♥ ঈদ আনন্দ ♥ ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁকের জন্য।
"আমার ঈদ আনন্দ"
♥♥
বন্ধুরা সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি। ঈদ মানেই আনন্দ ঈদ মানে খুশি ঈদ মানে খুশির জোয়ার।একেক জন একেক ভাবে ঈদের আনন্দ উপভোগ করে।একেকজনের ঈদের আনন্দ একেক রকম।তবে আমি এবার আমার ঈদ আনন্দের কিছু মুহুর্ত শেয়ার করব।চলুন তবে প্রথমেই ঈদের দিনে যাওয়া যাক।
ঈদের দিন-
ঈদের দিন খুব সকালবেলা উঠে নিজের ঘরটি ভাল করে গুছিয়ে নিয়ে রান্না ঘরে প্রবেশ করলাম।প্রথমেই সেমাই রান্না করলাম।এরপর সিয়াম,, শিপুকে ঘুম থেকে ডেকে তুললাম।তারা কিছুতেই ঘুম থেকে উঠতে চাই ছিলনা।নানা রকম করে বাহানা করে ডেকে তুললাম।ওরা গোসলে গেলে আমি রান্নাঘরে নুডুলস রান্না করে নিলাম।কারণ ওদের দুই ভাইয়ের নুডুলস খুব প্রিয়।গোসল করে সিয়াম নিজে নিজে রেডি হয়ে গেল।শিপুকে পাঞ্জাবি পরিয়ে দিলাম। মাথা মুছে দিলাম। চিরুনি করে দিলাম।এবার দুই ভাইয়ের চোখে সুরমা লাগিয়ে দিলাম।টুপি পরিয়ে দিলাম আতর লাগিয়ে দিলাম।এবার খাবার টেবিলে তাদের জন্য নাস্তা রেডি।প্রথমেই তারা খেজুর এবং সেমাই খেয়ে জায়নামাজ হাতে নিয়ে নামাজে যাওয়ার জন্য ঈদগা মাঠে গেল।
এই ফাঁকে আমি ঘরদোর সুন্দর করে গুছিয়ে ঝাড়ু দিয়ে এরপরে রান্নার কাজে অংশগ্রহণ করি।পোলাও মাংস ভাজি সালাত সবকিছু রান্না করে নেই।ঈদের দিন প্রতিটি কাজ আমি খুব আনন্দ সহকারে করছিলাম।আর মনে মনে বাবার কথাই ভাবছিলাম।এরা নামাজ পরে এলে তাদের নতুন সেমাই কেটে দিলাম।এবার তারা যার যার মতো নানু বাড়ি মামা বাড়ি বেড়াতে গেল।আমি গোসল করে নামাজ পড়ে নিলাম।সকলের জন্য দোয়া করলাম।অনেকদিনের পুরনো একটি নতুনের মত জামা ছিলো সেটি পড়লাম।হালকা একটু সেজেগুজে নিলাম।কারণ আমি পরিপাটি থাকতে বেশ পছন্দ করি।এক এক করে ভাস্তা ভাস্তিরা সবাই আসতে লাগল। সবাইকে নাস্তা এবং ঈদের সালামি দিলাম। সাথে একটু মজা করলাম।
ঈদের ভিতরে কি বেশ নির্জনতার কাটলো কারন বাসায় একা ছিলাম।তবে সন্ধ্যার পরের সময়টা অনেক ভালো লাগছিল।আমার বাংলা ব্লগ আড্ডাঘরে।দারুণ জমিয়ে আড্ডা দিয়েছিলাম।এরপর দাদার কাছ থেকে সালামি পেয়ে আরো বেশি খুশি হয়েছিলাম।
ঈদের পরদিন-
আমার বড় বোনের বাসায় দাওয়াত।আমার বড় বোন ভাগ্নি সবাইকে দাওয়াত দিয়েছে।আমার সব ভাই ভাবি গুলোকে।আমার বাড়ি থেকে খুব বেশি দূরে না অনেক কাছেই।তাই সিয়ামকে বললাম আজকে রিক্সা নেবো না হেঁটে হেঁটে যাবো।ওদের বসার জন্য সেভেনআপ আইসক্রিম নিলাম।এবং আমরা এক বাটি আইসক্রিম খেতে খেতে যাচ্ছিলাম।এমন সময় একটা সেলফি তুললাম।
এরপর বোনের বাসায় গেলাম।শ্যামা আমার ছোট ভাগ্নি।ওরা সবাই মেহেদি হাতে পড়েছে।কিন্তু আমি প্রায়ই অনেক বছর ধরেই মেহেদি হাতে পরিনা।তাই শ্যামা এসে বলল আন্টি চলো তোমার হাতে মেহেদি লাগিয়ে দেই।ও খুব সুন্দর করে আমার হাতে মেহেদি লাগিয়ে দিল।
দুপুরবেলা খাওয়া-দাওয়া শেষ করে সবাই মিলে ছাদে গিয়ে সেলফি তোলার ধুম লেগে যায়।সিয়াম শিপু এবং ভাগনে জামাই একই রঙের গেঞ্জি কিনে ছিল।সেই গেঞ্জি গুলো কি তিন জনে পড়ে সেলফি তুললো।
