক বৈষম্য এবং কৌতূহল। অনেকে আবার অবসর সময় কাটাতে বা কষ্ট ভুলতে গিয়ে এই পথে পা রাখে, যা পরে অভ্যাসে পরিণত হয়।

নেশা শরীরের ভেতর ধীরে ধীরে ক্ষতি করে। পড়ালেখা নষ্ট হয়, মাথা ঠিকমতো কাজ করে না, রাগ বেড়ে যায়। অনেকে কাজ-কর্ম হারায়, পরিবারেও অশান্তি শুরু হয়।নেশাদ্রব্য গ্রহণকারীদের মানসিক স্থিতি নষ্ট হয়ে যায়, তারা আচরণগতভাবে অসংলগ্ন হয়ে ওঠে। দেহের বিভিন্ন অঙ্গ বিকল হয়ে যায়, স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়, এবং ধীরে ধীরে সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। শিক্ষাজীবন নষ্ট হয় এবং কর্মজীবনে কোনো স্থায়িত্ব থাকে না।

একজন নেশাগ্রস্ত তরুণ শুধু নিজের ক্ষতি করে না, সে পুরো পরিবার ও সমাজের জন্য সমস্যা তৈরি করে। পরিবারে ঝগড়া হয়, সমাজে চুরি-ডাকাতি বাড়ে। সবাই তার থেকে দূরে সরে যায়।একজন যুবক যখন নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে, তখন শুধু তার নিজের জীবনই নয়, তার পরিবার ও সমাজও চরম দুর্ভোগের মুখে পড়ে। পরিবারে কলহ, অর্থনৈতিক সংকট, নিরাপত্তাহীনতা এবং সামাজিক অবক্ষয় দেখা দেয়। চুরি, ছিনতাই, ধর্ষণ ও হত্যার মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে অনেকেই।

এই বিপদ থেকে বাঁচতে হলে বাবা-মা, শিক্ষক, সমাজ সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। তরুণদের ভালোভাবে বোঝাতে হবে, সচেতন করতে হবে, আর সরকারের উচিত মাদকবিরোধী কাজ আরও জোরদার করা।একজন যুবক যখন নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে, তখন শুধু তার নিজের জীবনই নয়, তার পরিবার ও সমাজও চরম দুর্ভোগের মুখে পড়ে। পরিবারে কলহ, অর্থনৈতিক সংকট, নিরাপত্তাহীনতা এবং সামাজিক অবক্ষয় দেখা দেয়। চুরি, ছিনতাই, ধর্ষণ ও হত্যার মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে অনেকেই।

নেশাদ্রব্য থেকে তরুণদের দূরে রাখতে হবে, না হলে আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। সবাই মিলে সচেতন হলে, ভালো কথা বললে ও পাশে থাকলে তারা আবার সঠিক পথে ফিরতে পারবে।যুবসমাজ একটি জাতির ভবিষ্যৎ। যদি এই যুবশক্তি মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে, তাহলে জাতির উন্নতি সম্ভব নয়। তাই এখনই সময় সচেতন হওয়ার এবং নেশাদ্রব্যের বিরুদ্ধে একযোগে রুখে দাঁড়ানোর। সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে যুবসমাজকে সঠিক পথে ফেরাতে হবে, তাহলেই সম্ভব একটি সুস্থ, সুন্দর ও আলোকিত জাতি গঠন।

ধন্যবাদ সবাইকে



20211112_012926-01.jpeg

আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।