"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল - রাউন্ড #৬২১ [ তারিখ : ১২ - ০৪ - ২০২৫ ]

Todys_Featured_Articles_2.png

Banner Credit @alsarzilsiam


বিগত ০২ মে ২০২৩ থেকে "আমার বাংলা ব্লগের" একটা নতুন ইনিশিয়েটিভ আজকের ফিচারড আর্টিকেল চালু করা হয়। এই উদ্যোগটি এখনও অব্দি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মেই একদম নতুন ও ইউনিক । কি এই "আজকের ফিচারড আর্টিকেল" ? আসুন জেনে নেওয়া যাক ।


"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল : আমার বাংলা ব্লগে প্রতিদিন নতুন নতুন আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়ে থাকে । অলটাইম এভারেজ ১৭০ জন রাইটার এক্টিভলি আর্টিকেল লিখে চলেছেন প্রতিদিন । এত এত আর্টিকেলের মধ্যে থেকে বেছে নিয়ে প্রত্যহ ফিচারড আর্টিকেল হিসেবে একটি আর্টিকেলকে আলাদা করে পাবলিশ করা হবে আমাদের কমিউনিটির নতুন একটি একাউন্টে । যেহেতু, হুবহু অন্যদের আর্টিকেল স্টিমিটে আলাদা অন্য আর একটি একাউন্টে পাবলিশ করার নিয়ম নেই তাই আমরা ফিচারড আর্টিকেলের কিছু অংশবিশেষ নিয়ে আলোচনামূলক পোস্ট করবো । সেই সাথে থাকবে সেই সকল ফিচারড আর্টিকেলের রাইটারদের নাম, আর্টিকেলের নাম ও আর্টিকেল পোস্টের লিংক । এডিশনালি আমরা ছোট্ট একটা পিডিএফ পাবলিশ করবো প্রত্যেক মাসের প্রথম রবিবারে । এই পিডিএফ -এ থাকবে বিগত এক মাসের সবগুলি ফিচারড আর্টিকেল ।


"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল রাইটার - @monira999


অথর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ

অথরের নাম-মোছা: মনীরা আক্তার মুন্নি। জাতীয়তা- বাংলাদেশী। শখ-তাঁহার প্রিয় শখ গুলো হলো: রান্না করা, ফুল গাছ লাগানো, ফটোগ্রাফি করা, ছবি আঁকা ইত্যাদি। তবে এগুলোর মধ্যে তাঁহার সবচেয়ে প্রিয় শখ হচ্ছে ফটোগ্রাফি করা।শিক্ষাগত যোগ্যতা- অনার্স শেষ করে বর্তমানে মাস্টার্সে অধ্যায়নরত আছেন। স্টিমিট ব্লগিং ক্যারিয়ার-২০২১ সালের জুলাই মাসে স্টিমিটে জয়েন করেছিলেন এবং এখন মোট ব্লগিং ক্যারিয়ারের বয়স ৯৯৩ দিন।


এক নজরে তাঁর বিগত সপ্তাহের পোস্টগুলি :

image.png


"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল :


32FTXiZsHoAW6noHJDhrg3W8ZKHVFSsLYM859aTDCF8iErGkyhFjcvdZWyAN9iLvFYE9dCMuFwCqYbjVKmiyTuDpeqZB5XJ8qWsXXU9KX25CKzW9EDRveBstzpRTQLeVvZnq9uTptpfNggsp.jpg

গল্প-জীবনের শেষ প্রান্তে ..। by @monira999( date 12.04.2025 )

জীবনের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে অহনা বুঝতে পারল তার জীবনটা সত্যি একাকিত্বে ভরা। হয়তো এরকমটা নাও হতে পারতো। সবার মত তার জীবনটাও সাজানো গোছানো হতে পারতো। কিন্তু বিধাতা তাকে সেই সুখ থেকে বঞ্চিত করেছে। অহনা বাবা-মায়ের বড্ড আদরের মেয়ে। মধ্যবিত্ত ঘরে বেশ আদরে বেড়ে উঠেছে অহনা। পড়াশোনাতে যেমন ভালো ছিল মেয়েটি তেমনি ছিল তার মায়াবী চোখের চাহনি। কাজল কালো চোখ দুটো যে বড্ড বেশি মায়ায় ভরা। তার লম্বা চুলের মায়ায় হাজারো ছেলে পাগল হয়ে যেত। অহনা যখন বড় হতে লাগলো তখন বিভিন্ন জায়গা থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসা শুরু করলো। অহনার বাবা-মা চাইতেন তাদের মেয়ে পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করুক। অহনা ও তাই চাইতো। তার বাবা মা যেমন তাকে ভালোবাসতো তেমনি মেয়েটিও তার বাবা মাকে অনেক ভালোবাসতো। পড়াশোনায় বড্ড মেধাবী ছিল মেয়েটি। দেখতে দেখতে পড়াশোনা শেষ হয়ে গেল। এখন তার চাকরির পালা। পড়াশোনার পন্ডি পেরিয়ে গ্রামের একটি স্কুলে চাকরি হয়ে গেল অহনার। বেশ ভালোই কাটছিল তার দিনগুলো। হঠাৎ করেই তার বিয়ের সম্বন্ধ ঠিক হয়ে গেল। পারিবারিকভাবেই তার বিয়েটা হয়ে গেল। ছেলে ভালো চাকরি করে। কোন কিছুতেই অভাব নেই তার। দেখতে দেখতে কেটে গেল কয়েক মাস। সময় ধীরে ধীরে বদলাতে শুরু করলো। অহনার স্বামী শিহাব এবং তার পরিবার বিয়ের আগে বলেছিল ওরা অহনাকে চাকরি করতে দিবে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তাদের রূপ বদলে গেল। তারা চায় না তাদের বাড়ির বউ বাইরে গিয়ে চাকরি করুক। অবশেষে শিহাব এবং তার পরিবারের কথায় অহনার বাবা-মা সবকিছু মেনে নিল। অহনা নিজের মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে চাকরিতে রিজাইন দিয়েছিল। যদিও তাকে স্কুল থেকে কিছুদিন সময় দেওয়া হয়েছিল ভাবনা চিন্তা করার জন্য।।--


