রেনডম ফটোগ্রাফি : দুপুরবেলার আকাশ — নিজের চোখে দেখা
প্রিয় কমিউনিটির সদস্য সবাইকে শুভেচ্ছা ও আমার সালাম আসসালামু আলাইকুম / আদাব। আজকে আমি গত কয়েকদিনে আমার পর্যবেক্ষণ করা কিছু আকাশের ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।
সেদিন ঘর থেকে বের হইছিলাম কিছু দরকারি কাজের জন্য। রোদের তেজ খুব একটা বেশি না, কিন্তু গরম ছিল। হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ খেয়াল করলাম—আজ আকাশটা কেমন যেন অন্যরকম। মেঘগুলো আলাদা করে নজরে পড়ছে। মোবাইলটা পকেটেই ছিল, ছবি তুলে রাখলাম, ভাবলাম পরে দেখব। আজ সময় করে এক এক করে ছবিগুলা দেখছি, আর মনে পড়ছে সেদিনের কথাগুলা।
প্রথম যে ছবিটা, সেখানে গাছপালা, ধানক্ষেত আর তার ওপরে খুব সুন্দর মেঘ। একটু একটু ছায়া পড়তেছিল সবুজে। মনে হচ্ছিল, পুরা আকাশ যেন অনেকটা খুশি, অথচ একদম চুপচাপ। দাঁড়িয়ে থেকে একটু সময় নিয়েছিলাম, এমন করে তাকিয়ে থাকা হয় ক’দিন?
পরের ছবিটায় নারকেল গাছ চোখে পড়ছে। গাছগুলো যেন আকাশের সঙ্গে গল্প করছে। এমন দিনে মেঘ একটু বেশি থাকে, আবার রোদও ঠিক চলে যায় না। বাতাসে পাতাগুলার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলাম। সব কিছু মিলে একটা স্বাভাবিক, চেনা পরিবেশ। ছবিটা তোলার সময় মনে হচ্ছিল, ইচ্ছা করে এই জায়গায় বসে থাকি কিছুক্ষণ।
তৃতীয় ছবিটা একটু অন্যরকম। শুধু একটা মেঘ—সাদা, গোলগাল, একদম মাঝখানে। নিচ থেকে ক্যামেরা তুলে ধরেছিলাম, ভাবছিলাম এইটা ঠিক কীভাবে এমন হইলো! চারপাশ খালি, ওই একটাই মেঘ। অনেকটা যেন কোনো কথা না বলেও মেঘটা কিছু একটা বোঝাচ্ছে। নরম একটা অনুভূতি ছিল এটা তুলার সময়।
এরপরের ছবিতে রাস্তাটা ধরা পড়ছে। গ্রামের রাস্তা, একেবারে পরিচিত দৃশ্য। দুই পাশে গাছ, কিছু রিকশা দাঁড়িয়ে। দোকানপাট ছিমছাম। লোকজন কম ছিল, দুপুরবেলার সময়। এরকম একটা রাস্তায় হেঁটে গেলে মনটা হালকা লাগে, কানে খুব কম শব্দ আসে, শুধু গাছের পাতার শব্দ, আর কখনো কখনো কারো হাঁকডাক।
পঞ্চম ছবিটা যখন তুলছিলাম তখন আসলে মাথা ঘুরিয়ে দেখলাম, নারকেল পাতার ফাঁক দিয়ে মেঘরা ভেসে যাচ্ছে। ভাবলাম, নিচ থেকে এমন করে দেখা হয় না তো। ছবি তুলে রাখলাম। সেই মেঘগুলো যেন এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ধীরে ধীরে গড়িয়ে যাচ্ছে, কেউ দেখুক আর না দেখুক।
শেষ ছবিটায় মেঘ একটু ভারী। নিচ দিয়ে বৈদ্যুতিক তার গেছে। আকাশে সূর্য দেখা যায় না, কিন্তু আলোটা ছিল। বৃষ্টি হবে কি না বুঝতে পারছিলাম না, কিন্তু হালকা একটা চাপা ভাব ছিল। এমন আকাশ দেখা যায় যখন বিকেলের পর বৃষ্টি আসে না, তবুও মেঘ জমে থাকে।
সব মিলিয়ে, এই ছবিগুলো তোলা হয়েছিল খুব সাধারণ এক দিনে। কিন্তু এখন মনে হয়, দিনটা এত সাধারণ ছিল না। সময় থেমে ছিল না, আমি শুধু একটু ধীরে হেঁটেছিলাম, তাকিয়েছিলাম। তখনই এমন কিছু ধরা পড়ে যা অন্যদিন নজরে আসে না। এইরকম মুহূর্তগুলো আসলে আমাদের আশেপাশেই থাকে, শুধু মাঝে মাঝে দেখতে শিখতে হয়।
আমার পুরোনাম জোনায়েদ আহমদ । স্টিমিট আইডি @junaidahmed।
বাসা নেত্রকোনা সদর নেত্রকোনা । আমি অর্থনীতি বিভাগে অনার্স ও মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি, বর্তমানে জবের পড়াশোনার পাশাপাশি স্টিমিট এ লিখালিখি করি। আমার প্রকৃতির ছবি তুলতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে,বিশেষ করে ফুলের ছবি,সূর্যের অস্ত যাওয়ার ছবি,চাঁদের ছবি আর সাদাকালো বিভিন্ন ছবি।বিভিন্ন বিষয়ে গল্প লিখতেও ভালো লাগে। হলের বারান্দায় আমার কিছু গাছ আছে এগুলোর সাথে মাঝে মাঝে সময় কাটাই। আমি স্টিমিটে জয়েন করি ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। আমার এই স্বল্প সময়ে আমার বাংলা ব্লগে ক্যারিয়ার শুরু করতে পেরে খুবই আনন্দিত অনুভব করছি। আপনাদের সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়ে খুব ভালো লাগছে।



250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness

OR
টাক্স:

https://x.com/Junaid_2208/status/1949847094665326728
বর্তমান সময়ে আকাশের সৌন্দর্য সত্যিই ফুটে ওঠে যেটা দেখতে অনেক ভালো লাগে। প্রাকৃতিক দৃশ্যকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলে। আপনার করা প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি খুবই সুন্দর ছিল ।আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এই ধরনের ফটোগ্রাফি করতে আমিও পছন্দ করি।
একেবারে অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার কাছ থেকে এই চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি দেখে খুব ভালো লাগলো৷ যেভাবে আপনি এখানে সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন তার মধ্য দিয়ে আপনি যেভাবে এত সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ তা আমাকে অনেক বেশি মুগ্ধ করেছে এবং আপনার ফটোগ্রাফির দক্ষতাকে খুব ভালোভাবে আপনি ফুটিয়ে তুলেছেন৷