"আমার বাংলা ব্লগ "প্রতিযোগিতা -৫১||শীতকালীন সবজি ভর্তা রেসিপি।
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি।আমি শাপলা দত্ত, বাংলাদেশ থেকে আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।" বাংলা ব্লগের"জন্য প্রতিযোগিতা ভর্তা রেসিপি।
শ্রদ্ধেয় দাদা,ছোট দাদা, দিদি,সকল এডমিন মডারের আপু ওভাইয়াদের নিধারিত কনটেস্ট শীতকালীন সবজির ভর্তা রেসিপি।সবাইকে ধন্যবাদ জানাই এতো সুন্দর একটও লোভনীয় রেসিপির প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য। ভর্তা খেতে ভালোবাসেন না এমন মানুষ পাওয়া মুসকিল। নানান রকমের ভর্তা খেতে সব সময়ই ভালো লাগে কিন্তুু শীতকালে গরম ভাতের সাথে বেশি ভালো লাগে ভর্তা খেতে।আর যদি হয় সেই ভর্তা শীতকাল কোন শাক বা সবজি দিয়ে ভর্তা তাহলে তো কোন কথায় নেই।শ্রদ্ধেয় দাদা,আপু ভাইয়াদের প্রতিযোগিতার আয়োজিত ভর্তা রেসিপিতে আজ আমি শেয়ার করবো শীতকালীন সবজি বাঁধা কপি
ভর্তা ও লাউ শাক ভর্তা রেসিপি।সাধারণ ও সহজ রেসিপি কিন্তুু অসাধারণ মুখরোচক। আমি রান্নায় সব সময় চেষ্টা করি যা অনেক সুস্বাদু তা শেয়ার করতে।আমি রেসিপি করার সময় এতোটা যত্নের সাথে মনোযোগ সহকারে করি যে আমার মনে হয় খেয়ে খেয়ে ভোট দেবে কিংবা কমেন্ট করবে সবাই ।আমি বরাবরই রেসিপি প্রতিয়োগিতায় অংশ গ্রহন করে থাকি এবং খুব ভালো লাগে আমার এই রেসিপি প্রতিযোগিতা। তাই আজকেও খুব আগ্রহ নিয়েই রেসিপি শেয়ার করছি আপনাদের সাথে।
তো চলুন দেখা যাক রেসিপি দুটো কেমন।
আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রথমে আমি শেয়ার করবো বাঁধা কপির ভর্তা রেসিপি।
১.বাঁধাকপি |
---|
২.রসুন |
৩.কালোজিরা |
৪.কাঁচা মরিচ |
৫.শুকনো মরিচ |
৬.লবন |
৭.হলুদ |
৮.ভোজ্য তেল |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি বাঁধা কপি কুচি করে কেটে নিয়েছি এবং ধুয়ে জল ঝড়িয়ে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন আমি চুলায় কড়াই বসিয়েছি ও কুচানো বাঁধা কপি গুলো দিয়ে সিদ্ধ করে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এখন সিদ্ধ হয়ে গেলে একটি ঝাঁকার মধ্যে সিদ্ধ বাঁধাকপি গুলো নামিয়ে নিয়েছি ও জল ঝাড়া অবদি অপেক্ষা করেছি।
চতুর্থ ধাপ
এরপর চুলায় কড়াই বসিয়ে কালো জিরা, কাঁচামরিচ,শুকনো মরিচ,রসুন গুলো ভেজে নিয়েছি।
পঞ্চ ধাপ
ভাজা হয়ে গেছে তাই সব গুলো উপকরণ তুলে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
এখন সিদ্ধ করে রাখা বাঁধাকপি গুলো শিল,নোড়ার সাহায্যে সুন্দর করে বেটে নিয়েছি।
সপ্তম ধাপ
এখন কালো জিরা,কাঁচামরিচ, শুকনা মরিচ,রসুন গুলো বেটে তুলে নিয়েছি। বাঁধাকপি গুলো বেটে তুলে নিয়েছি।
অষ্টম ধাপ
এখন চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিয়েছি এবং পরিমান মতো তেল দিয়ে গরম করে নিয়েছি ও গরম তেলে বাটা বাঁধা কপি গুলো দিয়েছি ও তাতে লবন হলুদ দিয়ে নারাচারা করে কিছু সময় ভেজে নিয়েছি।
নবম ধাপ
একটু সময় ভেজে নেয়ার পর তাতে বাটা,কালোজিরা,রসুন,মরিচের সব গুলো উপকরণ দিয়েছিও খুন্তির সাহায্যে সুন্দর করে নারাচারা করে মিশিয়ে নিয়েছি।
দশম ধাপ
এখন অনবরত নারাচারা করে করে আঠালো ভাব চলে আসলে বুঝতে হবে ভর্তা পুরাপুরি ভাবে তৈরি হয়ে গেছে।আমার ভর্তা গুলো পুরাপুরি ভাবে হয়ে গেছে তাই একটি পাত্রে নামিয়ে নিয়েছি।
পরিবেশের জন্য তৈরি করে নিয়েছি
বাঁধকপির পাতা দিয়ে সুন্দর করে একটু সাজিয়ে নিয়েছি
এই ছিলো আমার আজকের বাঁধাকপির চাটনি বা ভর্তা রেসিপি।রেসিপিটি একটু বাঁধা কপির পাতা দিয়ে সাজিয়ে নিলাম কারণ রেসিপিটি করার সময় ভাবছিলাম যেহেতু রেসিপিটি করতে অন্যন্ ভর্তার তুলনায় একটু বেশি সময় লাগে। যদি এমন হতো যে ক্ষেত থেকে একটি বাঁধাকপি তুলে এনে দেখতাম এরকম সুন্দর রেডি ভর্তা ভিতরে তাহলে কেমন হতো বলেন তো।আসলে এটা বাস্তবে সম্ভব নয় জেগে জেগে সপ্ন দেখা মাত্র। আজ এপর্যন্তই কেমন লাগলো আমার বাঁধাকপি ভর্তা রেসিপিটি অবশ্যই জানাবেন।