আমাদের কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত প্রচুর পরিমাণ রেসিপি পোস্ট করা হয় । তার পাশাপাশি অনেক বেশি জেনারেল রাইটিং ও পোস্ট করা হয়। মুনিরা আপু একটি ছোট গল্প লিখেছে তার সারমর্ম এমন যে, অহনা একজন মেধাবী, স্বপ্নবিলাসী মেয়ে, যিনি বাবা-মায়ের আদরে বড় হয়ে পড়াশোনা শেষ করে একটি গ্রামীণ স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। তার জীবন শান্ত ও সুন্দরভাবে এগোচ্ছিল, কিন্তু হঠাৎ পারিবারিকভাবে তার বিয়ে ঠিক হয়। স্বামী শিহাব এবং তার পরিবার বিয়ের আগে চাকরি করার অনুমতি দিলেও, বিয়ের পর তারা অহনাকে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করে। সংসারের চাপে, স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে অহনা একাকিত্বে জর্জরিত হয়ে পড়ে। সময় গড়াতে গড়াতে তার শরীর ভেঙে পড়ে এবং একদিন জানতে পারে সে ক্যান্সারে আক্রান্ত। জীবনের শেষ সময়ে এসে অহনা বুঝতে পারে, সে আর পরনির্ভরশীল থাকতে চায় না। নিজের জীবনের শেষ ক'টি দিন সে চায় স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে কাটাতে। সকলের বিরোধিতার মাঝেও সে নিজের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে ফিরে যায় তার প্রিয় স্কুলে। মৃত্যুর আগে শেষবারের মতো সে নিজের মতো করে বাঁচতে চায়। এই একান্ত মুহূর্তগুলোতেই সে জীবনের অপূর্ণতার মাঝেও পূর্ণতা খুঁজে পায়। এই গল্প এক নারীর আত্মত্যাগ, আত্মনির্ভরতা ও জীবনের শেষ মুহূর্তেও নিজের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ার যন্ত্রণাময় অথচ সাহসী যাত্রার চিত্র তুলে ধরে। আমার কাছে গল্প টি অনেক ভালো লেগেছে, অনেক ইমোশনাল যদিও গল্পটি ।

সবদিকে বিবেচনা করে তাই এ পোস্টটি কে আজকের ফিচারড আর্টিকেল হিসেবে নির্বাচন করা হলো ।


32FTXiZsHoAW6noHJDhrg3W8ZKHVFSsLYM859aTDCF8iErGkyhFjcvdZWyAN9iLvFYE9dCMuFwCqYbjVKmiyTuDpeqZB5XJ8qWsXXU9KX25CKzW9EDRveBstzpRTQLeVvZnq9uTptpfNggsp.jpg

ছবিটি মুনিরা আপুর ব্লগ থেকে নেওয়া হয়েছে।

ধন্যবাদ সবাইকে।

Sort:  

Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟

 2 days ago 

আজকের ফিচারড আর্টিকেল পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো। দীর্ঘ সময় পর আমার একটি পোস্ট ফিচারড আর্টিকেল পোস্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। এই গল্পের মাধ্যমে একজন নারীর জীবনের শেষ পরিণতির চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

 2 days ago 

ফিচারড আর্টিকেলে বেশ দারুন একটি পোস্ট সিলেক্ট করা হয়েছে । যদিও গল্পটি পড়া হয়নি তারপর ও আর্টিকেলের পোস্ট পড়ে গল্পটি পড়ার আগ্রহ জন্মালো।মনিরা আপু বেশ দারুন একটি গল্প লিখেছেন। ধন্যবাদ পোস্টটি ফিচার্ড আর্টিকেলে মনোনীত করার জন্য।

 2 days ago 

কিছু কিছু পোস্ট আছে যেগুলো করতে আমার কাছে অনেক আবেগহীন লাগে। ঠিক তেমন আজকে মনিরা আপুর পোস্টটি আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো।ফিচারড আর্টিকেলে আপুর পোস্টটি মনোনীত হয়েছে। কারন আপু সব সময় ভালো কোয়ালিটির পোস্ট শেয়ার করে। আপুর পোস্টটি সিলেক্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।