অনেকদিন পর ব্যান্ড মিউজিক পাগল ভাই ব্রাদার মিলে "avoidrafa" এর কনসার্টে || 10% for @shy-fox
"আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সকলকে জানাই আমার সালাম"
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান দিনাজপুর জেলা:
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে শুরু করছি আমার আজকের এই ব্লগ।আশা করি আমি আমার দক্ষতার মাধ্যমে আপনাদের সকলের নিকট ভালো কিছু উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো,এবং আপনাদের ও ভালো লাগবে।
সভাবতই আমি একজন ব্যান্ড মিউজিক ফ্যান।আর ব্যান্ড মিউজিক শুনতে এতটাই ভালো লাগে যে সেটা বলে বোঝানোর মত না।আর রক মেটাল হলে তো কথায় নাই।আর যার দরুন প্রায় ভিন্নধর্মী গান গেয়ে শোনাই আপনাদের আর আমার ও বেশ ভালই লাগে।তো গত 23 মার্চ আমি রংপুরে যাই আর ফেরার পথে বাংলাদেশ এর অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড @avoidrafa তার অফিশিয়াল পেজ থেকে জানায় 24 তারিখ সে আসবে দিনাজপুরে মেডিকেল কলেজ কাপাতে।আমি তো ট্রেন এর মধ্যেই নাচ শুরু করে দিয়েছিলাম প্রায়।তারপর দিনাজপুর এসে রফার গান গুলো শুনতে থাকি যদিও আগে থেকেই সব শোনা কারণ প্রাকটিস দিচ্ছিলাম কারণ কাল ত গলা মেলাতে হবে😁।
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান দিনাজপুর জেলা:
তো সেদিন রাতেই এক বড়ো ভাই আমাকে নক দিয়ে বলে দেখা হচ্ছে কাল।আমি অবশ্য একটু অবাক হয়ে বললাম কে ভাই আপনি।উনি পরিচয় দিলো উনিও আমার মত একজন ব্যান্ড মিউজিক লাভার।আর এই ব্যাপারটি সত্যিই আমাকে বেশ অভিভূত করলো।উনি আমাকে জানালো আমাদের উত্তরে বঙ্গে ব্যান্ড মিউজিক নিয়ে একটি গ্রুপ আছে, অথচ আমি নাকি জানতামই না। পরে উনি আমাকে গ্রুপে অ্যাড করে নিল।আর সত্যি কথা বলতে যারা মিউজিক ভালোবাসে তাদেরকে নতুন করে পরিচয় হতে হয় না,আমাদের সবার পরিচয় ওই একটাই ব্যান্ড মিউজিক লাভার।আর গ্রুপে সবার উৎসাহ উদ্দীপনা সত্যিই অবাক করার মত ছিলো।আর রাফা ভাই আসার কথা শুনে তারা সবাই দিনাজপুরে আসার পরিকল্পনা করে ফেলে।
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান দিনাজপুর জেলা:
এরপর সবার সাথে দেখা সাক্ষাৎ করে সবাই মিলে পাড়ি জমালাম দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ এর উদ্দেশ্যে।যদিওবা প্রোগ্রামটি সর্বসাধারণের জন্য ছিল না,শুধু কম্পাস এর নির্ধারিত ছেলে মেয়েদের জন্যে।কিন্তু যেখানে @avoidrafa আসতেছে সেখানে আমাদের মত মিজিক পাগল কে কি আর আটকিয়ে রাখা সম্ভব।আর এই ভালোবাসার টানেই তো তারাও সবাই চলে এসেছে সেই দূর দূরান্ত থেকে।ব্যান্ড মিউজিক এর প্রতি কতটা ভালোবাসা থাকলে এতদূর থেকে আশা সম্ভব শুধু একবার চিন্তা করুন।আর সবার সাথে দেখা সাক্ষাৎ পর্ব শেষে মাঠে বসে সবাই আড্ডা দিচ্ছিলাম।যদিওবা অনুষ্ঠানটি শুরু হওয়ার কথা ছিল 6 টায়।কিন্তু কিসের 6 টা অতিথিদের শুভেচ্ছা বক্তব্য শেষ হতেই বেজে যায় 11 টা।আর আমরা এদিকে সব ভাই ব্রাদার মিলে গোল আড্ডায় জমাচ্ছিলাম গান। মোট কথা সময়টা আমরা বেশ উপভোগ করতেছি। আর এদিকে রাফা ভাই এর জন্যে আমরা প্লাকার্ড আর ফুল নিয়ে অপেক্ষা করছি কখন আসবে আর আমরা ভাইকে আমন্ত্রণ জানাবো।
