করতোয়া নদীর পাড়ে কাটানো মুহূর্ত ও আলোকচিত্র ৷৷
আজ ১৫ই, চৈত্র | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, |বসন্তকাল |
নমস্কার - আদাব। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন।
সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ।
শুরুতেই সবাইকে জানাই অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। যদিও বা ইতিমধ্যে সবাই ঈদের আনন্দ বা উৎসবকে ঘিরে অনেক পরিকল্পনা করেছেন । পরিবার-পরিজনদের সাথে একত্রিত হয়ে ঈদের উদযাপন করার মুহূর্তে টাই সত্যি অসাধারণ । ইতিমধ্যেই আপনারা হয়তো পরিবার পরিজনের কাছে পৌঁছে গিয়েছেন । কেউ অনেকে ই পরিবার পরিজন ছেড়ে জীবন জীবিকার তাকিতে অনেক দূরে কিন্তু সব জল্পনা কল্পনা ভুলে এই ঈদকে ঘিরে পরিবারের সাথে আনন্দ উদযাপন করার জন্যই দেশ থেকে দেশান্তর কিংবা প্রবাস থেকে প্রবাসী জীবন সবকিছুকে উপেক্ষা করে ছুটে চলছে। সবার যাত্রা পথ শুভ হোক নিরাপদে পরিবার-পরিজনদের কাছে ফিরুক আনন্দটা ভাগাভাগি করুক। এমনটাই আশা প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি ।
যা হোক প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে হাজির হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আসলে আমার বাংলা ব্লগ মানে নতুন কিছু আয়োজন ভিন্ন কিছু উপস্থাপনা । আর সে ধারায় প্রতিনিয়তই চেষ্টা করি ভিন্ন কিছু উপস্থাপন করার । আর আমি নিজেও পছন্দ করি প্রতিনিয়ত নিজেকে সৃজনশীলতা ও ক্রিয়েটিভিটি ব্লগ লিখার। সেটা হোক ঘোরাঘুরি কিংবা কোন সৃজনশীলতার কাজ।
যা হোক আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করবো। বিকেলবেলা করতোয়া নদীর পাড়ে কাটানো কিছু মুহূর্ত সেই সাথে কিছু আলোকচিত্র।
নদী মানেই প্রশান্ত নদী মানেই প্রশান্তি কিংবা নদী মানেই এক প্রকৃতির সৌন্দর্যতা।
যদিও আমি প্রায় মধ্যেই সময় পেলেই এই করতোয়ার পাড়ে ছুটে আসি ।নিজেকে প্রকৃতির সাথে সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য । তাইতো সময় পেলেই ছুটি আসি এই নদীর টানে এ প্রকৃতির টানে যেখানে এলে মনের সমস্ত প্রতিকূলতা কিংবা দুঃখ-বেদনা সময়ের জন্য হলেও মুছে যায় । আর সবথেকে এই নদীর প্রকৃতি আমাকে অনেকটা মুগ্ধতা এনে দেয় । তাই তো মাঝে মধ্যে সময় পেলেই ছুটে আসি এই করতোয়া নদীর তীরে ।
যদিও বা বর্তমান সময়ে নদীতে খুব একটা পানি নেই । তবে আবার বারো মাস পানি বেশ ভালোই থাকে । তবে বর্তমানে এই চৈত্র মাস তুলনামূলক অনেকটাই কম তবে বর্ষার সময় এলে আবার নদী তার পূর্ণতা ফিরে পাবে। আসলে নদী মানেই এক অনন্য প্রকৃতির । প্রতিনিয়তই বদলে যায় একদিকে ভাঙ্গে তো আরেক দিকে চড় পড়ে। আবার আরেক দিকে চড় পড়ে তো আরেক দিকে ভাঙ্গে আসলে অনেকটা বাস্তব জীবনের মত ঠিক জীবনগুলো এমন নদীর মতই।
যাই হোক আমি করতোয়া নদীর তীরে ঘাটে যাই যেখানে প্রতিনিয়তই দুই পাড়ের মানুষ যাতায়াত করে নৌকার মাধ্যমে। আপনারা হয়তো ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন যে , একসাথে অনেকগুলো নৌকা আর বেঁধে রাখা হয়েছে যেগুলো বিভিন্ন বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে থাকে । যেমন কিছু জেলে আছে এ ডিঙ্গি নৌকা করে নদীতে মাছ ধরে। আবার কিছু মানুষ আছে এখান থেকে পাথর উঠিয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে । আসলে এই নদীর এলাকার মানুষের জীবন যাপন অনেকটাই এই নদীর উপরই নির্ভরশীল। তাই তো এই নদীতে এলে অনেকটা প্রশান্তি জাগে মনে।
নদী প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো দেখলে মনের মধ্যে অনেক প্রশান্তি জাগে। বিশেষ করে সেখানকার মানুষের জীবন জীবিকা অনেকটাই নদীর উপর নির্ভরশীল মাছ ধরা পাথর এমনকি বালুকণা সবগুলো সেখানকার মানুষজন পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করে ।
যা হোক সর্বোপরি এই ছিল বিকেল বেলা ঘোরাঘুরি করার মুহূর্তে করতোয়া নদীর পাড়ে কাটানো মুহূর্ত । সেই সাথে করতোয়া নদীর মানুষের জীবন জীবিকা এবং কিছু আলোকচিত্র । সবকিছু মিলেই আজকের ব্লগ । আশা করছি আপনাদের সবার কাছেই ভালো লাগবে ।
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আপনাদের কাছে এখানে বিদায় নিচ্ছি । আবার নতুন কোন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির হবো। এমন প্রত্যাশা আশা আকাঙ্ক্ষা রেখে এখানেই শেষ করছি৷
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
পোষ্ট বিবরন
বিকেল বেলা ঘোরাঘুরি করতোয়া নদীর তীর
ক্যামেরাঃ realme C12
ছবি ক্যাপচারঃ gopiray
লোকেশনঃhttps://w3w.co/slotted.inward.quartered
আমার বাংলা ব্লগ ❤।। বাংলাদেশ।।