কাগজ ও ব্রাশ পেন দিয়ে পকেট নোটবুক তৈরি করা। DIY পোস্ট।
কাগজ কেটে একটি পকেট নোটবুক বানানো
আজ আপনাদের সামনে নিয়ে আসব একটি সুন্দর হাতে তৈরি করা ছোট নোটবুক। কাগজ কেটে তাকে ভাঁজ করে ভাঁজ করে সাজিয়ে একটি ছোট নোটবুক তৈরি করার চেষ্টা করেছি। যে কোন কাজে নোটবুক বা ডাইরি আমাদের বহুল কাজে লাগে। তাই ভেতরে কিছু পৃষ্ঠা দিয়ে উপরে মলাট দিয়ে একটি ডাইরি তৈরি করে এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সামনে তুলে আনার চেষ্টা করলাম। এই কাজে আমার সঙ্গে ছিল আমার কন্যা। তার সহায়তায় এই নোটবুকটি আমি তৈরি করেছি। এখন ধাপে ধাপে আপনাদের সামনে তুলে আনছি এই নোটবুকটি তৈরীর পদ্ধতিগুলি।
- কাগজ
- কাঁচি
- ব্রাশ পেন
- ফেবিকল
প্রথমেই একটি এ ফোর সাইজ কাগজ নিলাম।
দ্বিতীয় ধাপে কাগজটিকে লম্বালম্বি ভাবে চারটি ভাঁজে ভাঁজ করে নিলাম।
এরপর ওই ভাঁজ বরাবর কাগজটিকে লম্বালম্বি ভাবে কাটলাম। কাটবার সময় ওই অংশের শেষ ভাগ টুকু থেকে আবার বিপরীত দিকে কাটতে হবে। যাতে সম্পূর্ণ কাগজটি চার ভাগে আলাদা না হয়ে যায়।
এরপর কাগজটির কাটা অংশগুলি একত্রিত করে ঠিক ছবির মত করে ধরতে হবে। এতে নোটবুকের পাতাগুলি একত্রিত হবে।
এরপর একটি রঙিন কাগজ কেটে নোটবুকের মলাট বানাতে হবে।
রঙিন কাগজে কাটা মলাটটির ভিতরে কাগজের অংশগুলি আঠা দিয়ে আটকে দিতে হবে। এর ফলে নোটবুকের প্রধান অংশটুকু তৈরি হবে।
এরপর মলাটের উপরে ব্রাশ পেন দিয়ে রঙিন ডিজাইন করে দিলাম। এর ফলে নোটবুকটি দেখতে ভালো হলো। এছাড়াও একটি সরু সাদা কাগজ কেটে নোটবুকটির একটি লক বানিয়ে দিলাম। যাতে পকেটে থাকাকালীন এই নোটবুকটি খুলে না যেতে পারে।
এখন আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি তৈরি হয়ে যাওয়া সম্পূর্ণ নোটবুকটি
আমার বানানো এই নোটবুক যদি আপনাদের ভালো লাগে নিজেরা চেষ্টা করতে পারেন। পোস্টে মন্তব্য করে আপনাদের অনুভূতির কথা নিশ্চয় জানাবেন।
🙏 ধন্যবাদ 🙏
(১০% বেনিফিশিয়ারি প্রিয় লাজুক খ্যাঁককে)
--লেখক পরিচিতি--
কৌশিক চক্রবর্ত্তী। নিবাস পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায়। পেশায় কারিগরি বিভাগের প্রশিক্ষক। নেশায় অক্ষরকর্মী। কলকাতায় লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের সাথে দীর্ঘদিন যুক্ত৷ কলকাতা থেকে প্রকাশিত কবিতার আলো পত্রিকার প্রধান সম্পাদক। দুই বাংলার বিভিন্ন প্রথম সারির পত্রিকা ও দৈনিকে নিয়মিত প্রকাশ হয় কবিতা ও প্রবন্ধ। প্রকাশিত বই সাতটি৷ তার মধ্যে গবেষণামূলক বই 'ফ্রেডরিক্স নগরের অলিতে গলিতে', 'সাহেবি কলকাতা ও তৎকালীন ছড়া' জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সাহিত্যকর্মের জন্য আছে একাধিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি। তার মধ্যে সুরজিত ও কবিতা ক্লাব সেরা কলমকার সম্মান,(২০১৮), কাব্যলোক ঋতুভিত্তিক কবিতায় প্রথম পুরস্কার (বাংলাদেশ), যুগসাগ্নিক সেরা কবি ১৪২৬, স্রোত তরুণ বঙ্গ প্রতিভা সম্মান (২০১৯), স্টোরিমিরর অথর অব দ্যা ইয়ার, ২০২১, কচিপাতা সাহিত্য সম্মান, ২০২১ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
ধন্যবাদ জানাই আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবন্ধুদের৷ ভালো থাকুন, ভালো রাখুন।
https://x.com/KausikChak1234/status/1849143536198766835?t=bGJYvxzH8S1TwqAmLDQDBA&s=19
আমার কিন্তু এরম একটা ডাইরি চাই। অর্ডার দিলুম, এবারে দেখা হলেই এটা নেব।
দারুণ হয়েছে! গোলাপি কভারটাও চমৎকার৷ আচ্ছা ওই ব্রাশ পেনগুলো কোথায় পেয়েছ গো? আমারও চাই। অনেকদিন কিছু দাওনা হাড় কিপ্টে লোক এই সব স্টেশনারি গিফট করতে পার তো! ফ্রেন্ডশিপ ডে গেল, বেস্ট ফ্রেন্ডশিপ ডে গেল, রাখীবন্ধন গেল। কোন রিটার্ন গিফট নাই। হোপলেস! 😜😜
সব দেবো সব দেবো। তবে এই নোটবুকটি তোর ভালো লেগেছে বলে আমি আপ্লুত। ভালোবাসা ভালোবাসা
খুব সুন্দর একটা পকেট নোটবুক তৈরি করেছেন। এ পকেট নোটবুক গুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনের জন্য বেশ প্রয়োজনীয়। আপনি খুব সুন্দর ভাবে নোটবুকটা তৈরি করেছেন। কভার পেজ ভালোই লাগছে দেখতে। এত চমৎকার একটা নোটবুক তৈরি করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার বানানো নোটবুক দেখে এমন সুন্দর ভাবে আমাকে অনুপ্রাণিত করবার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপনি তো দেখতেছি কাগজ দিয়ে খুব সুন্দর নোটবুক বানিয়েছেন। আসলে কাগজ দিয়ে কিছু বানাতে যেমন ভালো লাগে দেখতে ও বেশ চমৎকার লাগে।এই নোটবুক কাউকে গিফট করলে সে অনেক খুশি হবে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে কাগজ দিয়ে নোটবুক বানিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার বানানো নোটবুক আপনার পছন্দ হয় আমি আপ্লুত। এভাবেই পাশে থাকবেন
ঠিক বলেছেন আপু যে কোন কাজে এরকম ছোট ডায়েরি গুলো খুব কাজে লাগে। বিশেষ করে ছোট ছোট নোটগুলো উঠিয়ে রাখার জন্য। আপনি আজকে খুব চমৎকার করে রঙিন কাগজ দিয়ে মিনি ডায়েরী তৈরি করেছেন। উপরে ফুলের ডিজাইনটি করার কারণে আরো বেশি ভালো লাগছে দেখতে।
খুব ভালো লাগলো সম্পূর্ণ কাজটি দেখে মন্তব্য করলেন বলে। কিন্তু আমি তো আপু নই। ভাই বা দাদা হতে পারি৷ 🤣
তোমার তৈরি করা কাগজ ও ব্রাশ পেন দিয়ে পকেট নোটবুক আমার কাছে দারুণ লেগেছে। এটা পকেটে থাকা খুব দরকার এবং প্রয়োজনীয়। ভালো থেকো, ভালো রেখো, শুভ কামনা সব সময়।