আমার বাংলা ব্লগ - একটু হাসি || কৌতুক সপ্তাহ - ৬৩

jokes Cover-1.png

আমার বাংলা ব্লগের আরো একটি নতুন আয়োজন- এবিবি একটু হাসি’তে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা একটু ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ, মনের উচ্ছ্বাসে প্রাণ খুলে হাসার আয়োজন। যেখানে সবাইকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহের একটা দিন একটু অন্য রকমভাবে কৌতুকের সাথে আনন্দ করার প্রয়াস চালানো হবে। নিজেকে একটু অন্য রকমভাবে প্রকাশ করতে হবে, সবাইকে নিজের কথায় কিংবা কৌতুকে মাতিয়ে রাখতে হবে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতি সপ্তাহে পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে যারা এই আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার পরিচয় দিবে এবং মজার কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবে, পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের বুধবার এবিবি একটু হাসি পোষ্ট শেয়ার করা হবে, যেখানে প্রতি সপ্তাহে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নির্বাচন করা হবে। আপনারা সেই বিষয়টির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মতো করে কৌতুক অথবা মজার কোন হাসির অনু গল্প শেয়ার করবেন। এখানে মূল উদ্দেশ্য থাকবে হাসি, এমন কিছু শেয়ার করতে হবে সবাই যেন প্রাণ খুলে হাসার সুযোগ পায়। সেটা আপনার নিজের হতে পারে কিংবা সংগৃহীত হতে পারে, তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়মের ভিতর থাকতে হবে, যেন কপিরাইট এর বিষয়টি সামনে আসতে না পারে।

আমাদের জীবনে মজার নানা ঘটনা রয়েছে, যেখানে হাসির একটা বিষয়ও সংযুক্ত রয়েছে। যেগুলো স্মরণ হলে এখনো আমরা মনে মনে হাসি অথবা লুকিয়ে হাসার চেষ্টা করি। আমরা আড়ালে থাকা সেই বিষয়গুলোকে সম্মুখে আনতে চাই এবং সকলের সাথে তা শেয়ার করার মাধ্যমে একটু অন্য রকমভাবে দিনটি উপভোগ্য করতে চাই। কৌতুকের ব্যাপারে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, কৌতুক মোটেও কপিরাইটেড না। তবে সেটা সংগৃহীত পুরনো কৌতুক হবে, যদি ক্রিয়েটিভ কৌতুক হয় যেটার লেখকের নাম জানা আছে সেটা কপিরাইটেড। আশা করছি বিষয়টি পরিস্কার এখন।

আজকের বিষয়ঃ

শহরের যানযট/জ্যাম নিয়ে মজার কোন জোকস বা অনুগল্প।

বিষয় নির্বাচনকারীঃ

@rex-sumon

অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ

  • কৌতুক/হাসির অনু গল্প সর্বোচ্চ ৭৫ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
  • একজন ইউজার শুধুমাত্র একটি কৌতুক/হাসির অনু গল্প শেয়ার করতে পারবে।
  • কৌতুক/হাসির অনু গল্প অবশ্যই উপরের বিষয়ে সাথে সামঞ্জস্য/সংযুক্ত থাকতে হবে।
  • এডাল্ট কিছু শেয়ার করা যাবে না, তবে সকলের সাথে ভাগ করে নেয়া যায় সেই ধরনের কিছু শেয়ার করা যাবে।
  • পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।

ধন্যবাদ সবাইকে।

break .png
Banner Annivr4.png
break .png
Banner.png

আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃডিসকর্ড লিংক

break .png

Sort:  
 last year 

অফিসে ক্যাম্পিং-এর ব্যাগ নিয়ে আসলেন সুমন ভাইয়া …

হাফিজ ভাইয়া: কী ভাই, অফিসের পরে ক্যাম্পিং-এ যাবেন নাকি?

সুমন ভাইয়া : কিছুটা সেরকমই ভাই।

হাফিজ ভাইয়া : মানে কী?