দ্বিতীয় ভর্তা রেসিপি
লাউ শাক ভর্তা রেসিপি
১.লাউ পাতা |
---|
২.কালোজিরে |
৩.কাঁচামরিচ |
৪.রসুন |
৫.লবন |
৬.হলুদ |
প্রথম ধাপ
প্রথমে লাউ শাক ধুয়ে পরিস্কার নিয়েছিও ঝল ঝড়িয়ে
নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন চুলায় কড়াই বসিয়েছি ও একে একে কালোজিরে, মরিচ, রসুন গুলো ভেজে নিয়েছি ও তুলে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এবার চুলায় কড়াই বসিয়ে নিয়েছি এবং লাউ শাক গুলো কড়াই এ দিয়েছি ও তাতে পরিমাণ মতো লবন, হলুদ দিয়ে নারাচারা করে মিশিয়ে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
এখন একটু জল দিয়েছি ও সুন্দর করে সিদ্ধ করে নিয়েছি।
পঞ্চ ধাপ
একদম শুকনা করে ভেজে নেয়ার পর তুলে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
এখন লাউ শাকও ভর্তার জন্য সব গুলো উপকরণ শিল নোড়ায় নিয়েছি এবং খুব ভালো করে বেটে তুলে নিয়েছি।
সপ্তম ধাপ
পুরাপুরি মিহি করে বাটা হয়ে গেছে।। এই তো তৈরি হয়ে গেছে আমার মজাদার লাউশাক ভর্তা। এখন আমি একটি লাউ পাতা পরিস্কার করে ধুয়ে নিয়েছি এবং একটি পাত্রের উপরে নিয়েছি ও লাউ শাক ভর্তা গুলো তার উপরে রেখে পরিবেশের জন্য সাজিয়ে নিয়েছি।
ভর্তার পাত্র টি একটু সুন্দর করে সাজিয়ে নিলাম লাউ এর ডগা দিয়ে
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা এই ছিলো আমার আজকের দুটি প্রতিযোগিতা মূলক ভর্তা রেসিপি।আশা করছি আপনাদের সবার ভালো লাগবে।কেমন লাগলো আমার মুখরোচক ভর্তা রেসিপি দুটো টা অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। আজ এ পর্যন্তই আবারও দেখা হবে নতুন কোন রেসিপি নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন ও নিরাপদে থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | প্রতিযোগিতার জন্য রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
শুরুতেই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপু প্রতিয়োগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য ৷ আপনি তো আজ বেশ মজাদার দুটি ভর্তা রেসিপি শেয়ার করেছেন ৷ এভাবে কখনো বাধা কপি ভর্তা কিংবা লাউ পাতা ভর্তা , কোনোটাই খাওয়া হয়নি ৷ আপনার রেসিপি দেখে দারুণ মজাদার দুটো ভর্তা রেসিপি শিখতে পারলাম ৷ খুবই ভালো লাগলো ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে রেসিপি দুটো সুন্দর ভাবে শেয়ার করার জন্য ৷ আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল ৷
আমার ভর্তা রেসিপি দেখে শিখেছেন জেনে ভীষণ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আমার রেসিপি পোস্টে সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনের জন্য আপনাকে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা। শীতকালের সব্জির বেশ সুন্দর দুটি ভর্তার রেসিপি শেয়ার করেছেন। আর বিভিন্ন ধরনের ভর্তা খেতে বেশ ভালো লাগে। আপনি দুটো ভর্তাতেই কালজিরা ব্যবহার করেছেন যা শরীরের জন্য বেশ উপকারী। গরম গরম ভাতের সাথে খেতে বেশ মজা লাগবে। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন আপু কালোজিরা আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
প্রথমে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন। প্রতিযোগিতার জন্য দুটি অসাধারণ ভর্তার রেসিপি তৈরি করেছেন। কালোজিরা দেওয়াতে ভর্তা গুলো খেতে আরো বেশি সুস্বাদু হবে মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ আপু দুইটা ইউনিক ভর্তা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন কালোজিরা দেয়াতে এই ভর্তার স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে গেছে এবং খুব সুন্দর একটা মিষ্টি গন্ধ হয়েছে ভর্তাতে।
