এবিবি ফান প্রশ্ন-৫৮১ |কখনো কি এমন হয়েছে, যে হুট করে বৃষ্টি শুরু হলো...
আমার বাংলা ব্লগের নতুন উদ্যোগ- এবিবি-ফান এ সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি উদ্যোগ, শুধুমাত্র ভিন্নভাবে কিছু বিষয় নিয়ে আনন্দ উপভোগ করার জন্যই করা হয়েছে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতিদিন পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে অবশ্যই যারা নিয়মগুলো মেনে এই উদ্যোগের সাথে সংযুক্ত হতে হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতিদিন একটি প্রশ্ন শেয়ার করা হবে, বাস্তব বিষয় নিয়ে যা প্রতিনিয়ত আমরা আমাদের চারপাশে দেখে থাকি। তারপর সে প্রশ্নের উত্তরটি একটু ভিন্নভাবে দিতে হবে। আমরা প্রশ্নটির সঠিক উত্তর জানতে আগ্রহী নই কিংবা সঠিক উত্তরটি জানতে চাই না। বরং প্রশ্নটির ভিন্ন ধরনের এবং মজার কিছু উত্তর জানতে চাই। সুতরাং যে প্রশ্ন করা হবে, সেই প্রশ্ন সম্পর্কে আপনার নিজের ক্রিয়েটিভিটি, সৃজনশীলতা এবং মজার চিন্তা ভাবনা জানাতে হবে, যার ক্রিয়েটিভিটি যত বেশী আকর্ষণীয় ও মজার হবে, সে বিজয়ী হওয়ার ততো বেশী সম্ভাবনা তৈরী করতে পারবে। যেমন, প্রশ্ন করা হলো আকাশের রং কেন নীল? উত্তরগুলো এই রকম হতে পারে, আকাশের বউয়ের মন খারাপ, আকাশের বান্ধবীর পছন্দের রং নীল, এই রকম মজার মজার নানা ধরনের উত্তর দিতে পারবেন আপনারা। আশা করছি সকলের অংশগ্রহণে উদ্যোগটি সফলতা পাবে।
আজকের প্রশ্নঃ
কখনো কি এমন হয়েছে যে হুট করে বৃষ্টি শুরু হলো আর আপনি ছাতা ছাড়া ধরা খেলেন? তখন ঠিক কী করছিলেন বা মনে কী চলছিলো?
প্রশ্নকারীঃ
প্রশ্নকারীর অভিমতঃ
আমার একবার এমন হয়েছিলো।ক্লাস শেষ করে রিকশার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলাম, হঠাৎ বৃষ্টি শুরু! ছাতা ছিলো না, আশপাশেও তেমন দাড়ানোর জায়গা নেই। ভিজতে ভিজতেই হাঁটা শুরু করলাম, অসম্ভব রাগ হচ্ছিলো।
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- উত্তরটি সর্বোচ্চ ৫০ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একবারই উত্তর দিতে পারবে।
- অন্যের উত্তর কপি করা যাবে না।
- উত্তর/কমেন্টটি অবশ্যই উপরের কবিতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে করতে হবে।
- এডাল্ট উত্তর/কমেন্ট দেয়া যাবে না।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
বৃষ্টি দেখে রোম্যান্টিক হতে চাইলাম, কিন্তু ভিজে গিয়ে ভ্যাজালমেটিক হয়ে গেলাম।
0.00 SBD,
0.60 STEEM,
0.60 SP
একবার আমি আমার পরিবারের সঙ্গে দূরে দুর্গাপূজা দেখতে গিয়েছিলাম।কিন্তু খুব ভালোভাবে পূজা দেখা শেষ করে যখন স্টেশনের প্রায় কাছাকাছি এসে পৌঁছেছি।অর্থাৎ 15-20 পা যখন প্ল্যাটফর্ম থেকে দূরে আছি তখন শুরু হয়েছে তুমুল বৃষ্টি।বড় বড় ফোটায় পড়ছিলো বৃষ্টির বিন্দুগুলি।যেহেতু আমি লঙ ড্রেস পড়েছিলাম, তার উপরে মানুষের ভিড় প্ল্যাটফর্মে আমি আর দৌড় দিতেও পারছি না।কারন আমি একটু লাজুক টাইপের তার উপরে আবার ট্রেন ধরার তাড়া।সবমিলিয়ে আমার ড্রেসের নিচের দিকে পুরোই ভিজে গিয়েছিলো, প্ল্যাটফর্ম এর মানুষগুলো ড্যাব ড্যাব করে তাকাচ্ছিলো আমার দিকে।মনে মনে আমার খুবই বিরক্তিকর লাগলেও ট্রেনের কামড়ার লোকগুলো বেশ হেল্পফুল ছিলো।নিজের বৃষ্টি ভেজার বিরক্তিকর অবস্থার কথা বলতে গিয়ে একটা অনুগল্প লিখে ফেলেছি।☺️☺️