এখানে আমার বড় ভাইয়ের মেয়ে রাদিয়া এবং ছোট ভাইয়ের ছেলে রুহানি।
সেখানে আরো অনেক মজা কবে রাতে বাসায় ফিরেছি।
ঈদের তৃতীয় দিন-
বাসা থেকে সিয়াম শিপু এবং আমি বের হই। আমাদের এখানে বড় মাঠে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। আমরা মাঠে যাওয়ার পর আমার বড় বোনের বড় মেয়ে অর্থাৎ বড়ভাগ্নি এবং ওর জামাই ও ছেলে মাঠে এসে হাজির।ওরা গ্রাম থেকে সরাসরি মাঠে এসেছে।মাঠে বসে আমরা অনেক কিছু খেয়েছি।আলুর পাপড় আইসক্রিম ঝাল মুড়ি।এবং সবশেষে ফুচকা খেয়েছি খুব মজা করে। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে ফুচকার দাম 4 গুণ বেড়ে গিয়েছে।
বন্ধুরা কক্সবাজারে ঈদ আনন্দ পেয়েছি এবং এই আনন্দে কিছুটা অংশ আপনাদের সঙ্গে হাত ধরে লক্ষ্য করে আমার অনেক বেশি ভালো লাগছে সবাই ভাল থাকবেন সুন্দর থাকবেন ঈদের দিনের মতোই প্রতিটি দিন হোক সবার হাস্যজ্জল।এই প্রত্যাশায় আজকের মত এখানেই।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
বেশি কিছু বলব না শুধু একটা কথাই বলবো, আপনার জীবনের প্রত্যেকটা দিন যেন ঈদের দিনের মত হয় এবং ছেলেদের নিয়ে যেন সুস্থ শরীরে খুব সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করতে পারেন সেই দোয়া করব।
বাহ! এত সুন্দর মন্তব্য পড়ে মনটা ভরে গেল। সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।এভাবেই পাশে থাকবেন সবসময় প্রত্যাশা রাখছি।♥♥
আপু আপনি খুব সুন্দর ভাবে ঈদের দিন থেকে তৃতীয় দিন পর্যন্ত সবকিছু ধাপে ধাপে দেখিয়েছেন। আপনারেই তো অনেক সুন্দর কেটেছে আপনি ঈদের দিন থেকে শেষ পর্যন্ত যতগুলো ছবি দিয়েছেন আপনাকে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছিলো। আসলে পরিপাটি থাকলে মানুষকে অনেক ভালোই লাগে। ঈদের দিন রান্না-বান্না থেকে শুরু করে শেষ অব্দি হাতে মেহেদি দেওয়া পর্যন্ত সব অনেক ভালো লেগেছে পড়ে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য।
ঈদের দিনের মতো হাসি খুশি প্রতিটা দিন সবার জীবনে আসুক এটাই মনে প্রাণে মহান বিধাতার কাছে চাই।। আপনি ও সব সময় এমন হাসিখুশি থাকুন এটাই চাওয়া। ভাল থাকবেন শুভকামনা।♥♥
আপু ঈদ উপলক্ষে আপনি যে দারুণ সময় পার করেছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা ঈদের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনি কর্ম ব্যস্ত হয়ে পড়েন এমনকি আমরা সবাই ঈদের দিনে সকাল থেকে কর্ম ব্যস্ত হয়ে পড়ে যাই। কিন্তু পরবর্তীতে আপনি দারুন দারুন সময় অতিবাহিত করেছেন। সিয়াম ভাইকে নিয়ে আপনি আপনার আত্মীয়র বাড়িতে ঘুরতে গেছেন সেখান থেকে পার্কে কি সুন্দর সময় না আপনি কাটিয়েছেন!!, আপনাকে এবং সবাইকে ছবিতে দারুন লাগছে কত আনন্দঘন মুহূর্ত। সেই মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে জানাই ধন্যবাদ। ভালোবাসা নিবেন আপু।
সত্যিই ঈদের দিন থেকে আজ পর্যন্ত প্রতিটি সময় খুবই ভালো কাটছে। খুবই হাসি খুশি এবং প্রাণবন্ত যাচ্ছে। এমন দিন সবার জীবনে আসুক প্রতিদিন, বারবার,অন্তহীন শুভকামনা সবার জন্য♥♥