সুমন ভাইয়া: প্রতিদিন জ্যাম ঠেলে আসার কষ্ট আর নিতে পারছি না ভাই, তাই আজকে অফিসের ছাদে তাঁবু টানিয়ে নেব। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এখানে থেকেই অফিস করব।

 last year 

কয়েকবছর আগের ঘটনা, আমার এক আত্নীয়ের বাড়ি হচ্ছে ঢাকা মিরপুরে। তো তার জন্য মেয়ে দেখতে তার সাথেই গিয়েছিলাম। তারপর গায়ে হলুদে গিয়েছিলাম বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার ছিলো বিয়ে। তো শুক্রবার বিয়ের দাওয়াত খেয়ে বাসায় চলে এসেছিলাম। কারণ বৌভাত হচ্ছে মাঝখানে ২ দিন বিরতি দিয়ে সোমবারে। তো বাকি অনুষ্ঠান গুলোতে পরিবার সহ গেলেও, বৌভাতে আমি একাই গিয়েছিলাম। তো দুপুর ১ টার দিকে গুলিস্তান থেকে মিরপুরে যাওয়ার জন্য বাসে উঠার পর,এমন জ্যাম লেগেছে যে,যেতে যেতে একেবারে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। তো অনুষ্ঠান ছিলো কমিউনিটি সেন্টারে। সন্ধ্যার পর গিয়ে দেখি অনুষ্ঠান শেষ। তো আমি আত্নীয়ের বাসায় না গিয়েই, কমিউনিটি সেন্টার থেকে আমার বাসায় ব্যাক করি। এদিকে সেই আত্নীয় আমার বাসায় ফোন দিয়ে বলে যে, গিফট দেওয়ার ভয়ে নাকি বৌভাতের অনুষ্ঠানে যাইনি 😂😂। এদিকে বাসায় এসেও একই কথা শুনতে হলো। যাইহোক যে যা-ই বলুক না কেনো, গিফট দেওয়ার টাকা তো বেঁচে গিয়েছিল🤣🤣।

 last year 

শহরের যানযট/জ্যাম নিয়ে মজার কোন জোকস বা অনুগল্প।

আমি এবং আমার বন্ধু লিখন প্রতিদিন একসঙ্গে বাসে অফিসে যেতাম। তো প্রায় দিনই আমাদের পড়তে হলো যানজটে। কিন্তু আমি খেয়াল করে দেখেছি অফিসে যাওয়ার সময় অথবা অফিস থেকে আসার সময় যানজটে পড়লে লিখনের খুশি যেন আর ধরে না। ও যেন ঈদের চেয়েও বেশি খুশি হয়ে যায়। যেখানে যানজটে থাকলে আমাদের বিরক্ত লাগে সেখানে ও খুশি কেন? তো একদিন লিখনকে আমি কারণটা জিজ্ঞেস করেই ফেললাম।

জবাবে লিখন বলল অফিসে গেলে বসের যন্ত্রণা আর বাড়িতে গেলে বউয়ের যন্ত্রণা এর চেয়ে অনেক ভালো যানজটে রাস্তায় বসে থাকা। অন্তত কিছুটা সময় তো ওদের থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

 last year 

আমার লাস্ট চাকরির সময়ে, মাসে দুইদিন করে গাজিপুরে ফ্যাক্টরিতে যেতে হতো মিটিং করতে। প্রতিবার আমরা অফিসের গাড়িতেই অফিস থেকে বের হয়ে উত্তরায় বসের বাসা থেকে বসকে পিক করতাম। তবে বসের বাসায় যাওয়ার আগে একটা হোটেলে ভীষণ মজাদার সিংগাড়া, সমুচা, চপ পাওয়া যেত! আমরা সকলে প্রতিবার বসকে পিক করার আগে সেই দোকানে গাড়ি থামিয়ে, মজা করে সিংগাড়া,সমুচা,চপ খেয়ে তারপর বসকে পিক করতাম। বেশি দেরি হলে বস কারণ জিজ্ঞেস করলে ওই ট্রাফিক জ্যামের উপরই দোষ চাপিয়ে দিতাম সকলে মিলে! উফফ! কী যে জ্যাম!! ওদিকে কেউ কেউ ইতি-উতি তাকিয়ে হাসি লুকাতো!! 😅😅

