মাঝ রাতের গল্প (পর্ব-০৫)|| by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ৩০শে চৈত্র | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রবিবার | বসন্তকাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
গত সপ্তাহে এই গল্পের চতুর্থ পর্ব শেয়ার করেছিলাম যেহেতু প্রতি সপ্তাহে গল্পের একটি করে পর্ব শেয়ার করি সেই ধারাবাহিকতা চলতি সপ্তাহে এই গল্পের পঞ্চমতম পর্ব আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য হাজির হলাম। এই গল্পের মাধ্যমে গ্রামের অতি দরিদ্র রহমত মিয়ার জীবনের এক অংশ তুলে ধরেছি। যারা প্রথম থেকেই আমার এই গল্পের প্রথম পর্বগুলো পড়েছেন তারা অবশ্য জানেন উক্ত গল্পের রহমত আলী খুবই দরিদ্র জীবন যাপন করে। মাঠের মাঝে মাঝে অবস্থানে তার ছোট্ট একটি ঘর আর ছোট ঘরে তার ছোট্ট সংসার। বহু আগের কথা তখন গ্রামের কোন অঞ্চলেই বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি তাই সন্ধ্যার পরেই চারিপাশটা অন্ধকার হয়ে থাকে।
চতুর্থ পর্বে রহমত মিয়া রাতের বেলায় অদ্ভুত কিছু দেখার পরে দিনের বেলায় জায়গা টা পরিদর্শন করে দেখলো আসলে সবকিছুই ঠিকঠাক আছে তবে রাতের বেলায় সে যেটা দেখেছে সেটা কি ভুল ছিল?? অদ্ভুত সেই প্রাণীটি তাহলে কি ছিল এমনটা বারবার চিন্তা করছিল কিন্তু কোন কিছুই ভেবে পাচ্ছিল না আসলে রাতের বেলায় সে কি দেখেছে। দিনের ব্যস্ততা পেরিয়ে আবার সন্ধ্যাগ ঘনিয়ে আসলো সেই সাথে রহমত মিয়ার টেনশন বৃদ্ধি পাচ্ছিল। আগের দিন রহমত মিয়ার স্ত্রী রাতের বেলায় যখন বাইরে বের হল তখন রহমত মিয়ার স্ত্রী সবকিছু বুঝে ওঠার আগেই সে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে কেননা রহমান স্ত্রী যদি ভয় পায় সে ক্ষেত্রে তার সন্তানেরাও রাতের বেলায় বিপদগ্রস্ত হয়ে যাবে কেননা রহমত মিয়ার বাড়ি পুরোপুরি মাঠের মাঝামাঝি জায়গায় যেখান থেকে সহজে কেউ শুনতে পারবে না।
রহমত মিয়া চিন্তা করল রাতের বেলায় যদি তার বাড়ির পাশে বা তার ঘরের পাশে দাউ দাউ করে আগুন জলে তাহলে অদ্ভুত কিছু তার ঘরের পাশে বা তার বাড়ির পাশে আসবেনা তার ধারণা আগুন দেখে সবকিছুই ভয় পায়। এই চিন্তা করে রহমত নিয়া তার স্ত্রীকে না জানিয়ে কোন কিছু বুঝতে পারার আগেই কিছু কাঠ খড়ি দিয়ে বাড়ির উঠানের উপরে আগুন জ্বালানোর পূর্ব বস্তুতি নিয়ে রাখলো। এদিকে কিছু সময় পার হওয়ার পরেই ধীরে ধীরে সন্ধানেমে আসছিল আর রহমত মিয়ার মনে ভয় বৃদ্ধি পাচ্ছিল তবে সে সবসময় তার স্ত্রীর সামনে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করছিল কারণ সে ভয় পাচ্ছে এ বিষয়টি তার স্ত্রী জানতে পারলে তার স্ত্রী নিজেও অনেক বেশি ভয় পাবে তাই রহমত মিয়া তার স্ত্রীর সামনে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করছিল এবং বোঝানোর চেষ্টা করছিল যে সবকিছু স্বাভাবিক আছে। প্রতিদিনের মতো সন্ধ্যা ঘনি আসার পরে রহমত মিয়া তার হাঁস মুরগি সহ তার গরু গুলোর খাবার দিয়ে ঘরে তোলার কাজ শেষ করল তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকে যেন রহমত নিয়ে একটু তাড়াহুড়ো করছে। এমনটা দেখে রহমত মিয়ার স্ত্রী তাকে প্রশ্ন করে বসলো কিগো আজকে এত তাড়াহুড়ো কিসের কোথাও যাবে নাকি?? রহমত মিয়া প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়ে চুপচাপ কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করছিল।