দিদি আপনার শেয়ার করা বাঁধাকপির ভর্তা এবং লাউ শাকের ভর্তা রেসিপি দুটিই অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে। একটু অন্যরকম ভাবে করার চেষ্টা করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আপনার রেসিপি দুটির পরিবেশন খুব চমৎকার হয়েছে। এই শীতের সময় এমন ভর্তা রেসিপি খেতে সত্যি অনেক বেশি ভালো লাগে । প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আপনার রেসিপি দুটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং সে সাথে অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
দুটি ভর্তাই ভীষণ সুস্বাদু ও মুখরোচক দাদা।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
এগুলো সুস্বাদু এবং মুখরোচক করতে যে আপনাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে, সেটাও বুঝতে পেরেছি দিদি।
আমিও কয়েকদিন থেকে ভাবছিলাম বাঁধাকপি ভর্তা করব। আর আজকে আপনার রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো আপু। তবে যাই বলুন না কেন লাউশাক ভর্তা খেতে কিন্তু বেশ ভালো লাগে। দারুন সব রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
করে ফেলেন আপু বাঁধাকপি ভর্তা খেতে দারুন লাগবে।লাউশাক ভর্তা সত্যি ভীষণ ভালো লাগে খেতে।
এভাবে কালোজিরা বাটা দিয়ে বাঁধাকপির ভর্তা আগে কখনো খাওয়া হয়নি আমার। তবে লাউ শাকের ভর্তা তো অনেক খেয়েছি। এটি আমার খুব পছন্দের একটি ভর্তা আইটেম 😍।যে একবার খেয়েছে সে বারবারই খেতে যাবে এমন মজার। বেশ দারুন দারুন দুটি রেসিপি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছ দেখছি। প্রতিযোগিতার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা বৌদি।
বাঁধাকপি এভাবে ভর্তা করে খেয়ে দেখিও ভীষণ ভালো লাগবে।লাউ শাক ভর্তা মাঝে মাঝেই করে খাই আমি শীতকালে। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
প্রথমে আপনাকে জানাই অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকের এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন দেখে খুশি হলাম। খুব চমৎকার ভাবে আপনি কনটেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন একটি রেসিপি নিয়ে। যেখানে শীতকালীন শাক সবজির দারুন এক রেসিপি তৈরি করেছেন। আশা করি অনেক টেস্টি ছিল আপনার এই রেসিপি।
প্রথমেই আপনাকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করার জন্য জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা। যাইহোক আপনার শীতকালীন সবজির ভর্তা রেসিপি দেখে খুবই ভালো লাগলো।এগুলো ভর্তা গরম গরম ভাতের সঙ্গে খেতে খুবই মজা লাগে।ধন্যবাদ আপু পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন গরম গরম ভাতের সাথে খেতে দারুণ মজা লাগে এমন ভর্তা খেতে।
প্রথমেই অভিনন্দন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আজকে আপনি শীতকালীন সবজি ভর্তা রেসিপি করেছেন। এটা আমার ভীষণ ভালো লাগলো। প্রয়োজনীয় উপকরণগুলি অনেক সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল দারুন ছিল।
আমারও ভীষণ ভালো লাগে খেতে এই রেসিপিটি তাই প্রতিযোগিতায় রেসিপি করা।
লাউয়ের শাক ভর্তা করার প্রক্রিয়াটি পূর্বে আমার বাড়িতে দেখেছিলাম। কিন্তু বাঁধাকপি যে এতো সুন্দর ভাবে ভর্তা করা যায় সেটা আজ আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। নিশ্চয়ই বাঁধাকপির ভর্তা খেতে অনেক সুস্বাদু ছিল। আপনার এই ভর্তা রেসিপিতে কালোজিরার ব্যবহারটা আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে।
বাঁধা কপি এভাবে ভর্তা করলে ভীষণ সুন্দর লাগে খেতে।কালোজিরার দেয়াতে আরো স্বাদ বেড়ে যায়।