চাঁদ রাতের মুহূর্ত
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।
সবাইকে ঈদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। "ঈদ মোবারক"। সবার ঈদের দিন অনেক ভালো কাটুক এই কামনা করি। দেখতে দেখতে রমজান মাসটা খুব তাড়াতাড়ি চলে গেল। আজকে আপনাদের সাথে এ বছরের চাঁদ রাত সম্পর্কে আমার কিছু অনুভূতি শেয়ার করছি। ছোটবেলা থেকেই আমি শহরে বড় হয়েছি। গ্রামে কখনো ঈদ করা হয়নি। আমাদের পুরো ফ্যামিলি শহরে থাকে। ঈদের পরের দিন গ্রামে আসা হয়। তবে এ বছর আমি গ্রামে ঈদ করছি। আমার জীবনে প্রথমবারের মতো আমার নানু বাড়িতে ঈদ করছি। আমরা এবার সব কাজিনরা মিলে প্ল্যান করেছি যে এ বছরের ঈদ নানু বাড়িতে করব। আর আমার নানু ও বারবার বলছিল যেন একবার সবাই আমরা ওনার সাথে ঈদ করি। এ সব মিলিয়ে এবার গ্রামে আসা হয়েছে। আমি আরো চার দিন আগে গ্রামে এসেছি। দিনগুলো মোটামুটি ভালোই যাচ্ছে। গ্রামে কিন্তু ঈদের সময় অন্যরকম একটা আনন্দ থাকে। যেটা আমি এবার পেলাম। বিশেষ করে চাঁদ রাত টা অনেক সুন্দর ভাবে কেটেছে।
আজকে সকাল থেকে আমার মেহেদি দেওয়া শুরু হয়েছে। আমাদের নানু বাড়িতে মানুষ বেশি। একজনের পর একজনকে মেহেদী দিতে হয়েছে। আমি জানতাম এরকমটা হবে তাই একদম সকাল বেলাই আমার হাতে দিয়েছি। আর যেহেতু অর্গানিক মেহেদী তাই কালার আসতেও একটু টাইম লাগে। আমার মেহেদী দেওয়া দেখে একজনের পর একজনের শুরু হল। জীবনে প্রথমবারের মতো এতগুলো হাতে মেহেদি দিয়েছি। প্রায় 12 থেকে 13 টার মত হাতে আজকে মেহেদি দিলাম। একইভাবে বসে থেকে থেকে মেহেদি দিতে গিয়ে আমার নিজের খুব খারাপ অবস্থা। তবে তারপরও সবাইকে মেহেদি দিয়ে খুশি করতে পেরেছি এটাই ভালো লেগেছে। বলতে গেলে প্রায় আজকে সারা দিন এটার ওপরে ছিলাম। ইফতার করে উঠানে চলে গেলাম চাঁদ দেখার জন্য। তারপর সবাই মিলে ছাদে গিয়ে বসলাম। আমরা কয়েকজন বসে মেহেদী দিলাম আর কয়েকজন বাজি ফুটিয়েছে। বেশ ভালো লাগছিল সময়গুলো। আমার বাসায় থাকলে কখনো এরকম আনন্দ করা হয় না। আর কাজিনরা একসাথে থাকলে এমনিতে অনেক সুন্দর সময় কাটে।
আজকের এই পোস্টে আমি মেহেদি ডিজাইন এর ছবি দিলাম। এগুলো সবগুলোই আমার করা। উপরের দুইটা আমার হাতের। আর নিচের গুলো আমার কাজিনদের। যাদের হাতে বিকালে আর রাতে দিয়েছি তাদের হাতের ছবিগুলো তোলা হয়নি। অনেকক্ষণ বসে দেওয়ার কারণে একটু তাড়াহুড়ো করে দিচ্ছিলাম। তাড়াহুড়ার মধ্যে আর ছবি তুলতে পারিনি।
আমি ইসরাত জাহান মিম। বর্তমানে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করছি। আমার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে কিন্তু বাবার ব্যবসার কারণে বর্তমানে অবস্থান করছি গাজীপুরে। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবারের একজন সদস্য এজন্য আমি অনেক উৎসাহিত ও আনন্দিত। আমি বই পড়তে পছন্দ করি, সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে বিভিন্ন নতুন নতুন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে ও প্রকৃতির কাছাকাছি থেকে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য অবলোকন করতে। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২০ সালের ১৭ই ডিসেম্বর। স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য।
এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল 💕💕
ধন্যবাদান্তে
@isratmim
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/IsratMim16/status/1906423026360688981?t=oLYC-0Iwc8eYO2uJ2Uhenw&s=19
https://x.com/IsratMim16/status/1906424126413381838?t=RA9_BLMLYAFmcrDMlOdcRg&s=19
https://x.com/IsratMim16/status/1906424514160037934?t=4OjQdssg7_VkmSjWwXfulA&s=19
ভীষণ ভালো হয়েছে মেহেন্দি ডিজাইনগুলো। নানু বাড়িতে সবাই মিলে ঈদ পালন করার আনন্দই আলাদা। আশা করি আজকে আপনাদের দিনটি বেশ ভালো কেটেছে। আর আপনি এতগুলো হাতে মেহেন্দি দিয়েছেন সত্যিই আপনার এলেম আছে। আমি হলে দুটো তিনটে পরেই ভাবতাম যে আমার হাত ব্যাথা করছে এবার ছেড়ে দিন। হে হে হে।
আমার এখনো হাতে ব্যাথা আপু।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপু। সময় গুলো ভালো কেটেছে।