পুরান ঢাকাইয়া স্টাইলে তেহারি রান্না রেসিপি|| 10% for @shy-fox ||
আসসালামুআলাইকুম,
আজ আমি আপনাদের সাথে আরেকটি নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম।আজকে আমি যে রেসেপির কথা বলছি সেটা হচ্ছে তেহারি।জনপ্রিয় ভারী খাবারের মধ্যে বিরিয়ানীর সাথে সাথে তেহারীও এখন অনেক জনপ্রিয়।বিশেষ অনুষ্ঠানে ও অতিথি আপ্যায়নে এমনকি ইফতারিতেও তেহারী রান্না হয়ে থাকে।তো কথা না বারিয়ে চলুন দেখা নেয়া তেহারী রান্না করার নিয়ম।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- গরুর মাংস
- চাল
- গোল আলু
- পেয়াজ
- আদা-বাটা
- রসুন বাটা
- জিরাবাটা
- এলাচ
- দারুচিনি
- কিচমিচ
- কাচামরিচ
- গাজর
- বিরিয়ানী মশলা
- তেল
- পানি
প্রস্তুত প্রণালিঃ
১ম
প্রথমেই গরুর মাংস আর গোল আলু পিচ পিচ করে দা দিয়ে কেটে নিলাম।তারপর পানিতে ভালো করে ধুয়ে একটি পাত্রে সংরক্ষণ করলাম।
২য়
তারপর পেয়াজ,রসুন, আদা বাটা একটি পাত্রে রাখলাম সাথে বুট।
৩য়
তারপর গরুর মাংসের সাথে মরিচের গুড়ো,হলুদের গুড়ো,জিরার গুড়ো, তেজপাতা দিয়ে দিলাম।
৪র্থ
সবগুলো মশলা দেয়ার পর সুন্দর করে হাত দিয়ে মাখিয়ে নিলাম।সাথে হালকা তেল মিশিয়ে নিলাম।
৫ম
তারপর চুলাটি অন করে পাত্রটি বসিয়ে দিলাম।তারপর পরিমাণমতো তেল দিয়ে মাখানো গরুর মাংস বসিয়ে দিলাম।তারপর চুলার ভলিউমটা একটু বাড়িয় দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ২০-৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিলাম।
৬ষ্ঠ
তারপর শশা,গাজর,কাচা মরিচ সংগ্রহ করলাম এবং শাশ,গাজর কুচি কুচি করে কেটে নিলাম।তারপর গাজরগুলো সিদ্ধ করা ভাতের উপর দিয়ে দিলাম।
৭ম
তারপর মাংসটা হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম।তারপর মাংসটুকু সিদ্ধকরা ভাতের উপর দিয়ে দিলাম।সাথে অল্প কিচমিচ দিয়ে নিলাম।তারপর ভাতের সাথে মাংসটুকু মিশিয়ে নিলাম চামচ দিয়ে।উপরে অল্প পাউডার দুধ দিয়ে নিলাম।
৮ম
রান্না শেষ হলে খাবারের জন্য একটি বাটিতে পরিবেশন করে নিলাম।এটা ছিল আমার প্রথম তেহারী রান্না রেসিপি।
কেমন হয়েছে জানাবেন। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।
আপনার রেসিপিটা খুবই সুন্দর হয়েছে এবং অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন, আপনার উপস্থাপনা টি পড়ে খুবই সুন্দর ভাবে পুরান ঢাকার তেহেরী রান্না করা সম্ভব। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাই।
পুরান ঢাকাইয়া স্টাইলে তেহারি রান্না রেসিপি অনেক সুন্দর পোস্ট ভাইয়া শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাই।
পুরান ঢাকার তেহারি মানে অন্য এক জিনিস। কী যে অসাধারণ একটা স্বাদ গন্ধ। তেহারির রেসিপি টা সুন্দর তৈরি করেছেন।আপনার জন্য শুভকামনা।।
জি ভাই আপনি ঠিক বলেছেন।পুরান ঢাকার বিরিয়ানীও খেতে অনেক মজা।ধন্যবাদ আপনাকে ভাই
🙂🙂
আপনি খুব সুন্দর রেসিপি তৈরী করেছেন। এবং বননা ও করেছেন খুব সুন্দর।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু
😇😇😇😇😇
আপনার রেসিপি টি খুবই স্বাদের হয়েছে মনে হচ্ছে।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
ব্যক্তিগতভাবে আমি তেহরি অনেক পছন্দ করি, এটি অনেক মজাদার একটি খাবার। আমি সময় পেলেই তেহেরি গ্রহণ।। করি আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু তেহেরি আপনি তৈরি করেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনার প্রিয় একটি খাবার জেনে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।ধন্যবাদ❤️
শুভ কামনা।।
অনেক সুন্দর রেসিপি বানিয়েছেন ভাই। তেহেরি দেখলে তো মাথা ঠিক থাকে না ভাই। একদিন দাওয়াত দিয়েন ভাই।
কাল চলে আসতেন ভাই🙂
খুব মজার একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার রান্না করা তেহেরীটা দেখতে অসাধারণ এবং সুস্বাদু হয়েছে।দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। আমি কিছু পারি না। শিখার আছে আপনার কাছ থেকে।
আপনার ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম।আরেকদিন রান্না করলে আপনাকে অবশ্যই খাওয়াবো।