বিকেলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন তথা সামাজিক কাজের সময় কিছু মুহূর্ত পার্ট-১ | ১০% লাজুক খ্যাঁক এর জন্য
আশাকরি সকলেই সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে সুস্থ আছেন এবং ভাল আছেন। সেই সাথে আশা করি আপনারা যেখানেই থাকুন না কেন পরিবার পরিজন নিয়ে ভালো সময় কাটাচ্ছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমাদের সামাজিক কাজ করার সময় কিছু মুহূর্ত এবং সামাজিক কাজ সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
বর্তমানে এক বছরের জন্য প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে বান্দরবানের পিটিআই প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণরত রয়েছি। প্রশিক্ষণের একটি অংশ হচ্ছে সামাজিক কাজ। আর সামাজিক কাজের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট নম্বর বন্টন করা আছে। সামাজিক কাজের জন্য ১৫ মার্ক বরাদ্দ আছে। তাই আমাদেরকে বিভিন্ন সামাজিক কাজ করতে হয়। ক্লাস শেষে বিকেলবেলা বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কাজ করতে হয়। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিনের মতো বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কাজ করতে হয়।
সামাজিক কাজের অংশ হিসেবে আমাদের প্রতিষ্ঠানের রাস্তা, মাঠ, হোস্টেলের চারপাশ এবং প্রতিষ্ঠানের চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হয়। বিশেষ করে বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনা যেমন কাগজ, বোতল কিংবা শুকনো পাতা কুড়াতে হয়। সেইসাথে বাগানের পরিচর্যা করতে হয়। আমাদের প্রতিষ্ঠানে অনেক ফুলের গাছ রয়েছে। সেই ফুলের গাছ গুলোর অতিরিক্ত ডালপালা কেটে ফেলতে হয় এবং ফুলের গাছ গুলো চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হয়। তাছাড়া রাস্তায় থাকা দূর্বাঘাস কিংবা অন্যান্য ঘাস গুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হয়। এই কাজগুলো সবার জন্য বাধ্যতামূলক। যেত এই কাজের উপর ১৫ মার্ক রয়েছে।
এই কাজগুলো করার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে যেন আমরা যেকোন কাজ নিজেরাই করতে পারি। এটি সত্যি বলতে ভালো একটি উদ্যোগ। যদিও প্রথম প্রথম কিছুটা আনইজি মনে হতো। কিন্তু এখন কাজ করতে বেশ ভালই লাগে। কারণ আমরা যখন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করি তখন চারপাশ দেখতে খুব সুন্দর দেখায়। তখন নিজেদের কাছে অনেক ভালো লাগে।
আমাদেরকে কয়েকটি দলে ভাগ করে দেয়া হয়েছে। এবং প্রতি দলে সাত থেকে আট জন করে একটি নির্দিষ্ট অংশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হয়। আমরা মূলত আমাদের একাডেমিক ভবনের একাংশ এবং সুপার কোয়ার্টারস এর একাংশ আমরা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখি। যদিও আমাদের দলের সদস্য সংখ্যা বেশী ছিল কিন্তু কয়েকজন মেয়ে সদস্য সক্রিয় নয় এবং কয়েকজন অলস প্রকৃতির। তাই সব সময় আমাদের চার থেকে পাঁচজনকে সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম করতে হয়।
তারপর আমরা সকলে ময়লা-আবর্জনা একটি জায়গায় এনে রাখি এবং সেই ময়লা গুলোতে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেই। যদিও এটা পরিবেশের জন্য কিছুটা ক্ষতিকারক। কিন্তু এছাড়া এখানে অন্য কোন উপায় নেই। তাই বাধ্য হয়ে এগুলো পুড়ে ফেলতে হয়। এখানে পাহাড়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় যেন পাহাড়ের নিচে পড়া পাতা এবং আবর্জনাগুলো পুড়ে যায় এবং সেখানে পাহাড়িরা জুম চাষ হয়ে থাকে।
