ভ্রমণ || বাংলার তাজমহল পর্ব ২
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। গতকাল মা এবং ছোট ভাইকে নিয়ে গিয়েছিলাম বাংলার তাজমহল দেখাতে। তার কিছু বিবরণ গতকালকের পোস্টে আমি শেয়ার করেছিলাম, আজ আরো বিস্তারিত বর্ণনা করবো।
গতকাল শুক্রবার ছিল তাই সেখানকার পর্যটক অনেক বেশি ছিল এবং সেই সাথে অনেক মানুষের মেলা হয়েছিল কিন্তু এরই মাঝে কিছু বিষয় দেখতে পেরেছে যা আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে অনেকটাই লজ্জাজনক লেগেছিল। কারণ সাথে মা এবং ছোট ভাই ও ছিল। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন তবে যাই হোক না কেন জায়গাটা অনেক সুন্দর ছিল। গতকাল খুব একটা বেশি রোদ ছিল না যার দরুণ বিকেলের পরিবেশটা অনেকটাই চমৎকার ছিল এবং ক্যামেরার ভিউ টাও অনেক চমৎকার আসছিল।
তবে যাই হোক না কেন গতকাল প্রথমে তাজমহলটি দূর থেকে দেখার পরই অনেকটা ভালো লেগে গিয়েছিল এবং সেখান থেকেই চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করেছি। যেগুলো আপনারা এখন দেখতে পাচ্ছেন। তবে আমি যত বড় ভেবেছিলাম তাজমহলটা ঠিক তত বড় নয় খুব অল্প সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ জায়গাটি ঘুরে আসা যায় এবং সেখানে প্রচুর মানুষের আনাগোনা লেগেই থাকে যা দরুন ভালোভাবে কিছু ফটোগ্রাফি তুলতে পারেনি। তবে আমি আমার সাধ্যমত ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করেছি। গতকাল আমার মা এবং ভাই অনেকটাই এনজয় করেছে। সব থেকে ভালো লেগেছিল চারপাশে অনেক চমৎকার চমৎকার ফুলের কিছু গাছ এবং চমৎকারভাবে সেইগুলোকে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে, অনেকটাই সতেজ এবং সবুজ প্রাকৃতিক দৃশ্য ছিল।
তবে একটি বিষয় বুঝতে পারলাম না আমার স্যামসাংয়ের মোবাইলে থেকে ওয়ান প্লাস মোবাইলে অনেক ভালো ফটোগ্রাফি হচ্ছিল। এ বিষয়টি পরবর্তীতে বুঝতে পারলাম আমার samsung galaxy ফোনের ক্যামেরার মধ্যে অনেক ধুলো জমা হয়ে গিয়েছে কিন্তু বুঝতে পারলাম না এই ধুলো কিভাবে ক্যামেরার মধ্যে ঢুকে পড়ল। যাইহোক সাথে করে ওয়ান প্লাসের মোবাইলটি নিয়ে গিয়েছিলাম যদিও স্ক্রিনের মধ্যে অনেক দাগ পড়ে গিয়েছে তারপরও সেখান থেকেই ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করেছি এবং সেই ফটোগ্রাফি গুলোই আপনারা এখন দেখতে পাচ্ছেন।
তাজমহলের রক্ষনাবেক্ষনকারীদের সাথে আমি কথা বলার চেষ্টা করেছিলাম এবং সেখান থেকেই জানতে পেরেছি প্রতিদিন এতই মানুষ আসে না শুধুমাত্র সরকারি ছুটি দিনে একটু মানুষ হয়। তাছাড়া এই জায়গাটা বেশিরভাগ সময় খালি থাকে। বন্ধুবান্ধব নিয়ে সরকারি ছুটিতে যদি আপনি সেখানে ঘুরতে যান তাহলে অনেক চমৎকার একটি সময়ে অতিবাহিত করতে পারবেন। অনেক নিরিবিলি পরিবেশ এবং সেখানে আপনাকে কেউ ডিস্টার্ব করবে না। অনেকটাই চমৎকার একটি পরিবেশ লেগেছিল আমার কাছে তবে এই শুধুমাত্র যে দেখার জায়গা তা কিন্তু নয় এখানে অনেক ধরনের রেস্টুরেন্ট রয়েছে এবং সেই সাথে পিকনিক স্পট রয়েছে। আপনি চাইলে এখানে পিকনিকেও আসতে পারেন।
তাজমহলের আশেপাশে বসার মত অনেকগুলো জায়গা রয়েছে। আপনি চাইলে সেখানে বসে সেই প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো উপভোগ করতে পারবেন এবং সেই তাজমহল দেখতে পারবেন। জায়গাটা শহর থেকে একটু গ্রামের মধ্যে তাই চারিদিকে প্রচুর গাছপালা রয়েছে এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভরপুর রয়েছে।
এই তাজমহল দেখতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম নারায়ণগঞ্জ আসতে হবে। নারায়ণগঞ্জ থেকে আপনাকে রূপগঞ্জ আসতে হবে। এরপরে বরপা নামের একটি জায়গা রয়েছে সেখানে আসতে হবে এবং সেখান থেকেই অটোতে করে যে কোন অটো কে বললেই আপনাকে ২০ টাকার বিনিময় সেই তাজমহলে নিয়ে যাবে।
