আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।

আপনাদের সাথে আজকে আবারও চলে এলাম একটি কনটেস্ট পোস্ট নিয়ে। যেটা আমার বাংলা ব্লগে বর্তমানে চলমান রয়েছে। প্রতিমাসে যেহেতু কমপক্ষে ২টি কন্টেস্টের আয়োজন করা হয় সেক্ষেত্রে এবারেও একদম ইউনিক এবং ভিন্ন রকম একটি কন্টেস্টের আয়োজন করা হয়েছে। এবারের কনটেস্টের টপিক হল ঝাল ঝাল ভর্তা তৈরি করা। স্বাভাবিকভাবে ভাত খাওয়ার সময় যদি একটা ভর্তা আইটেম থাকে তাহলে সে ভর্তা দিয়েই ভাত খেয়ে ফেলা যায়। সত্যি কথা হলো আমার কাছে বিভিন্ন রকম ভর্তা খেতে খুবই ভালো লাগে। আর আমাদের মাঝেমধ্যে বিভিন্ন রকম ভর্তা তৈরি করা হয়। যেমন মাছ ভর্তা, ডিম ভর্তা, আলু ভর্তা, তার পাশাপাশি বিভিন্ন রকম সবজি, পাতা অথবা বিচি দিয়েও করা হয়।


তবে এইবারের কনটেস্টে যেহেতু ঝাল ভর্তা রেসিপি দিতে হবে তাই ইউনিক কিছু মাথায় রেখেই আমি আমার রেসিপিটি তৈরি করলাম। রেসিপিটি তৈরি করেছিলাম দুই দিন আগে কিন্তু এই দুই দিন আমি সব সময় ব্যস্ত থাকার কারণে কনটেস্ট পোস্টটি সময় দিয়ে লিখতে পারছিলাম না। সবদিক সামলে প্রচুর চাপ পড়ে যায় নিজের উপরে। আজ সন্ধ্যায় ক্লাস করে এসে রান্না বান্না সেরে বসে গেলাম কনটেস্ট পোস্ট তৈরি করতে। যাইহোক সর্বোপরি আমি এইবারও যে কন্টেস্ট এ অংশগ্রহণ করতে পারছি এটাই তো আমার কাছে সবচেয়ে বড় বিষয়। ঝাল ঝাল ইউনিক ভর্তা তৈরীর ক্ষেত্রে আমি এইবার ভিন্ন একটা জিনিসকে প্রাধান্য দিয়েছি।

বিশেষ করে আমরা যে ফলগুলো খাই সেই ফলের বিচি অনেক সময় খাওয়া যায়। যেমন ঢেউয়া ফল, এই ফলকে বন কাঁঠালও বলা হয়। আর এই ফলের বিচিগুলো নাকি আগে ভেজে খাওয়া হত। কিন্তু কিছুদিন আগে আমি বাজারে ঢেউয়া দেখার পর ভাবলাম এই ফলের বিচি দিয়েই আমি ভর্তা তৈরি করব। সম্পূর্ণ রেসিপিটি আমার নিজের গঠনে তৈরি করা। ঢেউয়ার বিচি, কুমড়োর বিচি তার সাথে আবার ড্রাগন ফলের লাল টকটকে খোসা সবকিছু মিলিয়ে এক দারুন ভর্তা ছিল এটি। দেখতে এবং খেতে খুবই ভালো লেগেছিল। মরিচে যেরকম ঝাল তেমনি ড্রাগন ফলের টকটকে লাল সবমিলিয়ে দারুন একটা ভর্তা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে এসেছি আশা করি রেসিপিটি ভালো লাগবে।


ড্রাগনের খোসা দিয়ে ঢেউয়া আর কুমড়ো বীজের ঝাল ভর্তা। |

উপকরণপরিমাণ |
ড্রাগনের খোসা | ১টির |
ঢেউয়ার বীজ | আধা কাপ |
কুমড়োর বীজ | ৩টেবিল চামচ |
তেলাপিয়া মাছ ভাজা | ৩পিস |
লবণ | পরিমাণ মত |
পেঁয়াজ | ১টি |
কাঁচামরিচ | ৪/৫টি |
শুকনোমরিচ | ১০-১২ টি |
রসুন | ১টি |
সরিষার তেল | ২চা চামচ |

প্রথমেই আমি পেঁয়াজ এবং রসুনের খোসা ছাড়িয়ে এগুলোকে কুচি করে কেটে নিলাম।

তাওয়ার মধ্যে আমি সরিষার তেল দিয়ে দিলাম।তেল একটু গরম হয়ে এলে রসুন এবং পেঁয়াজ কুচি দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে নরম হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম । নরম এবং ভাজা ভাজা হয়ে এলে নামিয়ে নিলাম।

ঢেউয়ার বিচিগুলো বের করে নেয়ার পর আমি প্রথমত টিস্যু দিয়ে এর গায়ে থাকা পানি গুলো মুছে নিলাম। তারপর এগুলোকে কিছুটা শুকিয়ে কড়াইতে দিয়ে দিলাম। শুকনোভাবে এগুলোকে ভেজে নিলাম। ভালোভাবে ভাজা হয়ে গেলে এগুলো নামিয়ে নিলাম। তারপর হাত দিয়ে ভালোভাবে চেপে এগুলোর খোসা ছাড়িয়ে পরিষ্কার করে নিলাম।

