কোভিট-১৯ এর টিকা গ্রহণের মুহূর্ত [benificiary ১০% @shy-fox]
আজ - ০৮ আশ্বিন | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | বৃহস্পতিবার | শরৎকাল|
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
তো চলুন শুরু করা যাক
শুভ সন্ধ্যা সবাইকে
কোভিট-১৯ এর কথা শুনলেই একটা সময় আমাদের গা শিউরে উঠতো। চারিদিকে কতো আর্তনাদ চিৎকার আর চাপা কান্না। সেই মুহুর্তের কথা এখন মনে পরলে খুবই ভয় হয়। সারা পৃথিবী স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল, কোথাও কোন মানুষ নেই চারিদিকে জন শুন্য। সবাই যে যার মতো নিজের রুমে বন্দি জীবন অতিবাহিত করেছেন। অনেক দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থেকেছে। তারপর আরো কতো দিন পার হয়ে গেলো, এখন আলহামদুলিল্লাহ করোনা পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক। পৃথিবী আবার নিজের অবস্থানে ফিরে এসেছে। হয়তো এখন ও পূর্বের অবস্থায় আসে নি, তবে আশা করছি খুব শীঘ্রই ফিরে পারো সেই পুরনো পৃথিবীরটা কে।
সরকার থেকে এখন সকল নাগরিকের কোভিট-১৯ এর টিকা দিচ্ছে, অনেকেই নিয়েছে আবার অনেকেই এখন নেয় নাই। না নেওয়া মানুষদের মধ্যে আমিও ছিলাম। কিন্তু এই তো কিছু দিন আগে আমি কোভিট-১৯ এর প্রথম ডোজ গ্রহন করেছি।
ছবিঃ-ভ্যাকসিন নেওয়ার সময়
প্রথমে ভেবেছিলাম কোভিট-১৯ এর টিকা নিবো না, কিন্তু কলেজ খুলে দেওয়ার কারনে টিকা নেওয়ায় জন্য মন স্থির করলাম।মেসে এসে শুনতে পারলাম সবাই টিকা নিয়ে নিয়েছে, তারপরে আমি সন্ধ্যার পরে একটা কম্পিউটার এর দোকানে গিয়ে কোভিট-১৯ এর জন্যে আবেদন করলাম। আবেদন শেষ করে কম্পিউটার দোকান থেকে একটি ফ্রোম শিট নিয়ে মেসে চলে আসলাম। আর দোকানি বললো আপনার মোবাইল এ একটা মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে, কবে আপনার টিকা নিতে হবে।
ছবিঃ-আবেদন করার সময়
মনের খুশিতে দোকানীর থেকে ফ্রোম শিট টা নিয়ে চলে আসলাম। আর দিন গুনতে থাকলাম কবে আমার মেসেজ আসবে। যদিও বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয় নি, সন্ধ্যায় আবেদন করেছিলাম পরের দিন রাত ১১ টায় আমার মেসেজ চলে আসে। আমার টিকা নেওয়ায় তারিখ ছিল ০৮-০৯-২০২১ তারিখে। মেসেজে মাধ্যমে আমাকে টিকার কার্ড এবং জাতীয় পরিচয় পত্র অবশ্যই সাথে করে নিয়ে আসার কথা বলা হয়েছিল।
ছবিঃ-টিকা গ্রহণের মেসেজ
মেসেজ টা দেখে আমি খুবই খুশি হয়েছিলাম। পরের দিন সকালে যদিও আমার কলেজে ক্লাস ছিল,কিন্তু ক্লাস বাদ দিয়েই টিকা নিতে যাওয়ার জন্যে মন স্থির করি। পরের দিন খুব সকালে ঘুম থেকে উঠি। সকাল ৮ঃ০০ টায় আমার ট্রেন, আমি ট্রেনে করে যাতায়াত করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। মেস থেকে কিছু সময় পায়ে হেঁটে আমি স্টেশনে পৌঁছাই। আমি ৭ঃ৪৫ এর সময় স্টেশনে চলে যাই, যেহেতু আমি একটু আগে আগে স্টেশনে পৌঁছাই তাই তখন স্টেশনে তেমন মানুষ ছিল না,সময় গড়ার সাথে সাথে মানুষে স্টেশনে চলে আসে। কিন্তু ওই দিন ট্রেন আসতে একটু দেরি হচ্ছিল, আমি স্টেশনে অনেক সময় বসে থাকি, প্রায় ৮ঃ২৫ এর সময় ট্রেন স্টেশনে আসি, আমি আমার ব্যাগ নিয়ে ট্রেনে উঠে পরি।
ছবিঃ-কুষ্টিয়া কোড স্টেশন
