মিশন বান্দরবান পর্ব-৪

ashikur50 (71)Verified Guest Blogger 🇧🇩in আমার বাংলা ব্লগ • 3 days ago

আসসালামু আলাইকুম

হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ashikur50 বাংলাদেশের নাগরিক।

আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনজানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি।

আমাদের কমিউনিটির সবাই খুব সুন্দর সুন্দর পোস্ট করে, তেমনি আমিও আজকে আপনাদের সামনে একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।

তাহলে চলুন শুরু করা যাক

আমি আজ হাজির হলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পর্ব নিয়ে। মিশন বান্দরবানের প্রথম দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্ব ইতিমধ্যে শেষ করেছি। আজ চলে এসেছি মিশন বান্দরবান পর্ব চতুর্থ নিয়ে। আশা করি প্রতি পর্বের ন্যায় এই পর্বটিও আপনাদের কাছে খুবই ভালো লাগবে। আপনারা সবাই কম বেশি জানেন আমাদের একটি গ্রুপ আছে। এই গ্রুপের সবাই মিলে প্রতিনিয়তই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়ে থাকি। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার গল্প গুলোও আপনাদের সাথে শেয়ার করে থাকি। ঘোরাঘুরি করা অন্য ধরনের একটি নেশা। আমার কাছে শুধু নেশা নয় বিশাল একটা অভিজ্ঞতাও বটে। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরলে পৃথিবী এবং ঘুরতে যাওয়ার স্থান সম্পর্কে অনেক কিছু যাওয়া যায়। সব থেকে বড় কথা বিধাতার এমন নিখুঁতভাবে তৈরি করা স্থানগুলো যদি না দেখা যায়। তাহলে জীবনটাই বৃথা। এজন্য আমাদের গ্রুপের সবাই সব সময় চেষ্টা করি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে। ঘুরতে যাওয়ায় স্থানগুলো সম্পর্কে জানতে নিজের অভিজ্ঞতাকে বৃদ্ধি করতে। শুধু বই পড়েই সবকিছু জানা বোঝা যায় না। সামনে থেকে এমন সুন্দর নিদর্শন প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখলে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়। আমি আগেও তিন চার বার বান্দরবান গিয়েছি। আগে তেমন একটা আপনাদের মাঝে আগে যাওয়ার গল্প গুলো শেয়ার করা হয়নি। এজন্যই এবার চিন্তা করেছি বিভিন্ন পর্বের মাধ্যমে আপনাদের মাঝে আমার ঘুরতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। ঘুরতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো এবং আমার স্মৃতির পাতায় অভিজ্ঞতাগুলো এখানে সংরক্ষিত হয়েও থাকলো। ব্যাপারটা খুবই মজার এবং গুরুত্বপূর্ণ।