এই ধাপেই আমাকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট করতে হয়েছে। কারণ, প্রথমতই আমি কুমড়ার বিচি গুলোকে তাওয়ার মধ্যে শুকনো ভাবে টেলে নিয়ে নিলাম। এরপর যখন এই কুমড়োর বিচি থেকে খোসা ছাড়িয়ে শাস বের করতে থাকলাম তখন অনেক বেশি সময় লেগেছিল এবং খোসাগুলো ভেঙ্গে ভেঙ্গে যাচ্ছিল। এজন্য অনেক বেশি সময় লেগেছে এবং কষ্টও হয়েছে।

পূর্বেই ভাজা তেলাপিয়া মাছ নিয়েছিলাম। তারপর আমি এগুলোকে কাটা ছাড়িয়ে নিলাম।

আবারো তাওয়ার মধ্যে শুকনো মরিচ আরয কাঁচা মরিচ দিয়ে দিলাম। তারপর দিয়ে দিলাম ড্রাগনের খোসা।সবগুলো গুলো ভালোভাবে ভেজে শুকনোভাবেই নিয়ে নিলাম।

ব্লেন্ডারের প্রথম পর্যায়ে আমি শুকনো উপকরণগুলো দিব। অর্থাৎ ভেজে রাখা ঢেউয়ার বিচি, কুমড়োর বিচি এবং শুকনো মরিচ দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে এগুলো আলাদা প্লেটে তুলে রাখলাম।

এরপরে আমি প্রথমত ভেজে রাখা পেঁয়াজ, রসুন দিয়ে দিলাম। তারপর দিয়ে দিলাম ড্রাগনের খোসা। এর পর এগুলোকে হালকাভাবে ব্লেন্ড করে নিলাম।

এরপর আমি দিয়ে দিলাম পূর্বে ব্লেন্ড করে রাখা শুকনো উপকরণ গুলো। এগুলা দিয়ে আবার সবকিছু একবার ব্লেন্ড করে নিলাম। এর মাঝে আমি লবণ দিয়ে দিয়েছিলাম।

দুটি ড্রাগনের মাঝ বরাবর কেটে আমি দুই ভাগ করে মাঝখানের অংশ আলাদাভাবে নিয়ে নিলাম। এরপর ভর্তাগুলোকে সেই ড্রাগনের খোসার মধ্যে দিয়ে দিলাম। এভাবে আমি বাকি কাজে ডেকোরেশন করলাম।







সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
ধরণ | রেসিপি |
ক্যামেরা.মডেল | জে৫ প্রাইম |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
লোকেশন | ফেনী |
.png)
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
.png)
💦
💦 BRISTY 💦
💦

|
---|
https://twitter.com/bristy110/status/1679188537227489281?s=20
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অভিনন্দন জানাচ্ছি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আপনি অনেক পরিশ্রমের মাধ্যমে এবং অনেক সময় দিয়ে, খুব সুন্দর করে এই ভর্তা রেসিপি টা তৈরি করেছেন যা দেখেই বুঝা যাচ্ছে আপু। আপনার আইডিয়াটা কিন্তু অনেক বেশি ভালো ছিল। আর আপনার তৈরিকৃত রেসিপিটাও খুব ভালো হয়েছে। অনেক বেশি ইউনিক ছিল এটি। মনে হচ্ছে খুব মজা করে খাওয়া হয়েছে। যাইহোক উপস্থাপনার মাধ্যমে এত সুন্দরভাবে ভাগ করে নিলেন দেখে ভালো লাগলো।
সুন্দর একটি ভর্তা রেসিপি নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে শুভকামনা রইল। আপনি অনেক সুন্দর করে অনেক গুলো উপকরণ দিয়ে লোভনীয় একটি ভর্তা তৈরি করলেন। ভর্তা রেসিপিটি আমার একদম ইউনিক লেগেছে। আশা করি খেতেই দারুন হবে এ ভর্তা। অনেক ধন্যবাদ আপু অনেক মজার ভর্তা রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আমার বাংলা ব্লগ"প্রতিযোগিতা-৩৯ এ অংশগ্রহণ করেছেন এবং ড্রাগনের খোসা দিয়ে ঢেউয়া বীজ আর কুমড়ো বীজের ঝাল ভর্তা ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। প্রতিটি ধাপ খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ফটোগ্রাফি ও বর্ণনা দিয়েছেন অনেক সুন্দর ভাবে।ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আপনি খুব সুন্দর করে ভর্তার রেসিপি করেছেন। তবে আপনার রেসিপিটি একদম ভিন্ন রকম হয়েছে। সত্যি বলতে আপনার প্রশংসা করতে হয়। মনে হয় ফ্যামিলির সবাই মিলে ভর্তার রেসিপি রেসিপি খুব মজা করে খেয়েছেন। অনেক সুন্দর করে ভর্তার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।