মোবাইল আসক্তি||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
আজকে আপনাদের মাঝে কি বিষয় নিয়ে হাজির হয়েছি সেটা নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝতে পেরে গিয়েছেন বন্ধুরা পোস্টের টাইটেল দেখে।বর্তমান আমরা বাচ্চা থেকে তরুণ প্রজন্মের যারা রয়েছি সবাই মোবাইলে আসক্ত।এক মিনিটও যেন আমরা মোবাইল ,ইন্টারনেট ছাড়া থাকতে পারিনা।আসক্তি বলতে সাধারণত বোঝায় যে জিনিস ছাড়া আপনি শান্ত থাকতে পারেন না।আপনাকে যদি একটি মোবাইল দেওয়া হয় কিন্তু সেটাই কোনো সিম বা ইন্টারনেট কানেকশন না দেওয়া হয় তাহলে আপনি কি মোবাইলটি নিয়ে আদৌ আপনার কার্যাদি সম্পন্ন করতে পারবেন?আপনার উত্তর অবশ্যই না বোধক হবে। এজন্য যে আমরা প্রত্যেক মানুষ মোবাইল অ্যাপস এবং ইন্টারনেট এর প্রতি আসক্ত।
কয়েকদিন আগে ফেসবুক কিছু সময়ের জন্য লগআউট হয়ে গিয়েছিল।আর সেই সময়টাতে অনেকেই অস্থির হয়ে পড়েছিলেন ।যারা অস্থির হয়ে পড়েছিলেন তারা ফেসবুক এ আসক্ত আমরা এটা বলতে পারি।বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া আমাদের এক মুহুর্ত ও চলে না।আর আমাদের জীবনের মূল্যবান সময় আমরা নষ্ট করে থাকছি অহেতুক এই সোশ্যাল মিডিয়ার পিছনে।প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে যেটা আমরা নিউটনের তৃতীয় সূত্র থেকে জেনেছি।এটার প্রতিফলন আমরা ব্যক্তি জীবনেও দেখে থাকি।অহেতুক সময় নষ্ট করার জন্য আমরা স্টুডেন্ট যারা রয়েছি তারা একসময় গিয়ে সাফারার হচ্ছি কাঙ্খিত ফলাফল না করতে পেরে।শুধুমাত্র ফেসবুক নয় আমরা এক একজন মানুষ এক একটি অ্যাপস এর প্রতি আসক্ত।অন্যদিকে বাচ্চারা যারা রয়েছে তাদের আসক্তির প্রধান বিষয় হচ্ছে ফ্রি ফায়ার , পাবজি ইত্যাদি অনলাইন গেইম।তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা গেইম খেলার জন্য অল্প বায়স থেকেই হাই পাওয়ারের চশমা ব্যবহার করতে হচ্ছে।
অন্যদিকে আমরা এই স্টিমিট প্লাটফর্মে যারা রয়েছি তারা এই অ্যাপস টির প্রতি আসক্ত এটা বললে হয়তো ভুল হবে না।একদিন যদি সার্ভার ডাউন থাকে তখনই আমরা বুঝতে পারি এটি ছাড়া আমাদের একটি দিন কেমন যায়।তেমনি পৃথিবীতে প্রত্যেক ব্যক্তির আসক্তির বিষয় ভিন্ন ভিন্ন।তবে এই আসক্তি টা আমাদের জন্য অনেকটাই ক্ষতিকর।বিশেষ করে আমাদের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড গুলোতে ব্যাপক প্রভাব ফেলে এই আসক্তি।এই দেখুন না আমাদের এই পোস্টের বিষয় যদি বলি।একদিন পোস্ট করার পর আমাদের মনে চিন্তা আসে আগামী দিনের পোস্টটি কি করা যায়।এধরনের আসক্তি গুলো থেকে মুক্তির আসলেই কোনো উপায় নেই।কারণ এগুলো থেকে মুক্তি পেতে চাইলে আরো বেশি জড়িয়ে পড়তে হবে।আমাদের নিদ্দিষ্ট সীমার মধ্যে যেকোন কাজ করতে হয়। যাতে করে আমরা সব কাজেই সাফল্য পাই।আর এই আসক্তির বিষয়গুলো কে বিনোদন মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করলে হয়তো বা অনেকটা রেহাই পাওয়া যায়।এক্ষেত্রে আমাদের দুই তিন ঘন্টার বেশি সময় দেওয়া কখনোই উচিত নয় বিনোদন ক্ষেত্রে ।বন্ধুরা এই ছিল আমার আসক্তি নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date- 9th March,2024
VOTE @bangla.witness as witness

OR
VOTE @bangla.witness as witness

যত দিন যাচ্ছে মানুষ তত অনলাইনে দিকে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। আর সব মানুষ কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে আসক্ত হচ্ছে। আপনি সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে পোস্ট করেছেন তবে আমাদের একটা লিমিটের মধ্যে থাকতে হবে যেটা আমাদের ক্ষতির কারণ থেকে রক্ষা করবে। এর আগে ফালতু সময় নষ্ট করেছি অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতে এখন বরঞ্চ সুন্দর একটা ইনকামের সোর্স পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ।
হ্যা এখানে এসে আমারও আসক্তি টা গেছে ফেসবুক থেকে,ধন্যবাদ আপু।
