মালয়েশিয়ার টুইন টাওয়ার ঘুরতে যাওয়া = প্রথম পর্ব।
ঘোরাফেরা করতে কার না ভালো লাগে আমার তো সব সময় মন চাই। কোথাও থেকে ঘুরে আসতে পারলে ভালো লাগতো। তবে ব্যস্ত জীবনে বাহিরে বের হওয়া বললেই বের হতে পারি না। অবশ্যই টাকা-পয়সা নিয়ে সমস্যা থাকে না সমস্যা থাকে সময় নিয়ে। তার পাশাপাশি একা একা তো কোথাও যাওয়া সম্ভব না। আসলে যাওয়ার সাথী না হলে কি আর কোথাও গিয়ে শান্তি মতো ঘুরে ফিরে চলতে পারি।
যেতে তো মন চায় অনেক দূরে যেখানে গিয়ে হারিয়ে যাবো যেখানে গিয়ে শান্তি খুঁজে পাবো। মাঝে মাঝে ভালো লাগেনা এই ব্যস্ত জীবন হা হা খা খা জীবন। তবুও কিছু করার নেই কারণ জীবনে তো টাকা ছাড়া কেউ চিনবে না আমারে। টাকার পাশা পাশি ঘুরে ফিরে আনন্দ নেওয়াটাও অনেক জরুরী।
যাই হোক কালকে আমরা গিয়েছিলাম K L C C কালকের পোস্টটি পড়ে অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন। তবে সেখানে গিয়ে কি কি আনন্দ করেছিলাম এবং কি কি উপভোগ করেছিলাম। সবকিছু তো আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারি নাই। কারণ কালকে পোস্টটি লিখে ছিলাম অনেক ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে। আমি ছিলাম কালকে ভাইয়ের বন্ধুর বাসায়। যার জন্য আনন্দ উপভোগ করতে করতে লেখাটাও ঠিক ভাবে লিখতে পারি নাই।
আজকে চলে আসলাম আপনাদের মাঝে পর্ব নিয়ে। কারণ এক দিনে তো এতোটা সময় বা এখানে যা যা আছে সবকিছু শেয়ার করে দিতে পারি না। কারণ সেখানে তো উপভোগ করার মতো অনেক কিছু আছে মানুষ হাজার হাজার টাকা খরচ করে সেখানে যাচ্ছে এই K L C C উপভোগ করতে। অবশ্যই সেখানে সব দেশের মানুষ আছে তবে এটা কিন্তু বাহিরের দেশের মানুষের জন্য। তারা এটা উপভোগ করতে এবং বিজনেস করতে মালয়েশিয়াতে আসে।
কালকে ও বলেছিলাম এটা আমাদের জন্য না তবুও আমরা তো বাঙালি এসব বাধা কি আর মানি। কয়জন শুনে এই নিয়ম গুলো মেনে চলে তা আমার জানা নেই। কিন্তু সত্যি কথা বলতে সেখানে উপভোগ করার মতো অনেক কিছু আছে। এবং এই দৃশ্যটা সব চেয়ে বেশি ভালো লাগে রাতে উপভোগ করতে পারলে। তবে ওই যে ব্যস্ত বা কাজের চাপ অল্প সময়ের মধ্য বিভিন্ন জায়গায় যেতে হবে। সেই সূত্রে সবকিছু সময়ের মধ্য মিটিয়ে চলে আসতে হয় আমাদের।
যাইহোক আমি মালয়েশিয়াতে আসার পর পরে ভেবে ছিলাম জীবনে এক বার হলেও টুইন টাওয়ার দেখব। তার সামনে গিয়ে সুন্দর করে ছবি তুলে সব বন্ধুদের কে দেখাবো। কারণ শুধু নিজে উপভোগ করেছি অন্য বন্ধুদের ছবি দেখেছি বাস্তবে তো আর দেখতে পারি নাই। ইচ্ছা আমার অনেক ছিলো যেটা আমি কালকে পূরণ করতে পেরেছি। এবং এটা তো আপনারা সবাই জানেন নিজের কোন ইচ্ছা পূরণ করার মজাই কিন্তু আলাদা।
সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম শুধু মানুষ আর মানুষ অবশ্যই আমাদের ধারণার বাইরে ছিলো। তার পাশাপাশি ফেসবুকে আর tik tok এ খবর দিয়ে দিয়েছে। সেখানে নাকি পুলিশে গিয়ে অপরাছি দিবে। সেই ভয়তে তো কালকে অনেক মানুষ সেখানে যেতে পারে নাই। যাইহোক বন্ধুরা অবশ্যই K L C C ঘরে কিন্তু আমি অনেক মজা পেয়েছি। এবং কালকে আবারো শেয়ার করবো সেখানে গিয়ে কতটা আনন্দ আমি উপভোগ করেছি। আজকের মতো এখানে শেষ করলাম এবং প্রথম পর্বে শুধু কিছু ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
My Twitter share
মালয়েশিয়ায় আপনারা টুইন টাওয়ারে ঘুরতে গিয়েছেন যেটা জানতে পেরে ভালো লাগলো আসলে প্রবাসীরা একটু শান্তি খুঁজে যেখানে গেলে তারা একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারবে কোন চিন্তা থাকবে না কোন ভাবনা থাকবে না তবে প্রবাস জীবনে শান্তি পাওয়াটা অনেক কষ্টকর তবে আপনারা টুইন টাওয়ারে গিয়ে অনেক বেশি আনন্দ করেছেন যেটা দেখে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।