0.00 SBD,
0.00 STEEM,
0.00 SP
এমনটা তো হয়েছিল এবং তখন ভিজতে ভিজতে মনে মনে ভাবছিলাম, কোনো সুন্দরী মেয়ে হয়তো বিল্ডিংয়ের ছাঁদের উপর দাঁড়িয়ে টিকটক করছে এবং আমি হচ্ছি সেই টিকটক ভিডিও এর হিরো 🤣🤣।
কতবার এমন হয়েছে হিসাব নেই। একবার দুপুরে অফিসে যাওয়ার সময় হঠাৎ রাস্তায় বৃষ্টি নেমেছে। আশেপাশের দোকানপাটও সব বন্ধ ছিল। নিরুপায় হয়ে বৃষ্টি ভিজতে ভিজতে অফিসে গেছি,হা হা হা।😂
একদিন আমাদের বাড়ি থেকে কিছু দূরে মোদি দোকানে গিয়েছি বাজার করতে । দোকানে থাকা অবস্থায় হঠাৎ বৃষ্টি আরম্ভ হলো। ছাতা যেতে নিই নাই, বৃষ্টি তখন কম ছিলো আমি ভাবছি বৃষ্টি কম দৌড় দিয়ে বাড়িতে চলে আসবো। দৌড়ে মাঝ পথে আসার পর প্রচন্ড বৃষ্টি আরম্ভ হলো। তখন আমি মাটিতে স্লিপ খেয়ে বা, পিচ্ছিল খেয়ে পড়ে কোমরে এবং হাটুতে খুব ব্যথা পেলাম। গায়ের মধ্যে কাদা লেগে গেলো। আর পলিথিন ছিঁড়ে আলু, পেয়াজ, মুসুরির ডাল আর চিনি মাটিতে কাঁদার মধ্যে পড়ে গেলো। আমি কোনরকম আলু আর পেঁয়াজ সংগ্রহ করে নিতে পারলেও মসুরের ডাল কাঁদাতে মিশে গেলো। আর চিনি বৃষ্টির পানিতে মুহূর্তে মিশে গেলো। তখন নিজের প্রতি দুঃখ কষ্ট রাগ একসাথে হচ্ছিলো🤣😂😅🤣🤣💔💘💘। মাকে গিয়ে কি বলবো? এই ভেবে নিজের প্রতি খুব রাগ হচ্ছে । বাড়িতে আসার পরে আম্মা অনেক বকাঝকা দিলো । সব দোষ আমার আমি কেন ছাতা নিই নাই 😭😭😭।
এটা আমার সাথে ঠিক তখনই হতো যখন আমি ছাতা নিয়ে যেতাম না। কিন্তু যখন নিয়ে যেতাম তখন ঠিকই বৃষ্টি আসতো না😅। আর এরকমটা আমার সাথে প্রায় সময় হয়ে থাকে😄। একদিন তো সকালে হাঁটতে বের হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই হঠাৎ বৃষ্টি চলে এসেছিল। তখন মন চাইছিল বৃষ্টির সাথেই তলিয়ে যাই🤣😆।
আমার সাথে কিন্তু এরকম অনেক বার হয়েছে। আমি যখন স্কুলে যাচ্ছিলাম হঠাৎ করে বৃষ্টি চালু হয়ে গেল। তখন আমি স্কুলে পৌঁছতে পারি নাই। এই কারণে একটি বাড়ির সামনে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম। সেই কথাটি আমার এখনো মনে পড়ে।
স্কুল জীবনে অনেক হয়েছে, স্কুলে যাওয়ার পথে ছাতা বিহীন বৃষ্টি হলে ঐদিন স্কুলে যাওয়া বন্ধ। মানে ইচ্ছে করে বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ি চলে আসতাম। আর স্কুল ছুটির পরে হলে ব্যাগ মাথার উপর দিয়ে ভিজে ভিজে আসতাম যেন ব্যাগের ভেতর বইগুলো ভিজে যায়! এরপর বই ভেজার অজুহাতে দুই থেকে তিন দিন স্কুলে যাওয়া বন্ধ। ☺️
স্কুল জীবনে এমন কাহিনী অনেকবার ঘটেছে। মাঝে মাঝে যখন প্রচণ্ড গরমের মধ্যে এভাবে হঠাৎ বৃষ্টি হয়ে যেত আর হাতে ছাতা থাকত না তখন রাগ হতো কিন্তু বৃষ্টিতে ভিজতে ভালো লাগতো। আমার মনে আছে একদিন প্রচন্ড মেঘ আর বৃষ্টি আমি একা আসছিলাম স্কুল থেকে সেই দিন ভীষণ ভয় লেগেছিল।