সত্যিই আমরা বর্তমানে মোবাইলের প্রতি অনেকটাই আসক্ত হয়ে পড়েছি। মোবাইল ছাড়া যেন এক মুহূর্তই চলে না। আসলে আমরা চাইলেও এগুলা থেকে দূরে থাকতে পারিনা। আর এই দূরে না থাকতে পারাটাই হচ্ছে আসক্তি। তবে আমাদের সবাইকে চেষ্টা করা উচিত লিমিট এর বেশি মোবাইল ইউজ না করা। আর ফেসবুক বন্ধ হওয়ার কথা আর কি বলবো অনেকেই তো চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল যে আমার আইডির কোন সমস্যা হলো কিনা। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি আমাদের সবারই নিদ্দিষ্ট একটি লিমিট এর মধ্যে থাকতে হয়,ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন। আসলে আমরা প্রায় প্রতিটা মানুষ এই ফেসবুক নামক অ্যাপস এর প্রতি বেশ আকৃষ্ট। আসলে আপু আমি অন্যের কথা কি বলবো আমি নিজেও তো ফেসবুক বেশ ভালো ইউজ করি। তবে আমাদের সকলকে এখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করার জন্য।
হ্যা তবে স্টিমিট এ যারা আছি আমরা তারা একটু কমই আসক্ত ফেসবুক এর প্রতি,ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
কাজী নজরুল ইসলাম একটা কথা লিখেছিল তার একটা কবিতায় এই দুনিয়াটাকে দেখব হাতের মুঠোয় পুরে। সেই সময়টাই চলছে আপু ইচ্ছা করলেই কোন মানুষ মোবাইল ছাড়া চলতে পারছে না। বলতে পারেন আমরা মোবাইলের উপরে আসক্ত। কিছুদিন আগে ফেসবুকে লগ আউট হয়েছিল। ঐদিন আমি তো ফেসবুক আনইন্সটল করে দিয়েছিলাম। যাইহোক আমরা চাইলেও এখান থেকে বের হতে পারব না। তবে এটা করতে পারি নিজেকে এর কাছ থেকে কিছুটা সময় দূরে সরে রাখার জন্য চেষ্টা করতে পারি।
জি ভাইয়া আমরা চাইলেই একেবারে বাদ দিয়ে দিতে পারছিনা পৃথিবীটাকে হাতের মুঠোয় রয়েছে যে এই সোশ্যাল মিডিয়া গুলো ব্যবহারের মাধ্যমে।
সামান্য কয়েক বছর আগে ফেসবুক টুইটার instagram এগুলোতে তেমন একটা মানুষের আসক্তি ছিল না তবে এখন বর্তমানে এটা খুবই খারাপ ভাবে বিস্তার লাভ করেছে। সেদিন যখন ফেসবুক এর সার্ভার ডাউন হয়ে গেছিল তখন আমার ফ্রেন্ড এর মধ্যে যেন হতাশার ছাপ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল সবাই তো ফোন রিসেট মারা শুরু করছিল তো যাই হোক আসলেই এই আসক্তি একটা খারাপ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এক ঘণ্টার জন্য ফেসবুক বন্ধ ছিল এটা সবার মুখে শুনেছি,আমার নিজের দেখা হয়নি ।কারণ ফেসবুক এ ওই সময়টা তে যাওয়া হয়নি আমার।ধন্যবাদ আপনাকে।
খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করেছেন। লেখাগুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। সত্যি কথা আনরা দিনের পর দিন মোবাইলের প্রতি আসক্তি হয়ে উঠছি। এর থেকে মুক্তির কোন উপায় সত্যিই জানা নেই।
আসলেই আপু বর্তমানে সবাই মোবাইলের প্রতি অনেক বেশি আসক্ত হয়ে গেছে। আমাদের সবার উচিত মোবাইলের প্রতি আসক্ত হওয়া। সেদিন ফেসবুকের সার্ভার ডাউন থাকার কারণে ঘটনাটা ঘটেছিল। অনেক সুন্দর একটি শিক্ষনীয় পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আমাদের সবার উচিত মোবাইল আসক্তি কমানো নিদ্দিষ্ট সীমা রেখে ব্যবহার।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি ঠিক বলেছেন আপু বর্তমানে মোবাইল আসক্তর সংখ্যা অনেক বেশি। বাচ্চা থেকে তরুণ সবাই মোবাইল নিয়ে থাকে সারাক্ষণ। কিন্তু দরকার থেকে বেদরকারি কাজেই বেশি ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে ইউটিউব ফেসবুক আর টিকটক সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া গুলো ব্যবহার করার সংখ্যায় বেশি রয়েছে। যার কারণে তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে চলে যাচ্ছে। খুব ভালো একটি সাবজেক্ট নিয়ে লিখেছেন আপনি। বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে।
জি ভাইয়া ঠিক বলেছেন একদম, ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি মনে করি শুধু শুধু এমবি খরচ করে সোশ্যাল মিডিয়াতে সময় না দেওয়াই ভালো। যদিও আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রবেশ করি বিভিন্ন খবরা খবর দেখার জন্য। তবে তা স্বল্প সময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ হওয়া উচিত। এই মোবাইল আসক্তির কারণে দিন দিন দেশের তরুণ তরুণীদের পরিস্থিতি খুবই খারাপের দিকে যাচ্ছে। আপনার লেখা গুলো খুবই মূল্যবান ছিল। অনেক ভালো লেগেছে পড়ে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু মনোযোগ সহকারে লেখাটি পড়ার জন্য।