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান দিনাজপুর জেলা:
এইফাকে আমি প্লাকার্ড হাতে একটা ফটক তুলে নেই।এবং খেয়াল করলাম অথিতিদের বকবকানি ইতিমধ্যে শেষ হয়েছ।আর লোকাল ব্যান্ড এবং কলেজ এর ছাত্র ছাত্রীরা পাররম্যান্স করার জন্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে।কিন্তু আমরা তো এগুলা দেখব না আমরা শুধু অপেক্ষায় আছি রাফা কখন স্টেজ এ উঠবে,আর আমরা কখন গলা ফাটাবো।
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান দিনাজপুর জেলা:
আনুমানিক 12 টার দিকে শেষ হয় স্থানীয় দের সব পারফম্যান্স।তাদের উপস্থাপনা গুলোও অবশ্য মন্দ ছিলো না বেশ ভালই উপভোগ্য ছিলো।কিন্তু আমাদের সেদিকে খুব একটা ঝোঁক ছিলো না কারণ আমাদের প্রধান আকর্ষণ হলো রাফা ভাই।এরপর আনুমানিক 1 টার দিকে স্টেজ কাপাতে আসে আমাদের রাফা ভাই।আর রাফা ভাই স্টেজে উঠতেই শুরু হায় দর্শকদের উম্মাদ উম্মাদনা।আর রাফা রাফা ধ্বনি প্রতিধ্বনি হতে থাকে আকাশ বাতাস।আর এটা চরম একটা মুহূর্ত ছিলো।আর এরপর সাউন্ড সিস্টেমটা তারা নিজদের মত করে ঠিক করে নেয়।আর শুরু হয়ে যায় রাফা ভাই এর সেই ফাটাফাটি সব চেনা গানগুলো।আর আমরাও গলা ফাটিয়ে গাইতে থাকি।আর আজকে তো আমার গলা থেকে কোনো আওয়াজ এই বের হচ্ছে না কালকের সেই উত্তেজনায়।আর সবার সেই গোল হয়ে নাচ কিংবা মাথা ঝুকানো কিংবা কাধে কাধ রেখে লাফনো সেই ছিলো পুরো ব্যাপার।যদিওবা কনসার্ট মানে এরকমই।আর একে একে গাইতে থাকতো রাফা ভাই এর সেই জনপ্রিয় গান গুলো,হার কালা,আমি আকাশ পাঠাবো,আনমনে১ ও ২।আর আমরাও রাফা ভাই এর সাথে তাল মিলিয়ে গাইতে থাকলাম সব গান।আর প্রথম ছবিতে যাকে দেখতে পাচ্ছেন উনিয় হচ্ছে রাফা,যাকে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে টেলেন্টেড মিউজিসিয়ান হিসেবে বিবেচিত করা হয়।আর পরে যাকে দেখতে পাচ্ছেন উনি হচ্ছে ব্যান্ডের গিটারিস্ট উনার নাম টা ঠিক মনে নেই তবে বাংলাদেশের মধ্যে উনিও একজন সেরা বেজ গিটারিস্ট।কনসার্ট শেষে আমরা সবাই রাফা ভাই এর সাথে দেখা করি এবং সবাই এত দুর থেকে এসেছে জেনে উনি ভীষণ খুশি।এবং উনি সরাসরি ওনার হোটেল এর অ্যাড্রেস আমাদের দেয় যেনো আমরা ওখানে গিয়ে ওনার সাথে দেখা করি।
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান দিনাজপুর জেলা:
এরপর আমরা সবাই হোটেল এ যাই এবং রাফা ভাই ও খাওয়া দাওয়া শেষ করে ফ্রি হয়ে এসে আমাদেরকে উপরে ডেকে নেয়।আর তখন রাত বাজে প্রায় 3.30 মিনিট।ভাইকে আমাদের গ্রুপ এর কথা বলি এবং উনি এটা জেনে ভীষণ খুশি হয় আর আমাদেরকে এগিয়ে যাওয়ার দারুন পরামর্শ দেয়।এরপর আমরা সবাই মিলে ভাইকে ফুল দেই আমাদের গ্রুপ এর পক্ষ থেকে।এবং সবাই মিলে গ্রুপ ফটো তুলে সেলফি তুলে ভাই এর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে মেসে ফিরি।
ভিডিও:
কনসার্টের একাংশ:
সত্যিই বলতে প্রায় মাস ছয়েক পর আবারো এত সুন্দর একটি কনসার্ট উপভোগ করলাম সবার সাথে।সত্যিই দারুন ছিলো পুরো কনসার্টটি।আর আমরা যে গ্রুপটি ছিলাম আমরা সত্যিই সবচেয়ে বেশি এনজয় করেছি।তো আজকের মত এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ🌿

এখনো যে কিছু মানুষের মাঝে ব্যান্ডসঙ্গীত এতোটা জনপ্রিয় হয়ে আছে সেটা জেনে ভালো লাগলো। নব্বইয়ের দশক ছিল ব্যান্ড সংগীতের স্বর্ণালী সময়। তবে অবশ্য হেভি মেটালের খুব বেশি প্রচলন ছিল না। আমার যতদূর মনে পড়ে আমি একটি ব্যান্ড দলের নাম জানতাম যারা হেভি মেটাল গাইতো। সম্ভবত সেই ব্যান্ডের নাম ওয়ারফেজ। একটা সময় কলেজের কোন অনুষ্ঠান মানেই ছিল নামিদামি কোন ব্যান্ডদলের পারফরম্যান্স। এখন আমাদের এলাকায় সেই রেওয়াজটা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে আপনার একটি কথা নিয়ে আমি সন্দিহান। এই রাফা দক্ষিণ এশিয়ার সবচাইতে ট্যালেন্টেড মিউজিসিয়ান। এই স্বীকৃতি তাকে কে দিয়েছে বা আপনি কোথা থেকে শুনেছেন আমাকে একটু জানাবেন প্লিজ। আপনার পোস্টটা আপনি দারুন ভাবে গুছিয়ে লিখেছেন। পোস্টটা পড়ে বেশ ভালো লেগেছে। যদিও কিছু ভুল আছে। সেগুলো সংশোধন করে নেবেন অনুগ্রহ করে। ধন্যবাদ আপনাকে।
এখানে প্লাকার্ড হবে।
বানান গুলো ঠিক করে নিয়েছি ভাইয়া।
প্রথম বাংলাদেশের ব্যান্ড মিউজিক হচ্ছে পুরো বিশ্বের মধ্যে প্রমিসিং ব্যান্ড গুলোর মধ্যে অন্যতম।শুধু মাত্র ভাষার কারণে আমরা একটু পিছিয়ে আছি তারপরেও সারা বিশ্বের টপ 10 band গুলোর মধ্যে ওয়ারফেজ তিন নম্বরে আছে।তাহলে বুঝতেই পারছেন বাংলাদেশের ব্যান্ড মিউজিক কতটা শক্তপোক্ত অবস্থানে।আর 90 এর দশকে ব্যান্ড মিউজিক এর জৌলুস বেশি ছিলো এটা সত্য ভাইয়া কারণ ওইসময় সবাই কোয়ালিটি জিনিস টা বুঝত।কিন্তু এখন সোশ্যাল মিডিয়া এর যুগে এসে সবাই অখাদ্য খায় আর সস্তা মানের ভাইরাল কনটেন্ট দেখে এখন সবাই অভ্যস্ত। তবে এই সময়ে এসেও প্রচুর মিউজিক ফ্যান রয়েছে।কিন্তু যারা ম্যাচিউরড বিশেষ করে ছাত্র ছাত্রীরা বেশি শুনে থাকে ব্যান্ড মিউজিক,এবং যারা ব্যান্ড মিউজিক এর লিরিক্স বুঝতে পারার ক্ষমতা রাখে তাদের কাছে ব্যান্ড মিউজিক সবসময় সেরা।আর কোন কনসার্ট আর গান গুলোর ভিউজ দেখলেই বোঝা যায় মানুষ এখনও ব্যান্ড মিউজিক ভালোবাসে তবে সর্বস্তরের লোক নয় কেবল যারা ম্যাচিউরড।আর দক্ষিণ এশিয়ায় avoidrafa এর মত একজন মিউজিশিয়ান খুঁজে পাওয়া অনেক টাফ।আমি আবারও বলছি মিউজিশিয়ান কোনো ভোকালিস্ট বা শিল্পী হিসেবে না।