সেখানে যে শুধুমাত্র তাজমহল রয়েছে তা কিন্তু নয় সেখানে পিরামিড রয়েছে। পিরামিড আসলে এরকম পিরামিড নয়। কিন্তু পিরামিডের মধ্যে কিরকম জিনিসপত্র থাকতে পারে কিংবা বিভিন্ন ধরনের মমি এবং আরো বিভিন্ন ধরনের বিষয়বস্তু রয়েছে। এছাড়াও পাঁচ হাজারেরও বেশি ওষুধী গাছ রয়েছে। সেই বিষয়গুলো আপনাদের সাথে পরবর্তী পর্বে শেয়ার করে নেব। আজকের মত এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: ভ্রমণ || বাংলার তাজমহল পর্ব ২
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
ঠিক বলেছেন ভাইয়া অল্প সময়ের মধ্যে আমরা খুব সুন্দর একটি জায়গা ঘুরে আসতে পারি আর এই জায়গার নাম তাজমহল। আমিও বেশ কয়েক মাস আগে গিয়েছিলাম। আমি সরকারি ছুটি ছাড়া গিয়েছিলাম বলে একদম কম মানুষজন ছিল। সেখানে খুব সুন্দর ভাবে বসার জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। যেখানে বসে সম্পূর্ণ তাজমহল খুব সুন্দর ভাবে দেখা যায়। এছাড়া এর ভিতরের বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ রয়েছে সেগুলোও খুব ভালো লাগে। সেখানের রেস্টুরেন্টের খাবার খুবই সুস্বাদু। এছাড়া পিরামিড দেখতেও খুব সুন্দর। আমি তো পিরামিডের ভিতরে গিয়ে বের হতেই চায়নি। এত সুন্দর জায়গা। আপনার পিরামিডের পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ পরিবারের সাথে সুন্দর সময় কাটানোর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
পরিবার নিয়ে বাংলার তাজমহল ভ্রমণ করার অভিজ্ঞতা পড়ে ভালো লাগলো।ছুটির দিনে পরিবার নিয়ে পিকনিক করার বা ঘুরতে যাওয়ার দারুণ একটি জায়গা। পরিবেশ সম্পর্কেও ধারণা পেলাম আপনার পোষ্ট পড়ে। পরিবারের সাথে গিয়ে কাউকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরতে না হোক, সবাই এই জ্ঞান লাভ করুক। আর আমার মনে হয় ওদিকে যাতায়াত টা একটু অসুবিধা, খুব সম্ভবত বার কয়েক ভেঙে ভেঙে যেতে হয়।
মা ও ছোট ভাই কে নিয়ে বাংলার তাজমহল দেখতে গেলেন।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষন ভালো লাগলো।আমার যদিও যাওয়া হয়নি।তবে ফটোগ্রাফিগুলো দেখে খুব ভালো লাগলো।আর বললেন সেখানে অনেক রকমের গাছ আছে এটা খুব ভালো লাগলো। এসব জায়গায় ছুটির দিনগুলোতে বেশী ভীড় হওয়ারই কথা।তবে আমি গেলে ছুটির দিন ছাড়া যাব আশাকরি।প্রকৃতি আমার ভীষন প্রিয়।ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
জায়গাটা ভাই সত্যি সুন্দর, আমার শালীর শ্বশুড় বাড়ীর কাছে। আমরা সারাদিন সেখানে সময় ব্যয় করেছিলাম, বেশ দারুণ লেগেছিলো। তবে প্রিয় মানুষকে নিয়ে সময় ব্যয় করার জন্য উত্তম জায়গা, একা একা না কিন্তু হি হি হি।
তাহলে তো আপনার শালীর বাসায় দাওয়াত নিতে হয়। হাহাহা। প্রিয় মানুষ হোক, তার পর নিয়ে যাবো।।
আসলে শুক্রবার এ ধরনের দর্শনীয় স্থানগুলোতে একটু মানুষের সমাগম বেশি থাকে। তারপরও পরিবারের সাথে ভ্রমণ করতে গিয়েছিলেন এটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। আমারও ইচ্ছা রয়েছে একবার এই বাংলার তাজমহল ভ্রমণ করে আসবো।
ছুটির দিন ছাড়া সেখানে মানুষের আনাগোনা খুবই কম থাকে। পরিবার নিয়ে এমন জায়গায় ঘুরাঘুরি করার সময়, মাঝে মধ্যে এমন বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়, তখন খুব লজ্জা লাগে নিজের কাছে। তাজমহলের ভিতরটা খুবই সুন্দর। আমি বেশ কয়েক ঘন্টা ছিলাম ভিতরে। তবে তেমন বড় নয় এরিয়াটা। তার চেয়ে পিরামিডের ভিতরে সময় কাটানোর মতো অনেক কিছু রয়েছে। যাইহোক পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।