রহমত মিয়া তার কাজ শেষ করে যেন ঘর দরজা বন্ধ করে নিজেকে আড়াল করতে ব্যস্ত। রহমত মেয়ের স্ত্রীর চিন্তা করল সারাদিন অনেক পরিশ্রম করেছে তাই হয়তোবা তার শরীর অনেকটা ক্লান্ত এজন্য দ্রুত ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। ধীরে ধীরে সন্ধ্যা পেরিয়ে এশার আজান শুনতে পেল তখন থেকেই আকাশে বিদ্যুৎ চমকাতে শুরু করল মাঝে মাঝে মেঘের গুড়ুম গুড়ুম ডাক শুনে বুঝতে পারছিল হয়তো বা বৃষ্টি হবে। হঠাৎ এমন মেঘের শব্দ শুনে রহমত মিয়া তার স্ত্রীর কাছে বলছিল হয়তোবা বৃষ্টি হবে আর বৃষ্টি হলে তার মাঠের ফসল গুলো ভালো হবে এরকম নানান কথা বার্তায় দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরে তারা দুজনে ঘুমিয়ে গেল।
মাঝরাতে রহমত মিয়ার ঘুম ভেঙ্গে গেল। ঘুম ভেঙে যাওয়ার পরে বাইরে ঘুরে ঘুরে বৃষ্টির শব্দ শুনতে পেল। তার মনের মধ্যে কিছুটা ভয় কাজ করছিল তবুও নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছিল আর মনে সাহস যোগানোর চেষ্টা করছিল। গুরু গুরু বৃষ্টিতে রহমত মিয়া আবার ঘুমিয়ে যাচ্ছিল হঠাৎ তার গরুর ঘর থেকে ছোট্ট বাছুরের ডাকে তার ঘুম ভেঙে গেল আর মনের মধ্যে তীব্র ভয় কাজ করতে শুরু করল।
(..........চলবে)
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।


VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Daily Tasks.
Link 🔗
https://x.com/KaziRai39057271/status/1911467283521962223?t=p7Gvy7kFGgm5W_yYS7Ku2A&s=19
https://x.com/KaziRai39057271/status/1911467550610960609?t=u25IkwWTPDHpW1zm3u8-Tw&s=19
https://x.com/KaziRai39057271/status/1911468696398446628?t=ZtLhLyhiM5xXY6Chfljtog&s=19
https://x.com/KaziRai39057271/status/1911468962095022570?t=Zd2Lj_Zht9ygwBGtMsD2fg&s=19
https://x.com/KaziRai39057271/status/1911469380233506949?t=EaZ1YjBU1aJ55XpEwQJSZw&s=19
https://x.com/KaziRai39057271/status/1911469664162730304?t=eS6hxRj3bzyTsDTZwG94Og&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
তোমার লেখা অসাধারণ! একদম যেন চোখের সামনে রহমত মিয়ার সেই গ্রাম্য জীবনের দৃশ্যগুলো ভেসে উঠছে। গল্পের ধারাবাহিকতা দারুণভাবে বজায় রেখেছো, বিশেষ করে রহস্য আর উত্তেজনার মোড়ে পাঠকদের কৌতূহল ধরে রাখার পদ্ধতিটা সত্যিই প্রশংসনীয়। পঞ্চম পর্বে রহমত মিয়ার মানসিক উদ্বেগ, স্ত্রীর প্রতি দায়িত্ববোধ এবং অজানার ভয়—সবকিছু খুবই স্বাভাবিক আর বাস্তবভাবে উঠে এসেছে। আগুন জ্বালানোর সিদ্ধান্তে তার বুদ্ধিমত্তা যেমন দেখা গেছে, তেমনি স্ত্রীর সামনে ভয় গোপন করার চেষ্টা রহমতের একজন দায়িত্বশীল পরিবারের কর্তার চরিত্রকেও ফুটিয়ে তুলেছে।