আমার এক সপ্ন পূরণের গল্প benificiary 10% @shy-fox"
আসসালামু আলাইকুম।
আপনারা কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহ রহমতে সবাই ভালো আছেন।
আমি আমার এক সপ্ন পূরণের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আমার ছোট বেলা থেকে ইচ্ছে ছিল আমি এমন কিছু করবো যাতে আমার মাকে সবার সামনে সম্মানিত হয়। যাতে সবাই বলে আমি আমার মায়ের যোগ্য সন্তান ।
২০১৫ সালে আমি হাঠাৎ একদিন New Zealand Dairy পাউডার মিল্ক এর প্যাকেট খুলতে গিয়ে দেখি একটা প্রতিযোগীতা হচ্ছে সপ্নজয়ী মা। এই প্রতিযোগীতায় গল্প লিখতে হবে আমি বড় হয়ে নিজে কি হতে চাই তা নিয়ে। আমি এটা আমার মাকে দেখালাম আমার মা বললো যে আমি যদি গল্প লিখতে পারি তাহলে আমার মা গল্পটা প্রতিযোগীতায় পাঠাবে।
এই কথা শুনে আমি শুরু করলাম গল্প লেখা। অনেক কিছু আসছিলি মাথায় যে আমি বড় হয়ে ডঃ হবো। মানুষের সেবা করবো।তারপর আবার মনে হলো আমি টিচার হবো। বাচ্চাদের পড়াবো আর যারা টাকার অভাবে পরতে পারে না তাদের বিনা টাকায় পরাবো। কিন্তু তাও আমার মন মতো হচ্ছিলো না। তারপর আমি আমার মা কে জিজ্ঞাসা করলাম যে কি লিখা যায়। তখন আমার মা বললো বড় হয়ে তুমি একজন সৎ মানুষ হতে পারো যে মানুষ কারো ভালো না করতে পারে কিন্তু খারাপ কখনো করবে না।এই কথাটা শুনে আমার অনেক ভালো লাগলো। আর আমি এটাই লিখলাম। আমার মা আমাকে কোন দিন কোন ভালো কাজে বাধা দেয়নি । আমার মা চাই যাতে আমি নিজের যোগ্যতায় ভালো কিছু করতে পারি। উনি সব সময় আমাকে উৎসাহ দেন।আমি চার তলা থেকে পড়ে গিয়ে দুই পা ভেঙে যাওয়ার পরও আমার মা আমাকে বলেছে যে আমি হাটতে পারবো আমি এমন কিছু করতে পারবো যাতে পুরো বিশ্বের মানুষ আমাকে চিনতে পারে। আমার মায়ের উৎসাহের কারণে আজ আমি আবারও নিজের পায়ে হাটার সাহস পেয়েছি।
আমি গল্পটা লিখি এবং আমার মা ঐ প্রতিযোগীতায় পাঠায়।পাঠানোর পর অনেক দিন কেটে যায় কোন উত্তর আসে না। আমি ভেবে ছিলাম হয়তো আমার গল্প হয়তো ওদের ভালো লাগেনি। আমি আশা ছেড়ে দিয়ে ছিলাম। একসন্ধায় আমার মায়ের ফোনে কল আসে যে আমি ঐ প্রতিযোগীতায় পঞ্চম পুরষ্কার পেয়েছিল। আর এর পরের দিন ঢাকায় যেতে হবে পুরষ্কার নিতে।আমার মা যখন আমাকে বলে যে আমি পুরষ্কার পেয়েছি আমি খুশিতে আত্মহারা হয়েগিয়েছিলাম। কি করবো বুঝতে পারছিলাম না।
তারপর আমরা ঢাকায় যাওয়া জন্য সব কিছু তৈরি করি।ঐ দিন অনেক বৃষ্টি হয়ে ছিলো এবং আমাদের বাসার সামনে অনেক পানি উঠে ছিলো।কোন গাড়ি ছিলো না তখন। অনেক কষ্টে আমার মামা একটা রিকশা পেয়ে ছিল। সেই রিকশায় চরে আমি মা আর মামা বাস স্ট্যান্ড এ গিয়ে ছিলাম।ঐখান থেকে রাত ঢাকার বাস ধরে ঢাকার উদেশ্যে রওনা দিলাম। সকালে ঢাকা গিয়ে পৌঁছালাম। তারপর আমার চাচার বাসা থেকে তৈরি হয়ে আমি সেই প্রতিযোগীতার জায়গায় গেলাম।সেখানে যাওয়ার পর একে একে সবার হাতে পুরষ্কার তুলে দিচ্ছিলো। আমি অপেক্ষা করছিলাম আমার পুরষ্কার কখন দিবে।
অপেক্ষার অবসান ঘটল আমার পুরস্কার পেলাম আমার হাতে। আমি পঞ্চম পুরষ্কার পেয়েছিলাম।৫০ হাজার টাকা যে টাকা আমি ১৮ বছর হওয়ার পর তুলতে পারবো।আমার এতো আনন্দ হচ্ছিল বলার বাহিরে জীবনে প্রথম বার নিজের যোগ্যতায় এতো বড় পুরষ্কার। যাই হোক পুরষ্কার দেওয়া পর্যায় শেষ হলো। তারপর খাওয়া দাওয়া হলো।খাওয়া দাওয়া শেষে সবাই যার যার গন্তব্য স্থলে রওনা হলো।আমরা চট্টগ্রাম এর উদ্দেশ্য রওনা হলাম।
এই এক অদ্ভুত অনুভূতির যা কাউকে বোঝানো যায় না। নিজে কিছু করার মধ্যে যে কি আনন্দ সেটা বলার ভাষা নেয়। আমাদের সবার উচিত ছোট বেলা থেকে বাচ্চা নিজে কাজ করতে সেখানো। সেই কাজ টা পারফেক্ট না হক তাও বাচ্চাদের আত্মবিশ্বাস বারবে। আবার সে কাজে যদি সে সফল না হয় তাকে কটুকথা শোনানো যাবে তাকে উৎসাহ দিতে হবে যাতে সে পরের বার আরো ভালো ভাবে কাজ করতে পারে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমার অভিজ্ঞতা পড়ার জন্য। আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যাতে আরো ভালো কাজ করতে পারি। আর সৃজনশীল হয়ে উঠতে পারি।
মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে প্রথমে একজন সৎ আদর্শ ব্যক্তিত্ব অর্জন করতে হবে ।যেটা প্রত্যেক মানুষের কর্তব্য নিজের সততার পরিচয় দেওয়া ।আপনার মায়ের এক কথায় আপনি প্রতিযোগিতায় একটা অবস্থান পেয়েছেন। যেটা আপনার জন্য অনেক বড় পাওয়া অনেক ভাল লাগল পড়ে।
আপনার পোস্ট খুবই সুন্দর হয়েছে, আপনার প্রতিটা লেখা আমি পড়েছি, প্রতিটি লাইনে মায়া আর ভালবাসা জড়িয়ে আছে।
তবে লিখাতে কিছুটা ভুল আছে এডিট করে সংশোধন করে নিবেন। আর আমাদের ১০ %বেনেফিশিয়ারি দেয়ার সাথে সাথে ৫ % বেনিফিশিয়ারি ও দিতে হবে abb school কে।
আশাকরি পরবর্তী পোস্টে ভুল হবে না। ধন্যবাদ আপনাকে।