^{Device : redmi note 13 pro plus

What's 3 Word Location: https://w3w.co/umbilical.boulevard.downswing}

অনেক তো বকবক করলাম এবার আমাদের চতুর্থ পর্বের মুলক গল্পে আসি। গত পর্বে আপনাদের কাছে শেয়ার করেছিলাম বান্দরবান গিয়ে পৌঁছানো এবং হোটেল বুক করা। এবং হোটেলে গিয়ে বিশ্রাম নেয়া পর্যন্ত। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। আমরা ভীষণ ক্লান্ত ছিলাম এজন্য প্রথমে গিয়ে গোসল করে কিছু খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি সবাই। ফ্রেশ একটি লম্বা ঘুম দিয়ে বিকাল তিনটার দিকে। সবাই ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে। বাইরে চলে আসি হালকা কিছু নাস্তা করার জন্য এবং সাথে একটি চান্দের গাড়ি ভাড়া করার জন্য। বান্দরবনে টুরিস্টদের জন্য এক ধরনের গাড়ি আছে। পিছনে থাকে ছাদখোলা এই গাড়িগুলো বান্দরবানের ভাষায় চান্দের গাড়ি বলে ডাকা হয়। আমি জানিনা এই গাড়ির আসল নাম কি। এইজন্য বান্দরবানের আঞ্চলিক ভাষাতেই বললাম। তারপরে আমরা হোটেলের নিচে গিয়ে ঝটপট হালকা কিছু নাস্তা করে নিলাম। তারপরে চলে গেলাম চান্দের গাড়ির স্ট্যান্ডে। সেখানে অনেক চান্দের গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। বিভিন্ন টুরিস্টরা ওইখানে গিয়ে চান্দের গাড়ি ভাড়া করে। ভাড়া করার সময় সব থেকে সচেতন থাকতে হবে চাঁদের গাড়ির ড্রাইভার অনেক বেশি ভাড়া চেয়ে থাকে। আগে থেকে যদি অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে ভাড়া বেশি চেয়েও হবে না ওদের সাথে দরকষাকষি করে। ভাড়া মিটাতে হবে। আমাদের আগেও দুই তিনবার যাওয়া হয়েছে এইজন্য আগে থেকেই জানা আছে কেমন ভাড়া কোথাকার। আমরা গিয়ে প্রথমে একটি গাড়ির সঙ্গে কথা বলি তিনি যেটা অরজিনাল ভাড়া তার থেকেও অনেক বেশি আমাদের কাছে চায়। তারপরে আমরা অন্য একটা গাড়ির কাছে যাই। এই গাড়ি চালক বান্দরবানের স্থানীয় চাকমা। গাড়ির ড্রাইভার এর সাথে কথা বলে আমাদের কাছে ভীষণ ভালো লাগলো তিনি লোকটি ও অনেক মিশুক। তারপরে আমরা কথা বলে ভাড়া মিটিয়ে ফেললাম। সাথে একবারে মিটিয়ে ফেললাম তারপরের দিন অন্য সব স্পটে যাওয়ার। একবারে মিটানোর ব্যাপারটা আমাদের জন্য ভালো হলো কারণ তারপরের দিন ভোরবেলা আমাদের রওনা দিতে হবে। এত সকাল বেলা গাড়ি ঠিক করা ভীষণ কষ্টের ব্যাপার। এইজন্য সবকিছু আজকেই ঠিক করে রাখা হলো।
শরীর ক্লান্ত থাকার জন্য আমরা চিন্তা করলাম শহরের আশেপাশে যে স্পটগুলো আছে সেগুলোই আমরা আজ ঘুরবো। আমাদের আগেও যাওয়া ছিল কিন্তু আমাদের সঙ্গে নতুন তিন থেকে চারজন ছিল। তারা আগে কখনো এই স্পটগুলো ঘুরে দেখেনি। এইজন্য মূলত আজকে আশেপাশে ঘোড়া। তারপরে আমরা সবাই চেপে বসলাম চান্দের গাড়িতে।