ছবিতে সিয়াম ভাই শিপু ভাই এবং আপনাকে দেখতে বেশ চমৎকার দেখাচ্ছে। হাতে মেহেদি দেওয়ার মুহূর্ত টা দারুন ছিল ঈদের দিন টা অনেক সুন্দর ভাবে উপভোগ করেছেন আপু ।আপনার জন্য দোয়া করি আপনার প্রতিটি দিন যেন এভাবেই অতিবাহিত হয়। সবাইকে আমার পক্ষ থেকে ঈদ মোবারক এবং শুভেচ্ছা।
অনেক বছর পর এবার মেহেদী লাগিয়েছেি হাতে।মেহেদিরাঙা নিজের হাত দেখতেও বেশ ভালো লাগছে।মনে হচ্ছে সব সময় এভাবে হাতটি রাঙ্গিয়ে রাখি।♥♥
ভীষণ চমৎকার ঈদ উদযাপন করেছেন বলতেই হবে। সবাই মিলে বেশ একসাথে আনন্দ করেছেন এবং বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেরিয়েছেন দেখে সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো। আমাদের এদিকটাতে বৃষ্টির কারণে আমাদের ঈদ মোটামুটি ঘরের ভিতরেই পালন করতে হয়েছে। আপনাদের পুরো পরিবারের জন্য অনেক দোয়া রইল সবাই সুস্থ থাকুন আর সুন্দর জীবনযাপন করুন।
ঈদের শুরু থেকে তিনদিন পর্যন্ত তার অনেক দারুন সময় কাটিয়েছেন দেখছি। ছেলেদের সাথে খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। এমনকি যতগুলো ছবি দিয়েছেন আমার কাছে ছবিগুলো দেখে বেশ ভালো লেগেছে। বিশেষ করে আপনাদের মা ছেলের ছবি অনেক সুন্দর লেগেছে। তাছাড়া ওরা একই কালারের গেঞ্জি পরেছে দেখে ভালো লাগলো। তাছাড়া আপনার হাতে মেহেদি পড়িয়ে গিয়েছো দেখে ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর ডিজাইন করেছে মেহেদির। সবমিলিয়ে দারুন একটি পোস্ট উপহার দিলেন।
বাহ আপনি খুব সুন্দর ভাবে ঈদের দিন থেকে ঈদের তৃতীয় দিন পর্যন্ত ভালো সময় কাটিয়েছেন। সবাইকে নিয়ে হাসি আনন্দে ঈদ উদযাপন করেছেন। ছবিগুলো তো আপনাদের সবাইকে বেশ ভালো লাগছিল। তবে আপনাকে দেখে আরো বেশি ভালো লাগছে। খুব সুন্দর হয়েছে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। শেষের ছবিতে তো মনে হচ্ছিল খালেদা জিয়া বসে আছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু শুধু সুন্দর ছবিগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আপনি খুব সুন্দর করে ঈদের দিন ঈদের পরের দিন ঈদের তৃতীয় দিন কাটছেন। আপনার যেন প্রতিটি মুহূর্ত প্রতিটি দিন প্রতিটি সময় এভাবেই যেন হাসিমুখে পার হয়। আপনি খুব দারুণ করে আপনার আনন্দের দিনগুলো। আমাদের মাঝে সাজিয়ে সাজিয়ে তুলে ধরেছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আর আপনার জন্য দোয়া রইল আপনার সারাটি জীবন এভাবেই কাটুক। ❤️❤️❤️
ঈদ আনন্দ খুবই সুন্দর ভাবে উদযাপন করেছেন, বিশেষ করে পরিবারের সকলের সাথে খুবই আনন্দময় সময় পার করেছেন। খুবই ভালো লাগলো। প্রত্যেকটা দিনের ঘটনা সুন্দর ভাবে আলোচনা করেছেন, আপনাদের জন্য রইল শুভকামনা।
ঈদের দিন একটু ব্যস্ত থাকলেও পুরো তিন দিন অনেক মজা করেছেন মনে হচ্ছে।
পরিবার, আত্মীয় স্বজন সবাইকে নিয়েই ঈদ এর আসল আনন্দ থাকে। আর আপনি সেটিই করেছেন। আপনার ঈদ এর আনন্দের মূহুর্ত গুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনাকে ধন্যবাদ আপনার আনন্দঘন মূহুর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনাদের জন্য শুভ কামনা রইলো।