ছবির ধরন | সামাজিক কাজের ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইসের নাম | স্যামসাং গ্যালাক্সি জে ৭ |
ফোকাস দূরত্ব | ৩.৬ মি.মি. |
ফটো লোকেশন | রেইছা থলিপাড়া, বান্দরবান |
লোকেশন | W3W লোকেশন |
ফটোগ্রাফার | kawsar8035 |
আমি মোঃ কাউছার হাসান। জন্মসূত্রে একজন বাংলাদেশী নাগরিক। তাই নিজেকে বাংলাদেশি হিসেবে পরিচয় দিতে স্বচ্ছন্দ বোধ করি। কেননা এদেশের প্রকৃতির মাঝে আমার বেড়ে ওঠা এবং এদেশের বুকে আমার বসবাস। পেশায় একজন শিক্ষক। সব সময় নতুন কিছু শেখার মাধ্যমে আনন্দ খুঁজে পাই এবং সেইসাথে প্রকৃতির মাঝে ভ্রমণ করার মাধ্যমে নিজেকে খুঁজে পাই।
আপনার মতো আমাদের সবাইকে এই সব কাজে সময় দেওয়া উচিত। পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে মনও ভালো থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা সত্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে মন ভালো থাকে। ধন্যবাদ
আমি বলব আপনি খুবই ভালো কাজ করছেন ভাই, আসলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন তাহলে ঈমানের অঙ্গ। যদি এই সামাজিক কাজ করে মানুষকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে সাহায্য করে সেটা তো খুবই ভালো কাজ। অনেক অনেক ধন্যবাদ এই মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
অনেক সুন্দর একটি বাক্য তুলে ধরেছেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। তাছাড়া আমাদের চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে আমরাই এথেকে সুবিধা পাই। ধন্যবাদ।
শুধু নম্বর পাবার জন্য নাহয়ে এই সামাজিক কাজ গুলো যদি আমরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ এলাকায় করতাম তাহলে আমাদের আশেপাশের পরিবেশের চেহারাই পাল্টে যেত। সচেতন মানুষই কেবল পারে সুন্দর একটি সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর পোস্টের জন্য।
এটা ঠিক বলেছেন নম্বর পাওয়ার জন্য নয় বরং আমরা যদি নিজ উদ্যোগে এই কাজগুলো করতাম তাহলে আমরা আমাদের পরিবেশ সুন্দর রাখতে পারতাম। ধন্যবাদ
আপনি তো বেশ ভালো একটা কাজের উদ্যেগ নিয়েছেন হাতে।ভালো উদ্যেগ বললাম এই জন্য যে এই জঙ্গল বা আগাছার ভিতরে এডিস মশাগুলো তাদের আবাসস্থল বানায় আপনি যে উদ্যেগ নিয়েছেন সেই ক্ষেত্রে, মশাগুলো আর জম্মানোর সুযোগ পাবে না।
এটা আমার একার উদ্যোগ না। এখানে সকলেই মিলেমিশে এই কাজ করছেন।
যে কোন কাজ ছোট নয়, সব কাজই মর্যাদায় ভালো। আপনি সমাজ যে কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন এটা প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। সামাজিক কাজে নিজেকে যতটা বিলিয়ে দিবেন। মানুষ ততটা আপনাকে আপন করে নেবে। আর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ, এটা আমরা সবাই জানি। আপনি খুব সুন্দর করে আপনার মনের ভাবগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
অনেক সুন্দর কিছু কথা বলেছেন। পৃথিবীর যে কোনো কাজই ছোট নয়। সকল কাজই সম্মানের। ধন্যবাদ
আসলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় হলো মূল ব্যাপার এখানে আনইজি ফিল করার কোন প্রশ্নই থাকেনা। যাই হোক ভাল লাগলো আপনাদের এই কর্মকান্ড দেখে। এবং এই প্রশিক্ষণ শেষে এই অর্জন আপনারা আপনাদের বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করবেন এই প্রত্যাশা রইল।
সত্যিই ভাই আপনার মুখের হাসি দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনি খুব সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।আসলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন তাহলে ঈমানের অঙ্গ। সামাজিক কাজে আপনি নিজেকে নিবেদিত করায় আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন।