দ্বায়িত্ব পালনের চেষ্টা। || by @kazi-raihan

in আমার বাংলা ব্লগ9 months ago

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।

আজ -২৪শে আষাঢ় | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সোমবার | বর্ষা-কাল |


আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।



1000078485.png

Canva দিয়ে তৈরি



নিজেকে সব সময় কমবেশি কাজের উপরে রাখার চেষ্টা করি তাহলে সময়টা ভালোভাবে পার করা যায়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আমার ভাইয়া তার নিজের একটা কাজের জন্য ভারতের দিল্লি শহরে অবস্থান করছে যার কারণে এদিকের ব্যবসায়িক কিছু কার্যক্রমের দায়িত্ব এসে আমার কাঁধে পড়েছে। যেহেতু নিজেদের কাজ তাই চেষ্টা করছি নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে এই দায়িত্ব পালন করতে। হয়তো একটানা একমাস এরকম ব্যস্ততার মাঝে সময় পার করতে হবে। ভাইয়া ইন্ডিয়া থেকে আবার ফিরে আসলে হয়তো আগের মতো স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারব অর্থাৎ এত বড় দায়িত্ব থেকে নিজেকে একটু বিরত রাখতে পারব। তবে যেহেতু একমাস দীর্ঘ সময় তাই যত কষ্টই হোক দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাছাড়া আব্বু একটু অসুস্থ , ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার কারণে আমাকে একটু বেশি ছোটাছুটি করতে হচ্ছে। যাই হোক সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে এখন একটু ফ্রি হয়েছি তাই আজকের ব্যস্তদিনের কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য হাজির হলাম।



20240708_061344.jpg

20240708_062540.jpg

20240708_062546.jpg

20240708_063010.jpg

20240708_062614.jpg

20240708_063013.jpg



যেহেতু আব্বু একটু অসুস্থ তাই আব্বু সারাদিন দোকানে ছিল আর বাইরের কাজে আমাকে পাঠিয়েছিল যেহেতু দোকানে কাজের লোক আছে তাই দোকানে থাকলে খুব বেশি প্রেসার নিতে হয় না তবে বাইরে থাকলে একটু বাড়তি প্রেসারে থাকতে হয় সারাদিন রোদের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। আজকে সারাদিন কুষ্টিয়া শহরে কাজ ছিল সেই সাথে কুষ্টিয়া বড় বাজারে ও কিছু কাজ ছিল যেগুলো কমপ্লিট করার জন্য সকাল-সকাল কুষ্টিয়া রওনা হয়েছিলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা কমপ্লিট করে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। একটু সকাল সকাল বের হয়েছিলাম যার কারণে পথে খুব বেশি যানবাহনের চাপ ছিল না তাই সহজেই কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে এগিয়ে যেতে পেরেছিলাম। তাছাড়া যেদিন দোকানের কাজে কুষ্টিয়া যাই সেদিন একটু সকাল সকাল বের হই যেন দুপুরের মধ্যে ফিরে আসতে পারি যদিও কাজের চাপ বেশি থাকলে ফিরতে দেরি হয়।



1000078411.jpg

1000078480.jpg

1000078412.jpg

1000078413.jpg

1000078404.jpg

1000078405.jpg

1000078406.jpg

1000078407.jpg

1000078408.jpg

1000078409.jpg

1000078480.jpg



আমাদের বাসা থেকে কুমারখালী হয়ে কুষ্টিয়া শহরে যেতে হয় আর কুষ্টিয়া শহরে যাওয়ার সময় মীর মশাররফ হোসেন সেতু পাড় দিতে হয়। সেতুটা গড়াই নদীর উপর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। বলা চলে কুষ্টিয়ার দৃষ্টিনন্দন জায়গাগুলোর মধ্যে এটাও একটি। স্বাভাবিকভাবেই বর্ষার মৌসুমে যখন গড়াই নদীতে পানি ভরে ওঠে তখন এই সেতুর উপর থেকে সেই গড়াই নদীর ভয়ংকর রূপটা দেখা যায়। যখন নদীতে প্রচন্ড স্রোত থাকে আলাদা কিছু সৌন্দর্য দেখা যায়। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে এই সেতুর বিপরীত পাশে রয়েছে ইংরেজ আমলে তৈরি একটি রেল ব্রিজ। রেল ব্রিজের পিলার গুলোতে নদীর স্রোত এসে বাধা খায় আর সেই দৃশ্যটা সবচেয়ে বেশি সুন্দর লাগে। সকালবেলা কুষ্টিয়া যাওয়ার সময় সেখান থেকে বেশ কয়েকটি ছবি তুলেছিলাম এবং সেখানে কিছু সময় দাঁড়িয়ে সময় পার করেছিলাম সেই আঙ্গিকে কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছি যদিও ব্রিজের উপর থেকে ফোন ক্যামেরার মাধ্যমে মাছ ধরার নৌকা নিয়ে একজন ব্যক্তি ছবিও তুলেছিলাম। ফোন দিয়ে জুম করে কিছুটা কাছে টেনে এনে ছবিগুলো তোলা।



1000078418.jpg

1000078461.jpg



সেখান থেকে সোজা আমার কাজের লোকেশনে চলে গেলাম। একজন ব্যক্তির সাথে দেখা করার দরকার ছিল তার জন্য কিছু সময় অপেক্ষা করতে সে আমাকে ফোন করে বলল আমার বাসার সামনে চলে আসো। আমি আবার তার বাসার সামনে গিয়ে তাকে নিয়ে আমার কাজের স্থানে চলে আসলাম সেখানে আমি কিছু কাজ শেষ করে আবার কুষ্টিয়া শহরের ভেতরে প্রবেশ করলাম। বড় বাজারে কিছু কাজ ছিল সেগুলো কমপ্লিট করে ঘড়ির কাঁটায় দেখলাম বারোটা বেজে গিয়েছে। আমার ছোট ভাই রিফাত কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনে লেখাপড়া করত বর্তমানে তার এইচএসসি পরীক্ষা চলছে। রিফাতের সাথে দেখা করার জন্য আবার ওর বাসার দিকে রওনা হলাম। সেই সাথে আমার কিছু কেনাকাটাও ছিল।ওর যেহেতু পরীক্ষা চলছে তাই ওর কিছু কেনাকাটা করা দরকার ছিল। যদিও পরীক্ষার আগে কেনাকাটা করেছে তবে তার পরেও যেহেতু আমি কেনাকাটা করছি তাই ওর জন্য না কিনলে বিষয়টা কেমন হয়ে যায়। দুজনেই সেইম প্যান্ট নিয়েছিলাম। যাই হোক রিফাত কে তার বাসায় নামিয়ে দিয়ে আমি সোজা লাহেনি বটতলা এসে বাকি কাজ শেষ করে যোহরের নামাজ আদায় করে বাসায় ফিরে আসি।

তবে আজকে সারাদিন প্রচন্ড রোদ ছিল যার কারণে বাইক নিয়ে চলাফেরা করতে অনেকটা কষ্ট হয়েছে। হাতে যখন রোদ লাগছিল যেন মনে হচ্ছিল হাত পুড়ে যাচ্ছে আবার পায়ে রোদ লাগলেও ঠিক একই অবস্থা। যখন বাসায় ফিরছিলাম তখন বুঝতে পারছিলাম আজকে রোদের প্রচন্ড তাপ কেননা রাস্তার পিচ গলতে শুরু করেছিল এমন অবস্থা।



⬇️📥⬇️📥
ডিভাইসSamsung galaxy A52
ফটোগ্রাফার@kazi-raihan
লোকেশন
সময়জুলাই,২০২৪



🔚সমাপ্তি🔚




এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।

সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan



আমার পরিচয়


20230226135443_IMG_2201-01.jpeg

আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।



break .png

Banner.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 9 months ago 

যেহেতু বড় ভাইয়া দেশের বাহিরে গিয়েছেন তাইতো আপনার উপর অনেকটা দায়িত্ব পড়েছে। আর আংকেল যেহেতু অসুস্থ তাই বাইরের কাজে আপনাকে দৌড়াদৌড়ি করতে হচ্ছে। রোদের মধ্যে বাইক চালানো সত্যি অনেক কষ্টের। আপনি আপনার ব্যস্ততার মাঝেও নিজের অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।

