কবিতা আবৃত্তি// কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "হঠাৎ দেখা" কবিতাটির আবৃত্তি।
১০% পে-আউট 'লাজুক-খ্যাক' এর জন্য
স্টিমিটের সহযোদ্ধারা,
"আসসালামুয়ালাইকুম" আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "হঠাৎ দেখা" কবিতাটি আবৃতি আকারে শোনানোর চেষ্টা করব।
সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে আমার বাংলা ব্লগের সকলের এতটা উৎসাহ ও অনুপ্রেরনার কারনে আমিও কবিতা আবৃত্তির মাঝে নিজেকে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। আসলে কবিতা আবৃত্তি যারা সব সময় করে, কবিতা আবৃত্তির মাহাত্ম্যটা শুধু তারাই বুঝতে পারে। এখানে আমি আমার সাধ্যমত আবৃত্তি করে আপনাদেরকে বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি আমার আজকের এই কবিতা আবৃত্তিটি আপনাদের ভালো লাগবে।
আমি প্রায় সময় কবিতা আবৃত্তি শুনে থাকি ইউটিউব থেকে, কেন যেন হঠাৎ এই কবিতাটিও আমার এতটা ভালো লেগেছে বলে বোঝাতে পারবো না। তাই আমি আপনাদের মাঝে আমার ভালোলাগা থেকে কবিতা আবৃত্তি করে শোনানোর চেষ্টা করলাম। আর তাছাড়া কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা গুলো এতটা অর্থবহ ও এতটা আনন্দদায়ক যা পড়ে মুগ্ধ হই, বলে বোঝানো সম্ভব নয়। তাহলে চলুন আমার মুখে আবৃতি আকারে কবিতাটি শুনে নেবেন। আশা করি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
কবিতার লিরিক
🌹 হঠাৎ দেখা🌹
রেলগাড়ির কামরায় হঠাৎ দেখা,
ভাবি নি সম্ভব হবে কোনোদিন।
আগে ওকে বারবার দেখেছি
লালরঙের শাড়িতে
ডালিম ফুলের মতো রাঙা;
আজ পরেছে কালো রেশমের কাপড়,
আঁচল তুলেছে মাথায়
দোলনচাঁপার মতো চিকনগৌর মুখখানি ঘিরে।
মনে হল, কালো রঙে একটা গভীর দূরত্ব
ঘনিয়ে নিয়েছে নিজের চার দিকে,
যে দূরত্ব সর্ষেখেতের শেষ সীমানায়
শালবনের নীলাঞ্জনে।
থমকে গেল আমার সমস্ত মনটা;
চেনা লোককে দেখলেম অচেনার গাম্ভীর্যে।
হঠাৎ খবরের কাগজ ফেলে দিয়ে
আমাকে করলে নমস্কার।
সমাজবিধির পথ গেল খুলে,
আলাপ করলেম শুরু —
কেমন আছ, কেমন চলছে সংসার
ইত্যাদি।
সে রইল জানলার বাইরের দিকে চেয়ে
যেন কাছের দিনের ছোঁয়াচ-পার-হওয়া চাহনিতে।
দিলে অত্যন্ত ছোটো দুটো-একটা জবাব,
কোনোটা বা দিলেই না।
বুঝিয়ে দিলে হাতের অস্থিরতায় —
কেন এ-সব কথা,
এর চেয়ে অনেক ভালো চুপ করে থাকা।
আমি ছিলেম অন্য বেঞ্চিতে
ওর সাথিদের সঙ্গে।
এক সময়ে আঙুল নেড়ে জানালে কাছে আসতে।
মনে হল কম সাহস নয়;
বসলুম ওর এক-বেঞ্চিতে।
গাড়ির আওয়াজের আড়ালে
বললে মৃদুস্বরে,
“কিছু মনে কোরো না,
সময় কোথা সময় নষ্ট করবার।
আমাকে নামতে হবে পরের স্টেশনেই;
দূরে যাবে তুমি,
দেখা হবে না আর কোনোদিনই।
তাই যে প্রশ্নটার জবাব এতকাল থেমে আছে,
শুনব তোমার মুখে।
সত্য করে বলবে তো?
আমি বললেম, “বলব।”
বাইরের আকাশের দিকে তাকিয়েই শুধোল,
“আমাদের গেছে যে দিন
একেবারেই কি গেছে,
কিছুই কি নেই বাকি।”
একটুকু রইলেম চুপ করে;
তারপর বললেম,
“রাতের সব তারাই আছে
দিনের আলোর গভীরে।”
খটকা লাগল, কী জানি বানিয়ে বললেম না কি।
ও বললে, “থাক্, এখন যাও ও দিকে।”
সবাই নেমে গেল পরের স্টেশনে;
আমি চললেম একা।
উৎস
কবিতার পটভূমিঃ
শুভেচ্ছান্তে,@alauddinpabel
আমি আলাউদ্দিন পাবেল।
গাজীপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে।
তারিখঃ ১৯-০৯-২০২২ ইং
Hello friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
এই কবিতাটি আমি সর্বপ্রথম শুনেছিলাম প্রাক্তন মুভিতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এর মুখে দারুণ লেগেছিল। আজ আপনার মুখে শুনলাম। কবিতা টা আমার অনেক পছন্দের। দারুণ আবৃত্তি করেছেন ভাই। বেশ ভালো 💕💕।।
ভাইয়া আপনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের খুব সুন্দর একটি কবিতা আবৃত্তি করেছেন। কবিতাটি আমি আগে কখনো শুনিনি। আপনার কন্ঠে আবৃত্তি শুনে খুবই ভালো লাগলো। যেমন সুন্দর এই কবিতাটি তেমন আপনার আবৃত্তি। অসাধারন ভাইয়া।
প্রথমে ধন্যবাদ জানাই এই কবিতাটা আবৃত্তির জন্য নির্বাচন করায়। আমার অসম্ভব প্রিয় একটা কবিতা এটা। আপনার গলায় বেশ ভালো লাগলো। তবে মিথ্যা বলব না বারবার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এর সেই আবৃত্তিটা মনে পড়ছিল খুব। মাঝে মাঝে যে এভাবে আবৃত্তি করেন এটা সত্যিই অনেক ভালো লাগে আমার কাছে। সামনে আবার কোন সুন্দর কবিতা আবৃত্তির অপেক্ষায় রইলাম।
আপনার আবৃত্তি করা কবিতাটি শুনে অনেক ভালো লাগলো। খুব চমৎকার ছিল আপনার আবৃত্তির ভাবটা। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।