তিনি একটা কমপ্লিট প্যাকেজ তিনি একাধারে একজন ভোকালিস্ট,লেখক,সুরকার,মিউজিক কম্পোজার,সাউন্ড মিক্সিং মাস্টার, প্রযোজক,গিটারিস্ট,ড্রামার,বেজ গিটারিস্ট,কিবোর্ড,বঞ্জো, সেতার, মান্ডলিন,হারমোনিয়াম, উকুলেলে সব বাজাতে পারেন আর শুধু বাজানো নয় সব গুলোতেই উনি সেরা। এমনকি সব ইনস্ট্রুমেন্ট বাজিয়ে তার সাথে ভোকাল ও দিতে পারেন যেটা মোটেও সহজ ব্যাপার না।আর সত্যিই বলতে ওনার ভোকাল এত সফট জে ওনার কোন অটো টিউন এর দরকার পড়ে না।আর এমন একজন মিউজিশিয়ান দক্ষিণ এশিয়া পরে ধরলাম পুরো বিশ্বে খুব কম সংখ্যক আছে।আর তাইতো তাকে অলিখিত ভাবে ব্যান্ড মিউজিক এর ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা একজন মিউজিশিয়ান ধরা হয়।আর এটাতে কোনো সন্দেহ নাই আর তাকে এই উপাধি দেওয়া হয় বাংলা ব্যান্ড মিউজিক এর পক্ষ থেকে।আর নিসন্দেহে বলাই চলে রাফা একজন সেরা মিউজিশিয়ান দক্ষিণ এশিয়ায়।তবে ইন্টারনেটে এরকম কোনো লিস্ট খুঁজে পাবেন না।
আপনার পুরো ব্যাপারটা আমার খুবই ভালো লেগেছে। ব্যান্ডের গান গুলো আমার নিজের ও খুব ভালো লাগে। আপনাদের সবাইকে একসাথে দেখে খুবই ভাল লেগেছে আমার। এভাবে এগিয়ে যান। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ব্যান্ড মিউজিক আপনারা খুবই ভালোবাসেন।আমি অবশ্য এই ধরনের গান তেমন একটা শুনি না।তবে আইয়ুব বাচ্চু এবং জেমসের গান শুনেছি।আপনাদের মিলনমেলার উৎসবটি অনেক ভালো লেগেছে।শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।
আমি অবশ্য মেটাল ঘরণা বেশি পছন্দ করি।আর সেই একটি সময় পার করেছি সবাই মিলে 🙂🤟
চমৎকার লাগল আপনার এই পোস্ট টি পড়ে। সত্যি আমার কাছেও এই ধরনের কনসার্ট গুলো খুবই ভালো লাগে। খুবই সুন্দর ভাবে বর্ণনার মাধ্যমে উপস্থাপন করেছেন ভাই। ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপানার জন্য শুভকামনা রইল ভাই।
বাহ ভালো লাগলো আপনার চমৎকার মন্তব্য দেখে।তবে সময় পেলে কনসার্ট এ যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
আমি আকাশ পাঠাবো তোমার মনের আকাশে খোলা মাঠে গাইবে তুমি আনমনে... খুব সুন্দর আনন্দঘন সময় কাটিয়েছেন বন্ধুদের সাথে। কন্সার্ট মানেই হুড়োহুড়ি , নাচানাচি । পোস্ট টি পড়ে খুবই আনন্দ পেলাম । অভয়েড রাফার গান আমিও শুনি । খুব ভালো মানের একজন সঙ্গীত শিল্পী । এর পাশাপাশি অনেক ভালো গিটার ও ড্রাম প্লে করে।
আমি নিজেও রাফা ভাইরের অনেক বড় ভক্ত। আপনি তার সাথে ছবি তুলেছেন এটা দেখে মনে হচ্ছে আপনি যদি আপনাদের সাথে থাকতাম আমিও ছবি তুলতে পারতাম। দেখেই বুঝা যাচ্ছে আপনারা সবাই অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ ভাই শেয়ারের জন্য।
অবশ্যই পারতেন,
আমাদের সাথে দেখা না করে কি আর রাফা ভাই যাইতে পারে🙂।তবে আপনারা তো লাকি আপনাদের ওইদিকে ঢাকায় প্রায় কনসার্ট হয়।