 9 months ago 

সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 9 months ago 

বন্ধু তুমি অনেক ভালো দায়িত্ব পালন করতে পারো সেটা আমরা জানি। সবার দায়িত্ব একজনের উপর করলে কষ্টটা একটু বেশি হয়ে যায় তারপরেও তো কিছু করার নেই দায়িত্ব পালন তো অবশ্যই করতে হবে। অনেকদিন হলো কুষ্টিয়া শহরে যায় না যেতে ইচ্ছা করছে খুব। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে বিস্তারিত ভাবে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 9 months ago 

অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু।

 9 months ago 

আসলে পরিবারের জন্য কোন দায়িত্ব পালন করার মধ্যে কিন্তু শান্তি আছে। আপনার বড় ভাই ইন্ডিয়া যাওয়ায় এক মাসের জন্য কিছু দায়িত্ব আপনার ওপর এসে পড়েছে। যাক এক মাস পর তো আপনি আবার ফ্রি হয়ে যাচ্ছেন। তবে আজ কিন্তু আপনি অনেক দায়িত্বে পালন করেছেন বোঝা যাচ্ছে। প্রচন্ড রোদের মধ্যে বাইক নিয়ে অনেক কাজি করেছেন দেখলাম।তবে আপনাদের কুষ্টিয়া কিন্তু দেখতে অনেক সুন্দর আপনার পোস্টটি দেখে বোঝা গেল।

 9 months ago 

সত্যি বলতে আপু পরিবারের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আমি অনেক সিরিয়াস সেটা সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করি।

 9 months ago 

ব্যস্ততা থাকা ভালো ব্যস্ততা মানুষকে সব রকম অন্যায় অবিচার বা সব রকম খারাপ কাজ থেকে মানুষকে বিরত রাখে। পোস্টটি পড়ে আমার অনেক ভালো লাগলো আপনার ভাইয়া দিল্লিতে যাওয়ার কারণে সমস্ত দায়িত্ব আপনার কাঁধে এসে পড়েছে, এটা শুনে ভালো লাগলো। আপনার ভাইয়া ফিরে না আসা পর্যন্ত সমস্ত দায়িত্ব সুন্দরভাবে পালন করবেন সে আশা করছি ,আপনার সমস্ত ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে ,ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 9 months ago 

এই কথাটার দাম দিলাম ব্যস্ততা থাকা ভালো মানুষ কিভাবে দিনের সময়টা পার করে সেটা বুঝতে পারে না।

 9 months ago 

আমার মনে আছে, কিছুদিন আগেও আপনি এই সেতুর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছিলেন। তখন গড়াই নদীতে পানি ছিল না। নিচে বালু আর বালু দেখেছিলাম। আজকে কুষ্টিায়ার বিখ্যাত মীর মশাররফ হোসেন সেতুর নিচটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। গড়াই নদীতে পানি এসেছে। নদীতে পানি না থাকলে সুন্দর লাগে না। ধন্যবাদ।

 9 months ago 

হ্যাঁ হ্যাঁ ভাই তখন গড়াই নদীর পানি ছিল না আর এখন গড়াই নদীতে নতুন পানি এসেছে বলে এই ছবিগুলো শেয়ার করলাম।

 9 months ago 

আপনার ভাইয়া দেশের বাইরে থাকেন আর আপনার আব্বু অসুস্থ থাকাতে বাইরের সমস্ত কাজ আপনার কাঁধে এসে পড়েছে।আসলে দায়িত্ব এভাবেই চলে আসে বলতে গেলে সিরিয়াল ওয়াইজ।এখন অনেকটা দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে আপনার।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

 9 months ago 

চেষ্টা করছি সঠিকভাবে নিজের দায়িত্বটা নিজের জায়গা থেকে পালন করতে।