ড্রিম হলিডে পার্কে কাটানো মুহূর্ত || পর্ব ১

সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।

আজকে আপনাদের সাথে ভ্রমণের কিছু মুহূর্ত শেয়ার করছি। গত 5 তারিখে আমরা ফ্যামিলির সবাই মিলে নরসিংদীর ড্রিম হলিডে পার্কে গিয়েছিলাম। হঠাৎ প্ল্যান করেই চলে গেলাম। আমাদের গাজীপুর থেকে ভিতরের রাস্তা দিয়ে গেলে খুব একটা দূরে না। আমরা সকাল ৯ টার দিকে বের হই। এরপর সিএনজি দিয়ে দেড় ঘণ্টার মধ্যে পার্কে পৌঁছাই। ছুটির দিন না হওয়ার কারণে মানুষ মোটামুটি কম ছিল। তবে ওয়াটার পার্কে যাওয়ার পর দেখলাম ভালোই মানুষ আছে। ঢাকার আশেপাশে এই পার্কটা সবচেয়ে বড় একটা পার্ক। ঢাকার ভিতরে প্রায় সবগুলো পার্কেই যাওয়া হয়েছে। এখানেও গিয়েছিলাম তবে অনেক আগে। এবার গিয়ে দেখলাম অনেক কিছুই চেঞ্জ হয়েছে।

আমার প্রথমে টিকেট কেটে নিলাম সবার জন্য। যেহেতু আমার পুরো ফ্যামিলি গিয়েছে তাই আমরা বড়দের ৬ জনের প্যাকেজ নিয়েছি আর ছোটদের জন্য সেই প্যাকেজের মধ্যেই কয়েকটা রাইড ছিল। ছোটদের জন্য দুই থেকে তিনটা রাইড আর সবগুলো বড়দের। সব মিলিয়ে সম্ভবত ২০ থেকে ২২টা রাইড ছিল সেখানে। আমরা তো প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি যেভাবেই হোক সবগুলো রাইড কমপ্লিট করব। মানুষ মোটামুটি কম থাকার কারণে আমরা সবগুলোই কমপ্লিট করতে পেরেছি।

পার্কে ঢুকতেই ওয়েলকাম জানানোর জন্য এরকম একটা ডেকোরেশন করা। একটা গ্লোবের মধ্যে খুব সুন্দর ভাবে পার্কের নাম লিখা। তার পাশেই রয়েছে পুরো পার্কের একটা ম্যাপ। আমরা পার্কে ঢুকে আগে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। এবং আমাদের ব্যাগগুলো লকারে রেখে দিয়েছি। ওয়াটার পার্কে যাবো এর কারণেই সবাই এক্সট্রা জামাকাপড় নিয়ে গিয়েছিলাম। সেগুলো নিয়ে ঘুরা কষ্টকর তাই আগে ব্যাগ গুলো লকারে রেখেছি। তারপর আমরা এক এক করে রাইড গুলোতে উঠলাম।

প্রথমেই এই বড় চরকিটা ছিল। প্রত্যেকটা পার্কে এরকম একটা রাইড দেখা যায়। আর এটা মোটামুটি ভালোই বড় ছিল। আমরা প্রথমেই এটা ট্রাই করেছি। উপর থেকে চারপাশের পুরো ভিউ টা দেখতে খুবই ভালো লাগছিল। তবে এটা শুধুমাত্র একবারই দিয়েছে। আমি এর আগে যতগুলো পার্কে গিয়েছিলাম সেখানে মোটামুটি দুই থেকে তিনবার ঘুরানো দেয়। এখানে একবার দেওয়াতে বেশ অবাক হলাম। তবে যেটা রুলস সেটা মেনটেন করতে হবে। তবে উপরে উঠানোর পর বেশ কিছুক্ষণ রেখে ছিল চারপাশের ভিউ টা দেখার জন্য। সেই মুহূর্তটা মোটামুটি ভালোই লেগেছে। ওয়াটার পার্ক টা খুবই সুন্দর লাগছিল দেখতে। আমরা সবাই এটার অপেক্ষায় ছিলাম। ওয়াটার পার্ক দুপুর ২ টার পরে ওপেন হয় এবং চারটা পর্যন্ত থাকে। তাই আমরা টার্গেট নিয়েছিলাম দুইটার আগে সবগুলো শেষ করব। আমরা আরো মজার মজার এবং বেশ কয়েকটা এডভেঞ্চার জাতীয় রাইডে উঠেছিলাম। সেগুলো বাকি পর্বগুলোতে শেয়ার করব।

এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল 💕💕

আমি ইসরাত জাহান মিম। বর্তমানে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করছি। আমার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে কিন্তু বাবার ব্যবসার কারণে বর্তমানে অবস্থান করছি গাজীপুরে। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবারের একজন সদস্য এজন্য আমি অনেক উৎসাহিত ও আনন্দিত। আমি বই পড়তে পছন্দ করি, সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে বিভিন্ন নতুন নতুন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে ও প্রকৃতির কাছাকাছি থেকে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য অবলোকন করতে। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২০ সালের ১৭ই ডিসেম্বর। স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য।