মাঝ রাতের গল্প (পর্ব-০৪)|| by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ২২শে চৈত্র | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | শনিবার | বসন্তকাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
গত সপ্তাহে এই গল্পের তৃতীয় পর্ব শেয়ার করার পরে আজকে আবার চতুর্থ পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। গ্রামের প্রত্যন্ত এক অঞ্চলে রহমত মিয়ার বসবাস। মাঠের মাঝামাঝি জায়গায় রহমত মিয়ার বাড়ি আর সন্ধ্যার পরবর্তীতেই মাঠের চারিপাশে নীরবতা নেমে আসে। মানুষের আনাগোনা একদমই থাকে না মাঝে মাঝে শেয়ালের ডাক আর ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক ছাড়া অন্য কোন শব্দ শুনতে পাওয়া যায় না। এমন পরিস্থিতিতে হঠাৎ একদিন মাঠের মধ্যে থেকে অদ্ভুত একটা শব্দের কারণে রহমত নিয়া রীতিমতো বিরক্ত হচ্ছিল তবে প্রথমদিকে বুঝতে পারছিল না আসলে এই শব্দটা কিসের থেকে আসছে।
পরবর্তীতে রহমত মিয়া যখন তার স্ত্রীর সাথে করে বাইরে বের হলো তখন মনে একটু সাহস পাচ্ছিল সেই সাথে তাদের হাতে বাতি জ্বলছিল। আগুনের শিখায় সামনের দৃশ্যটা আরো পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছিল তবে হঠাৎ করেই যখন বাতাসে আগুন নিভে গেল তখন আবার পরিস্থিতিটা আগের মতই অর্থাৎ চাঁদের আলোয় দিনের মত দেখা যাচ্ছে। প্রথম দিকে রহমত নিয়ার স্ত্রী বুঝতে না পারলেও রহমত মিয়া ঠিকই বুঝতে পেরেছে হঠাৎ এমন বাতাসে আগুন নিভে যাওয়ার কারণ কি?? যখন আগুন নিভে গেল তখন রহমত নেয়া তার স্ত্রীকে বলল আর সামনে যাওয়ার দরকার নেই চলো গিয়ে ঘুমাই মুরগির ঘর যেহেতু ঠিকঠাক আছে তাহলে আর রাত জেগে বাইরে থাকার কোন প্রয়োজন নেই। মূলত রহমত নিয়ে বুঝতে পারছিল আসলে এই শব্দটা কোথা থেকে আসছে আর কোন কিছু তাদেরকে বিরক্ত করার চেষ্টা করছে।
রহমত মিয়া যখন আবার ঘুমানোর প্রস্তুতি নেবে তখন চাঁদের আলোয় দেখতে পেল দূরে বড় বড় দুইটা গরু ছুটে মাঠের দিকে দৌড়ে বেড়াচ্ছে আর উদ্ভট এক ধরনের আওয়াজ করছে। গরু গুলো একটি আখের জমির কাছে গিয়ে লড়াই ধরেছে এমন দৃশ্য দেখে ভাবল যেহেতু তার জমির বাইরে এমন ঘটনা ঘটছে সেহেতু এত রাত্রে আর গরু তাড়ানোর কোন প্রয়োজন নেই আপাতত এখন ঘুমায় সকালবেলা উঠে সবকিছু দেখাশোনা করব। অদ্ভুত সেই শব্দ শুনতে শুনতেই রহমত মিয়া আর তার স্ত্রী তাদের সন্তানদেরকে নিয়ে আবার ঘুমানোর চেষ্টা করল দীর্ঘ সময় এরকম শব্দ শুনতে শুনতেই দুজনই হঠাৎ ঘুমিয়ে গেল পরবর্তীতে সকালবেলা তাদের ঘুম ভাঙলো। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই রহমত মিয়া দৌড়ে তার মুরগির ঘর আর তার গরুর ঘরের দিকে ছুটে গেল। মূলত তাদের মুরগির ঘর বা গরুর ঘরের দিকে কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা সেটা দেখার জন্য। রহমত নিয়ে সকালবেলা গিয়ে দেখল সবকিছু আগের মতই আছে কোন কিছুতেই বিন্দু পরিমাণে কোন পরিবর্তন হয়নি।
তখন রহমত মিয়া চিন্তা করলো রাতের বেলায় তো পাশের এলাকার আখের জমিতে দুইটি গরু লড়াই করছিল সেখানে গিয়ে দেখি কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা। দৌড়ে সে জমির কাছে গিয়ে দেখল আসলে সেখানেও বিন্দু পরিমানে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয় নাই অর্থাৎ আখের জমি আগের দিন যেমন ছিল ঠিক একইভাবে সেরকমই ছিল এমনকি দুইটা গরু আশপাশ দিয়ে হাটাহাটি করলে সেই গরু গুলোর পায়ের ছাপ থাকবে সেগুলো ও নেই। রহমত মিয়া তখন চুপচাপ চিন্তা করছিল আসলে রাত্রে কি স্বপ্ন দেখেছে নাকি বাস্তবেই এমন দৃশ্যগুলো দেখেছে। হাঁটতে হাঁটতে বাড়ির দিকে যেতে যেতে চিন্তা করছিল যদি তার স্ত্রীর কাছে এসব জিজ্ঞাসা করে সেক্ষেত্রে সেই একটু ভয় পাবে তাই রহমত মিয়া চিন্তা করছিল আসলে রাতের বেলায় সে কি দেখেছে??
রহমত মিয়া নিজে থেকে সবকিছু বুঝতে পারছিল তবে তার স্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করছিল যে সবকিছুই একদম স্বাভাবিক আছে অর্থাৎ তেমন কিছুই হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই দৈনন্দিন কাজের সাথে রহমত মিয়া যুক্ত হয়ে ব্যস্ত সময় পার করেছিল এবং পুরোটা দিন জমিতে নাঙ্গল দেওয়ার মাধ্যমে দিন পার করল। তবে যখনই সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছিল তখনই রহমত মিয়া মনে মনে চিন্তা করছিল রাতের বেলায় যেমন ঘটনা ঘটেছে আজকে রাতেও যদি এমন ঘটনা ঘটে সেক্ষেত্রে সে কি করবে বা তার স্ত্রীর সাথে যদি খারাপ কিছু হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে তার নিজের কি করনীয় থাকবে সেই বিষয়গুলো বারবার চিন্তা করছিল।
(..........চলবে)
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।


VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.