আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স || নতুন যুগের সূচনা
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনার সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহতালার অশেষ রহমতে আমিও মোটামুটি ভালো আছি। আজ আমি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে কিছু কথা বলব। বর্তমানে আমাদের প্রযুক্তি যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে এতে করে খুব বেশিদিন সময় লাগবে না, যখন আমাদের চারিদিকে রোবোটিক আর্ম যুক্ত সেনাবাহিনী থাকবে।
২০২০ সালের কথা মনে আছে, সেই করোনা মহামারীর পর থেকেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর বিষয়বস্তুগুলো আমাদের সামনে খুব জোরশুরভাবে উপস্থাপন করতে থাকলো। বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি এর মধ্যে রয়েছে অ্যাপল google, amazon, open ai এর মতো বিখ্যাত সব বড় বড় কোম্পানি। উদ্দেশ্য একটাই নতুন একটি যুগের সূচনা এবং আমাদের কার্যকলাপ গুলো আরও যাতে নিখুঁতভাবে এবং সংক্ষিপ্ত রূপে সম্পাদন করা যায় সেই উপস্থাপনাই করা। বর্তমানে বিভিন্ন সেক্টরে ওয়ার্কারের বদলে রোবোটিক্স ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে করে কাজের গতি যেরকম বৃদ্ধি পাচ্ছে সেরকম ভাবেই কাজের উন্নতিও করছে এবং কম সময় বেশি প্রোডাক্ট উৎপন্ন করা সম্ভব হচ্ছে। এই দিক থেকে সবথেকে বেশি এগিয়ে আছে টেসলা গ্রুপ। কারণ অনেক আগে থেকেই সেই রোবটিক্স ব্যবহার করে তাদের প্রোডাক্ট তৈরি করে আসছে।
গত পাঁচ বছরে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এতটাই উন্নত হয়েছে যে বর্তমানে জন্মসাধারণের জন্য বিশেষ কিছু সেক্টর উন্মুক্ত করা হয়েছে। যার কারণে আমরা সাধারণ জনগণেরাই বিভিন্ন ধরনের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে দৈনন্দিন কাজগুলো করে থাকি। বর্তমানে পড়াশোনার ক্ষেত্রেও কিন্তু ব্যাপক উন্নতি সাধন হয়েছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে এখন কয়েকটি টেক্সট দিয়েই নিজের ইচ্ছামত ছবি তৈরি করা যাচ্ছে। যেসব কাজগুলো আগে ঘন্টার পর ঘণ্টায় বসে ফটোশপে করতে হতে এখন কয়েক সেকেন্ডেই সেসব করা সম্ভব হচ্ছে শুধুমাত্র আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে।
আর্টিকেল ইন্টেলিজেন্স অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন প্রায় সব সেক্টরেই ছড়িয়ে পড়েছে। এখন কোন কিছু ডেভেলপমেন্ট করার জন্য আপনাকে কোডিং এর উপরে এক্সপার্ট হতে হবে না, সে ক্ষেত্রেও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যাপক ধরনের অগ্রগতি দেখাচ্ছে এবং অনেকেই তো এটাকে গ্লোবাল থ্রেট হিসেবে বিবেচনা করেছে। যার কারণে অনেকেই এই জায়গা থেকে পিছিয়ে আসছে তবে কেউ কাউকে ছাড় দিতে যাচ্ছে না। সবাই এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স জগতে রাজা হতে চাচ্ছে।
জীবনের প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই বর্তমানে আর্টফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে কাজে লাগাচ্ছে। এতে করে যেমন আমাদের সময় বাজছে ঠিক তেমনিভাবে আমাদের পরিশ্রমও কিন্তু কমে যাচ্ছে। তবে এটার কিছু পজিটিভ এবং নেগেটিভ দিক রয়েছে। যেগুলো হয়তো বর্তমানে আমরা সেভাবে বুঝতে পারছি না। এখন শুধু আমরা পজিটিভ দিকগুলোই ভালোভাবে অনুধাবন করতে পারছি। তবে এই বিষয়গুলো যদি আমরা একটু অন্যভাবে চিন্তা করি যদি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নিজস্ব চিন্তা ভাবনা তারা নিজস্ব একটি সেনাবাহিনী তৈরি করে তাহলে হয়তো সিনেমা মুভির মতই আমাদের এই পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যেতে পারে এবং এই বিষয়গুলো অনেক বিলিয়ার রা আগে থেকেই প্রেডিকশন করে রেখেছেন।
তবে আর যাই হোক না কেন এই বিষয়গুলোতে আমাদের এক্সপার্ট হতে হবে তা না হলে হয়তো এই সমাজের টিকে থাকা অনেকটাই মুশকিল হয়ে যাবে। বর্তমানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর উপরে আপনারা যদি ভালোভাবে আইডিয়া নিতে চান কিংবা ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারেন তাহলেই হয়তো আপনাদের ভবিষ্যৎ আরো উজ্জ্বল হবে বলে মনে করি। আপনারা কি মনে করেন এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে তা অবশ্যই মন্তব্য জানাতে পারেন।
VOTE @bangla.witness as witness
OR

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স || নতুন যুগের সূচনা
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......
আপনার এই পোস্টটি অত্যন্ত তথ্যবহুল ও চিন্তাশীল হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আপনার বিশ্লেষণ সত্যিই প্রশংসনীয়। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য AI একটি বড় সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ,আপনার লেখায় সেটা পরিষ্কারভাবে উঠে এসেছে। এমন গঠনমূলক লেখার আরও প্রত্যাশা করি!