 last year 

২০১৬ সালের এই ঘটনাটা আমার এখনও মনে পড়ে। আমি একবার গাড়ি ভাড়া করে ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে শিয়ালদহ আসছিলাম। আসার পথে একটা জ্যামে আমাদের গাড়ি অনেক সময়ের জন্য আটকে যায়। কিছু সময় পর দেখি যে, সেখানে তিন-চারটে বাচ্চা চলে এসেছে এবং আমাদের অনুমতি ছাড়াই আমাদের গাড়ির কাচ পরিষ্কার করে দিচ্ছে। কোনো রকম একটু কাচ পরিষ্কার করেই তারা টাকা নিতে ড্রাইভার এর কাছে আসে। গাড়ির ড্রাইভার তখন টাকা দিতে না চাইলে, ওরা রাস্তার পাশ থেকে নোংরা এনে গাড়ির উপর দিয়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনা দেখে সেইদিন খুব রাগ হয়েছিল বাচ্চাগুলোর উপর। তবে এখন এই ব্যপারটা মনে করলে অনেক হাসি পাই। সেইদিন বাচ্চাগুলোকে কিছু টাকা দিলে হয়তো আমাদের আর এমন সিচুয়েশনে পড়তে হতো না।

 last year 

শহরের জ্যামে আটকে আছি, সামনের দিকেও যেতে পারছিনা আবার পেছনের দিকেও যেতে পারছি না। এমন মুহূর্তে একটি হিজরা এসে বলছে এই ভাই ১০ টাকা দে। আমি তখন বলছি আমার কাছে টাকা নেই। হিজরা আমাকে বলছে তুই কি আমাকে দশ টাকা দিবি নাকি সবার সামনে তোকে একটা চুমু খেয়ে দিব। আমি তাড়াহুড়ো করে দশ টাকা দিয়ে নিজেকে হিজরার হাত থেকে রক্ষা করলাম 🙂

 last year 

একবার মতিঝিল এক সিয়াম ভাইয়ার সঙ্গে দেখা। মুখ ভর্তি দাড়ি-গোঁফ। খানিকটা অবাক হয়ে জানতে চাইলাম, ‘দাড়ি-গোঁফ রাখলেন কবে থেকে! আপনাকে তো সবসময় ক্লিন সেভ অবস্থায় দেখি। টুম্পার সঙ্গে সম্পর্কটা ভালো যাচ্ছে না বুঝি?’

আমার প্রশ্ন শুনে ভাইয়া মুচকি হেসে বলল, ‘তেমন কিছু না। সকালে ক্লিন সেভ করেই বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। পথে জ্যামে পড়ে মতিঝিল আসতে আসতে দেখি দাড়ি-গোঁফ গজিয়ে গেছে!’😂😂😂

 last year 

ছাত্র আর শিক্ষকের মধ্যে কথা হচ্ছে…

শিক্ষক: তোমার পরীক্ষার নম্বর ১৫, ২০, ২৫ করে বাড়ছে কেন? এত ধীরে হলে কীভাবে হবে?

ছাত্র: স্যার, আমি তো আর জ্যামে আটকে থাকা গাড়ির মতো এক জায়গায় বসে নেই। ঠেলেঠুলে হলেও এগোচ্ছি।

 last year 

একবার মতিঝিল এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা। মুখ ভর্তি দাড়ি-গোঁফ। খানিকটা অবাক হয়ে জানতে চাইলাম,,

বন্ধু: তুই দাড়ি -গোঁফ রাখলি কবে থেকে! তোকে তো সবসময় ক্লিন সেভ অবস্থায় দেখি। সাথী সঙ্গে সম্পর্কটা ভালো যাচ্ছে না বুঝি?

আমার প্রশ্ন শুনে বন্ধু মুচকি হেসে বলল,,

তেমন কিছু না বন্ধু । সকালে ক্লিন সেভ করেই বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। পথে জ্যামে পড়ে মতিঝিল আসতে আসতে দেখি দাড়ি-গোঁফ গজিয়ে গেছে!

 last year 

একবার মিরপুর স্টেডিয়ামে ক্রিকেট খেলা দেখার জন্য টিকেট কেটে ছিলাম। খেলা শুরু হয়েছিল দুপুর দেড়টার সময়। আর আমি বাসা থেকে রওনা দিয়েছিলাম সকাল ১১ টার সময়। মিরপুর পৌঁছে দেখি সবাই মাঠ থেকে বের হয়ে যাচ্ছে,কারণ আমি যানজট ঠেলে যেতে যেতে খেলা শেষ হয়ে গেছে,হা হা হা।