শিশুর অধিকার
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে অগণিত মানুষ অক্লান্ত পরিশ্রম করবে এটায় সাভাবিক। কিন্তু এই কায়িক পরিশ্রমকারীদের জায়গায় যদি প্রাপ্ত বয়স্কদের না দেখে অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুদের দেখা যায়, তাহলে দৃশ্যটি একেবারেই বেমানান হয়ে ওঠে।
লোকেশন: পীরগাছা, বগুড়া সদর বগুড়া
আমরা স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রিরা কেউই শিশু অধিকার থেকে বঞ্চিত নই। তবে আমরা একটু লক্ষ্য করলেই দেখতে পাব, আমাদের আট-দশ তলা অট্টালিকার পাশে রাস্তার ধারে কাজ করছে, শিশু অধিকার থেকে বঞ্চিত অনেক শিশু। তোমরা কি জানো এই সব অবহেলিত শিশুরা কেন হারভাঙ্গা খাটুনি খাটে?? উত্তরটি খুবই সহজ কিন্তু অত্যন্ত মর্মান্তিক। কারণ তাদের এই সীমাহীন কষ্টের একমাত্র কারণ হল খুদা নিবারণ। এতো কষ্ট সহ্য করেও তারা তাদের ন্যায্য মজুরি পায় কি না সন্দেহ।
১৯৯০ সালের ২৬ জানুয়ারি 'জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ' এ স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ সরকার। এই সনদে বর্ণিত কিছু শিশু অধিকার নিম্নে তুলে ধরা হল...............
১। ১৮ বছরের নিচে সকল শিশুই এই সনদে বর্ণিত সকল অধিকার পাবে।
২। বিনা বেতনে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা সহ উচ্চশিক্ষা লাভের অধিকার শিশুদের আছে।
৩। অপহরণ ও পাচার হয়ে বিক্রি হয়ে যাওয়া থেকে সুরক্ষা পাবার অধিকার শিশুদের রয়েছে।
৪। কোন শিশুর যদি শারীরিক অক্ষমতা থাকে, তাহলে সে বিশেষ সেবা যত্ন পাবার অধিকার রাখে।
এতো কিছু সত্ত্বেও বাংলাদেশের শতকরা ৮০ভাগ শিশু প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করতে পারে। এখনও শিশু শ্রমের সাথে জড়িত প্রায় ১৩% শিশু। বাংলাদেশ সরকার শিশু অধিকার রক্ষার্থে তাদের প্রচেষ্টা অব্যহত রেখেছে। তারপরেও আমি মনে করি, প্রচেষ্টা নামক এই গাড়ির গতি আরও বারিয়ে দিলে শিশু শ্রমের সাথে জড়িত শিশুদের পরিমাণ ০%এ নামিয়ে আনা সম্ভব।
আশা করি আমার এই সামান্য লেখা তোমরা খুব সহজেই তোমাদের Memory cell -এ Upload করে নিতে পারবে। এসো আমরা আমাদের কিশোর কণ্ঠে স্লোগান তুলি-
"Say No To Child Labour".
এটা আমাদের দেশের জন্য খুবই দুঃখজনক। বিশেষ করে করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেক শিশু পড়াশোনা ছেড়ে নিজের পরিবারের জন্য টাকা ইনকাম করতে দোকানে দোকানে কাজ করছে!
জি ভাইয়া 😔
হা ভাই। খুবই ভালো একটা কন্টেন্ট তুলে ধরেছেন। এটা একদম ঠিক যে ।এখনো দেশের অর্থনৈতিক বৈষম্য সাথে অর্থনৈতিক সমস্যা এতটাই প্রবল। যে শিশুদের দিয়া কায়িক শ্রম করতে হচ্ছে ইচ্ছা ও অইচ্ছা কৃত হলেও। ধন্যবাদ।
পেটের জন্য তারা বাধ্য হচ্ছে।
ভাই ভালো একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। করোনা মহামারীর জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ এজন্য শিশুশ্রম অনেক বেড়ে গেছে। এখনো আমাদের দেশে অনেক পরিবারের সামর্থ্য নেই পরিবারের সকলের খাদ্যের যোগান দেয়া। তারা বাধ্য হয়েই তাদের সন্তানদের কাজে পাঠিয়ে দেয়। খুব সুন্দর পোস্ট করেছেন।
বি:দ্র: W3w লোকেশন কোডের মাধ্যমে আপনার এবং ছবির স্থান নিশ্চিত করলে ভালো হতো। ধন্যবাদ।
জি ভাইয়া পরামর্শ দেওয়ার জন্যে ধন্যবাদ