ট্রেনে উঠে আমি জানালার পাশে একটা সিট পেয়েছিলাম।ট্রেনের মধ্যে জানালার পাশে সিট পাওয়া আসলে অনেক ভাগ্যের ব্যাপার। হয়তো সে দিন আমার ভাগ্য টা ভালো ছিল। যাইহোক,কুষ্টিয়া কোড স্টেশন থেকে আমি ট্রেনে করে খোকসা স্টেশন পর্যন্ত আসি। আর পরে খোকসা স্টেশনে নেমে একটি রিক্সা করে আমি চলে যাই, খোকসা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে। রিক্সা থেকে নেমে খোকসা স্বাস্থ্যসেবার মধ্যে যাই, যেয়ে দেখি অনেক মানুষের ভীর। চারিদিকে মানুষ আর মানুষ অনেক বড় বড় লাইন। একদিকে পুরুষ আর অন্যদিকে মহিলা। আমি যেয়ে দেখলাম আমি অনেক দেরি করে এখানে এসেছি আমি যেয়ে লাইনের শেষে দাঁড়াই। আস্তে আস্তে সামনের দিকে অগ্রসর হই।কিন্তু প্রচুর গরম আর রৌদ্র থাকার কারনে খুবই অসস্থি লাগছিল। কিন্তু কিই বা করার ছিল বলেন...!টিকা তো নিতে হবে,তাই ধৈর্যের পরিক্ষা দিচ্ছিলাম।
ছবিঃ-লাইন এ দাঁড়িয়ে মানুষের ভীড়
ধৈর্যের পরিক্ষা দিয়ে অবশেষে তিন থেকে চার ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অবশেষে ভিতরে প্রবেশ করি। ভিতরে প্রবেশ করে এক পাশে ফ্রোম স্বাক্ষর করতেছে আর এক পাশে একটা নার্স টিকা দিচ্ছে। আমি প্রথমে ভিতরে যেয়ে আমার ফ্রোম স্বাক্ষর করি।
ছবিঃ-স্বাক্ষর গ্রহন
স্বাক্ষর গ্রহণ করে,অবশেষে সেই মুহুর্ত টা চলে আসে। আমি ও আমার সাথে দুজন ছিলো। আমরা এক সাথেই ভিতরে প্রবেশ করি। এবং সিরিয়াল অনুযায়ী আমরা টিকা গ্রহন করি।
ছবিঃ-টিকা গ্রহণ
টিকা গ্রহণ শেষ করে,আমরা একটি হোটেল এ যাই, কিছু খাওয়া দাওয়া করি। খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমরা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হই,এবং বাসায় চলে আসি। সেদিন দুপুর পর্যন্ত শরীর সুস্থ ছিলো,কিন্তু বেলা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই আমি অসুস্থ হয়ে পরি। সন্ধ্যা শেষ হওয়ার পরে আমরা শরীরের প্রচুর জ্বর চলে আসে এবং মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে যায়। সারা রাত প্রচন্ড জ্বর থাকে। পর পর তিন দিন আমার জ্বর থাকে। তারপরে আমি আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠি।
টিকা গ্রহণের খুব সুন্দর মুহূর্তটি আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন বিশেষ করে আপনি খুভ ধৈর্যের পরিক্ষা দিয়েছেন
জ্বী ভাই,প্রচুর ধৈর্যের প্রয়োজন
হা কলেজের সকলে যখন দিয়েছে আপনি বাদ থাকবেন কেন আপনিও দিয়ে ফেলছেন। এটা খুব ভালো হয়েছে। আসলেই এত মানুষ টিকা দিচ্ছে খুবই ব্যস্ত মনে হচ্ছিল। অনেক সুন্দরভাবে গুছিয়ে লিখেছেন আপনার দিনটা ভালো ছিল
জ্বী আমিও নিয়ে নিয়েছি,ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মন্তব্যের জন্য
দারুন কাজ হয়েছে। আমি গত বৃহস্পতিবার ভ্যাকসিন ডোজ নিয়েছি। আমার সবচাইতে ভালো লেগেছে বন্ধুরা সাথে করে একসাথে ভ্যাকসিন নিয়ে এসেছেন। বাড়ির সবার ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করেও নিন। 🤗
জ্বী দাদা,বাসায় সবার জন্যে আবেদন করেছি,মেসেজ আসলে তাদেরও নিতে হবে
আমার এখনো নেওয়া হয়নি । আশা করছি খুব শীঘ্রই নিয়ে নিবো।
হুম, তারাতাড়ি নিয়ে নিন।
শেষ অব্দি নারস এর কাছ থেকে টিকা নিয়েই নিলেন জীবন ভাই।আশা করি আপিনার জ্বর আসবে।বিশ্রাম কিরুন আর ঘুমান।😍😍😍
Ji vhai😍😍
😁😁😁😁
আপনাকে ধন্যবাদ টিকা গ্রহন করার জন্য। আমাদের প্রত্যেকেই টিকা নেওয়া খুবই জরুরী
হুম
আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভাইয়া।।
কোভিট-১৯ এর টিকা গ্রহণ করেছেন ,, আল্লাহ যেনো আপনাকে সুস্থ রাখে এই কামনায় করি ভাইয়া...❤️❤️
ধন্যবাদ