প্রাচীন কালের কৃষি এবং বর্তমান সময়ের কৃষি

in আমার বাংলা ব্লগ4 days ago

আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
রবিবার, ২০ই এপ্রিল ২০২৫ ইং

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে কৃষি নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।


premium_photo-1674624682232-c9ced5360a2e.jpeg

Source

কৃষি আমাদের সভ্যতার ভিত্তি, এবং সময়ের সাথে সাথে এর রূপ ও প্রকৃতি ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। প্রাচীন কালে কৃষি ছিল প্রকৃতিনির্ভর, পরিশ্রমনির্ভর এবং একেবারে মৌলিক প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে। কৃষকদের প্রধান সহায় ছিল সূর্য, বৃষ্টি ও মৌসুমি চক্র। তারা নিজস্ব অভিজ্ঞতা ও প্রাকৃতিক লক্ষণ দেখে বপন ও ফসল কাটার সময় নির্ধারণ করত। মাটি চাষের জন্য গরু টানা লাঙল ব্যবহার করা হতো, আর বীজ বপন থেকে শুরু করে ফসল সংগ্রহ—সবই ছিল হাতে-কলমে।

সেই সময়ে কৃষি ছিল মূলত জীবিকানির্ভর। কৃষকরা নিজের পরিবারের খাদ্যের চাহিদা মেটাতেই ফসল ফলাতো। অতিরিক্ত কিছু হলে স্থানীয় হাটে বিক্রি করত। সার হিসেবে ব্যবহার হতো গবাদিপশুর গোবর বা পচা জৈব পদার্থ। কীটনাশকের ব্যবহার বলতে ছিল গাছের পাতা বা ধোঁয়া দিয়ে পোকা তাড়ানোর প্রচেষ্টা। প্রযুক্তি বা বৈজ্ঞানিক ধারণা তখনো কৃষিতে প্রবেশ করেনি।বর্তমান সময়ে কৃষির চিত্র একেবারেই আলাদা। এখন কৃষি একটি বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া।

উন্নত জাতের বীজ, রাসায়নিক সার, কীটনাশক, সেচ ব্যবস্থা ও যন্ত্রপাতির ব্যবহার ব্যাপকভাবে বেড়েছে। কম সময়ে বেশি উৎপাদনই এখন মূল লক্ষ্য। আধুনিক কৃষি এখন আর শুধু জীবিকার উৎস নয়, এটি একটি শিল্প ও বাণিজ্যের অংশ। ফসল উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণ, রফতানি—সবই একটি সুসংগঠিত ব্যবস্থার মধ্যে পড়ে।প্রযুক্তির সহায়তায় এখন কৃষকরা আবহাওয়া পূর্বাভাস জানতে পারে, মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে জমির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে পারে,

এমনকি ড্রোন ব্যবহার করে ক্ষেতে সার ও পানি দেওয়া যায়। চাষের পদ্ধতিতেও এসেছে পরিবর্তন—হাইড্রোপনিক্স, অ্যাকুয়াপনিক্স, ভার্টিক্যাল ফার্মিং ইত্যাদি নতুন ধারাগুলো ভবিষ্যতের কৃষিকে আরও টেকসই ও পরিবেশবান্ধব করে তুলছে।তবে এ সব উন্নয়নের মাঝেও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। মাটি ও পানির উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা, রাসায়নিকের ব্যবহার, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এসব কৃষির স্থায়িত্বে প্রশ্ন তুলছে। তাই এখন সময় এসেছে প্রযুক্তির সঙ্গে টেকসই কৃষির সমন্বয় করার।

প্রাচীন কৃষি আমাদের শিকড়, আর আধুনিক কৃষি আমাদের ভবিষ্যৎ এই দুইয়ের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করাই হবে আগামীর চ্যালেঞ্জ। আশা করছি ভবিষ্যতে আমাদের এই কৃষি প্রযুক্তি আরো বেশি উন্নত হবে।আর এই কৃষি প্রযুক্তি যত বেশি উন্নত হবে তত বেশি আমাদের দেশের কৃষকেরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে।আর আমাদের দেশের প্রতিটি কৃষক একটি মূল্যবান সম্পদ। আমরা মূল্যবান সম্পদ কে একদিন বড় ধরনের শক্তিতে রূপান্তরিত করতে চাই।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZ6f4GKSwLn3BBFmPFifbbr21AhPTJ7XiTPJGbzxXNzpL3AeDnWebvp5DxFE241B8HGEVAqqCDY5m5Sn.png

Vote@bangla.witness as witness

54TLbcUcnRm3sWQK3HKkuAMedF1JSX7yKgEqYjnyTKPwrcNLMcZnLnFrW5PDaQKxbWWqwrRezSAe39S7RTiEk7NCzgzD1reVavwZGUMbjasjujy1CQqSedvtuVGKXod3vcdSqiXp2.png

Or

Set@rme as your proxy

2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WEX4nZPQpSChVhr5YUqUeT6qhYr1L6PMHKqtRnepY2a8e1tqsDtWfr4V8KDGvJtydqvz4V68PMUyu9EWpez2.png


আমার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

1728830339945~3.jpg

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে দিনাজপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।