^{Device : redmi note 13 pro plus

What's 3 Word Location: https://w3w.co/umbilical.boulevard.downswing}

যাত্রা শুরু করলো আমাদের চান্দের গাড়ি। কিছু দূর পথ পেরিয়েই পেয়ে গেলাম পাহাড়ি রাস্তা। আস্তে আস্তে আমাদের গাড়ি পাহাড়ের উপর উঠতে থাকলো আবার কিছুদূর যেতেই পাহাড় থেকে নিচে নামতে শুরু করলো। ব্যাপারটা বেশ ভালই লাগছিল কিন্তু আমাদের সাথে এবার নতুন যারা গিয়েছিল তারা একটু ভয় পাচ্ছিল। আবার বেশ মজাওপাত ছিল কারণ এমন মজার অভিজ্ঞতা এ বাড়ি তাদের প্রথম। আমরা আগেও এসেছি এই জন্য আমাদের কাছে বেশি একটা সমস্যা হচ্ছিল না। এভাবে যেতে থাকে আমাদের চান্দের গাড়ি। আমাদের আজকের স্পট ছিল নীলাচল পর্যটক স্পট। স্থানটি বেশ সুন্দর পরিপাটি সাজানো গোছানো। দুঃখের বিষয় হলো নীলাচলের কিছু দূর আগেই গাড়ির বিশাল জ্যাম বেধে গেছে। মনে হচ্ছিল সেই চিরচেনা ঢাকা শহর চলে এসেছি। তারপরে ড্রাইভার সাহেব আমাদেরকে বলল আপনারা আস্তে আস্তে আগাতে থাকেন। গাড়িতে বসে থাকলে নীলাচল স্পটে পৌঁছাতেই সন্ধ্যা হয়ে যাবে সামনে বিশাল জ্যাম। তারপরে আমরা তার কথা মত হাঁটতে থাকি আর আসার সময় বলে আসি আপনি এসে পার্কিংয়ে দাঁড়ান আমরা ভেতর থেকে ঘুরে আসি। পাহাড়ি উঁচু নিচু রাস্তায় হাঁটতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল আমাদের। তারপরও অনেক কষ্টের পর পৌঁছে যাই নীলাচল পর্যটন স্পটের সামনে। গিয়ে কিছু সময় দাঁড়িয়ে শরীরটা জিরিয়ে নেই। তারপরে আমাদের মধ্যে একজন গিয়ে টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিটগুলো কেটে নিয়ে আসে। তারপরে আমরা ভিতরে প্রবেশ করি। জায়গাটি আগে থেকেই আমার অনেক পছন্দের। ভিতরে এদিক-ওদিক ঘুরতে শুরু করি এবং আমাদের গ্রুপের সবাই একে অন্যের ছবি তুলে দেয়াতে ব্যস্ত। আমিও কিছু ফটোগ্রাফি করি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভিতরে অনেক ঘোরাঘুরির পরে চলে যাই একটি কফি শপে। চারিদিকে শুধু পাহাড় আর পাহাড় আর আমরা একটি বড় পাহাড়ের উপরে। কফি শপটি খুবই দারুণ একদিকে কফি শপ আর তিনদিকে পাহাড়। পরিবেশটা আমার খুবই সুন্দর লাগছিল। সব থেকে বেশি সুন্দর লাগছিল কফি শপের উপর থেকে বান্দরবনের শহরটি একদম ছোট দেখা যাচ্ছিল। আস্তে আস্তে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে। আমাদের শরীর খুবই ক্লান্ত এত বড় জার্নি করে আবার ঘুরতে আসা। শেষমেশ তো জ্যামের কারণে কিছু পথ হাঁটতেও হল। সব মিলিয়ে ভিশন ক্লান্ত। এই জন্য আর ভিতরে আর দেরি করলাম না বেরিয়ে এলাম নীলাচল পর্যটন স্পট থেকে। সেই কিছু সময় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করি। তারপরে আমাদের গাড়ির ড্রাইভার হাজির। ঝটপট গাড়িতে উঠে রওনা দিই আমাদের হোটেলের উদ্দেশ্যে।

^{Device : redmi note 13 pro plus

What's 3 Word Location: https://w3w.co/umbilical.boulevard.downswing}

এটাই ছিল আমার মিশন বান্দরবনের চতুর্থ পর্বের গল্প। দেখা হবে আবার পঞ্চম পর্বতে। আশা করি মিশন বান্দরবান চতুর্থ পর্বের গল্পটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। তাহলে আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে আবার অন্য পর্বে অন্য কোন গল্প নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনাই রইল।

আমার পোস্টে ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

ধন্যবাদ সবাই কে আমার পোস্ট টা পড়ার জন্য।

আমি মোঃ আশিকুর রহমান সোহাগ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ashikur50। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমি একজন মিশুক ছেলে। আমি সবার সাথে মিশতে ভালোবাসি।

>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

💞 আল্লাহ হাফেজ 💞

#amarbanglablog #story #krsuccess #steemit #bengali

3 days ago in আমার বাংলা ব্লগ by ashikur50 (71)Verified Guest Blogger 🇧🇩

$9.54