পত্রিকা নিয়ে বাগবাজার বইমেলায় দুদিন বসবার অভিজ্ঞতা।
পত্রিকা নিয়ে বাগবাজার বইমেলায় বসবার অভিজ্ঞতা
🙏 সকলকে স্বাগত জানাই 🙏
বইমেলা মানেই মিশে থাকে কিছু ভালোলাগা এবং ভালোবাসার কথা। কলকাতা বইমেলা হওয়ার পর থেকে যেন অনেকটা খালি খালি অনুভব করছিলাম। আর তারপরেই এসে যায় আরেকটি ছোট বইমেলাতে বসবার সুযোগ। আসলে বইমেলা মানেই বইয়ের সঙ্গে একাত্ম হয়ে বেশ কিছুদিন থাকা। আর বইয়ের সঙ্গে থাকতে যারা ভালোবাসে তাদের কাছে এ এক সুবর্ণ সুযোগ। আমিও বিভিন্ন বইমেলার টেবিলে নিজের পত্রিকা কবিতার আলো নিয়ে বসতে ভালোবাসি। সেখানে যেমন নিজের পত্রিকার প্রচারের প্লাটফর্ম পাওয়া যায়, ঠিক তেমনভাবেই প্রচুর মানুষের সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগ থাকে। কলকাতা বইমেলায় যেমন প্রচুর পরিমাণ পাঠক এবং কবিদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম টেবিল থেকে। পরবর্তী সময়েও বিভিন্ন বইমেলায় সেই সুযোগ থাকে। তাই বইমেলাগুলিতে পত্রিকা নিয়ে বসবার সুযোগ পেলে আমি চেষ্টা করি সেগুলিতে বসার। বইকে কেন্দ্র করে মানুষের সঙ্গে মিলিত হলে বাড়ে জ্ঞানের আদান-প্রদান। আর সেখান থেকেই পত্রিকার পরিচিতি বৃদ্ধি পায়।
কলকাতা বইমেলা সম্পন্ন হওয়ার কিছুদিন পরে বাগবাজারে একটি লিটল ম্যাগাজিন বই মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আমরা কবিতার আলোর পক্ষ থেকে সেখানে বসবার সুযোগ পেয়েছিলাম। আসলে কিছুদিন আগে সেখানে টেবিল বুক করেছিলাম পত্রিকার তরফে। তারপর সেই বইমেলায় লটারির মাধ্যমে টেবিল প্রদান করা হয়। আমরা সেখানে ১০ নম্বর টেবিলে আমাদের বই রাখতে পারি। সেই বইমেলায় অংশগ্রহণ করা আমাদের জন্য একটি ভালো সুযোগ ছিল। বইমেলাটি শুধুমাত্র লিটল ম্যাগাজিন দিয়ে পরিচালিত হয়েছিল ঠিকই কিন্তু কিছু পরিমাণ বই সেখান থেকে বিক্রি হয়। দুই দিনব্যাপী সেই বইমেলা স্বল্প সময়ের হলেও বেশ কিছু পত্রিকা সেখানে টেবিলের বন্দোবস্ত করেছিল। কলকাতা বইমেলার মতো অত বড় মঞ্চ না হলেও এই ছোট ছোট বইমেলাগুলি এলাকাভিত্তিক একটি প্রভাব তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে সেই এলাকার সংস্কৃতিমনস্ক মানুষেরা এই মেলাগুলিতে যোগদান করেন। ফলে আমাদের পত্রপত্রিকাগুলি আমরা বহু মানুষের হাতে তুলে দিতে সমর্থ্য হই। বাগবাজার বইমেলাতেও বেশ কিছু পরিমাণ পত্রিকা এবং ব্যক্তিগত বই বিক্রি হয়েছিল। সেখান থেকে স্বইচ্ছায় মানুষ সেগুলো সংগ্রহ করেন। এর ফলে আমরা আমাদের সাহিত্যকর্ম মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারি। বাগবাজার মেলাতেও দুদিন বসে সুন্দর কিছু অভিজ্ঞতা হল৷ প্রচুর মানুষ হাতে পত্রিকা নিয়ে দেখলেন৷ তাঁদের মতামত জানালেন। প্রতি বইমেলাতেই বসলে কিছু অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হয়৷ আর সেই অভিজ্ঞতা আমাদের কাজ করার প্রেরণা যোগায়। একটি পত্রিকা নিয়ে কাজ করলে পাঠকের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করাটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই অভিজ্ঞতার জন্যই আমরা বিভিন্ন বইমেলায় বসি।
বাগবাজার বইমেলায় বসবার অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
🙏 ধন্যবাদ 🙏
(১০% বেনিফিশিয়ারি প্রিয় লাজুক খ্যাঁককে)
--লেখক পরিচিতি--
কৌশিক চক্রবর্ত্তী। নিবাস পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায়। পেশায় কারিগরি বিভাগের প্রশিক্ষক। নেশায় অক্ষরকর্মী। কলকাতায় লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের সাথে দীর্ঘদিন যুক্ত৷ কলকাতা থেকে প্রকাশিত কবিতার আলো পত্রিকার প্রধান সম্পাদক। দুই বাংলার বিভিন্ন প্রথম সারির পত্রিকা ও দৈনিকে নিয়মিত প্রকাশ হয় কবিতা ও প্রবন্ধ। প্রকাশিত বই সাতটি৷ তার মধ্যে গবেষণামূলক বই 'ফ্রেডরিক্স নগরের অলিতে গলিতে', 'সাহেবি কলকাতা ও তৎকালীন ছড়া' জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সাহিত্যকর্মের জন্য আছে একাধিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি। তার মধ্যে সুরজিত ও কবিতা ক্লাব সেরা কলমকার সম্মান,(২০১৮), কাব্যলোক ঋতুভিত্তিক কবিতায় প্রথম পুরস্কার (বাংলাদেশ), যুগসাগ্নিক সেরা কবি ১৪২৬, স্রোত তরুণ বঙ্গ প্রতিভা সম্মান (২০১৯), স্টোরিমিরর অথর অব দ্যা ইয়ার, ২০২১, কচিপাতা সাহিত্য সম্মান, ২০২১ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
ধন্যবাদ জানাই আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবন্ধুদের৷ ভালো থাকুন, ভালো রাখুন।
https://x.com/KausikChak1234/status/1904402573085245682?t=utBspYlVds_o4RfutRlHCQ&s=19
https://x.com/KausikChak1234/status/1904402992566337989?t=u63kHfsot4L3z4TfjAst6g&s=19
https://x.com/KausikChak1234/status/1904406699739390092?t=-thLTZEbEUGysrWasZu8iA&s=19
হেব্বি লাগছে তো তোমায়! হি হি হি৷ আমার দুই খান বই বিক্রি হয়েছিল! বেশ কিছু পত্রিকাছি এগুলো আমাদের কাছেই বেশ আনন্দের। কারণ লিটিল ম্যাগাজিন তো আর বাণিজ্যিক পত্রিকা নয় তাই মানুষের হাতে পৌঁছে দিতে মেলার বিকল্প আর কিছুই হতে পারে না। আবার কাল থেকে আর একটি মেলা শুরু।