কেনো জানি আজ কয়েক দিন ধরে রেসিপি লিখতে ভালো লাগছে,, সাধারণত আমি রেসিপি লিখি না তবে আজ ২-৩ দিন ধরে লিখতে মন চাইছে,, আজকে ও নতুন একটি রেসিপি নিয়ে আপনাদের মাঝে চলে এসেছি,, আশা করি আজকের রেসিপিটা আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। |
আজকের রেসিপি পল্টি মুরগির মাংস ও আলু দিয়ে রান্নার রেসিপি,, পল্টি মুরগির মাংস অনেকেই পছন্দ করে আবার অনেকেই পছন্দ করে না,, তবে আমার কাছে মুরগির মাংস খেতে ভালোই লাগে,, তবে জায়গা পরিবর্তন করার জন্য অনেক দিন ধরে মুরগির মাংস খাওয়া হয় না,, তাই আজকে মাংস রান্না করেছিলাম যেটা আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি।

মুরগির মাংস রান্না করার জন্য আমার যে সকল জিনিসের প্রয়োজন ছিলো তার কিছু তালিকা রইলো আপনাদের মাঝে।
 | একটি মুরগি পরিষ্কার করার পরে হয়েছিল হয়তো বা ১ কেজি ৫০০ গ্রাম। |
৪ টি আলু যে গুলো মাঝ থেকে কেটে রেখে ছিলাম। |  |
 | ৪ টি পিঁয়াজ কচি কচি করে কাটা হয়েছিল। |
২ টি বড়ো রশুন কচি কচি করে কাটা। |  |
 | এবং চোখের মাপে কিছু কাঁচা মরিচ যে গুলো মাঝ থেকে কাটা হয়েছে। |
অল্প আদা বাটা। |  |
 | হলুদের গুঁড়া। |
স্বাদ মতো লবণ। |  |
 | জিরার গুঁড়া। |
শুকনা মরিচের গুঁড়া এবং মাংসের মশলার গোঁড়া। |  |
 | এবং চার পাঁচ পিস তেজ পাতা অল্প কিছু ডাল মসলা এলাচ ফল। |
পরিমাণ মতো তেল। |  |
এটা ছিলো এই রেসিপির জন্য আমার প্রয়োজনীয় জিনিস যে গুলো রান্নার জন্য আমাদের অনেক প্রয়োজন। এবং এই রান্নাটি শুরু হয় আমার একটু ভিন্ন ভাবে। সাধারণত আমরা অনেকেই অনেক ভাবে রান্না করি। তবে আমার রান্নাটি আমি একটু অন্যভাবে করেছিলাম। যাইহোক শুরু করা যাক ধাপে ধাপে কি ভাবে রান্নাটি শেষ করি আমি।

প্রথম ধাপ। |
- আমি একটি পাতিলে মাংস এবং অল্প কিছু পানির সাথে লবণ এবং অল্প একটু হলুদের গুঁড়া দিয়েছি। এই পাতিল টি এখন চুলার উপরে বসিয়ে পাঁচ থেকে ছয় মিনিট অপেক্ষা করেছি। কারণ পল্টির মাংস রান্না করতে গেলে অনেক সময় আমাদের সেটা ভেঙে যায়। লবণ এবং হলুদের গুঁড়া এটা শক্ত করে নিয়ে আসে। এবং মাংস চামচ দিয়ে নাড়াতে আমাদের সুবিধা হয় তাতে মাংস ভেঙে যায় না। তাই এই পদ্ধতিটা আমি আমার মতো করে নিয়ে ছিলাম।
পানি থেকে বের করার পরে। |

দ্বিতীয় ধাপ।  |
- আমি একটি পাতিলে আমার যতটুকু তেল প্রয়োজন ছিলো ততটুকু তেল দিয়ে গরম হওয়ার অপেক্ষা করছিলাম। আমি যখন বুঝতে পারলাম তেল গরম হয়ে গিয়েছে তখন আমার যে জিনিস গুলো কাটা ছিলো। ঝাল পেঁয়াজ রসুন সব কিছু সেখানে দিয়ে দিলাম। আমি অপেক্ষা করেছিলাম হালকা লাল লাল হয়ে আসলে মাংস দিয়ে দেবো।

তৃতীয় ধাপ। |
- আমি বুঝতে পারলাম এখন আমার মাংস দেওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে। তাই আমি মাংস দিয়ে কিছু সময় ঢেকে রাখলাম। এবং এখানে হলুদ এবং লবণ না দিয়ে বেশ কিছু সময় আমি এটাকে ভাজার মতো তৈরি করে নিয়েছি। যাতে মাংস টি অনেক শক্ত এবং ভালো থাকে। তাই আমি কিছু সময় অপেক্ষা করছিলাম মাংসের গায়ে লাল লাল হয়ে আসা পর্যন্ত।

চতুর্থ ধাপ। |
- আমি যখন বুঝতে পারলাম মাংস এখন লাল হয়ে এসেছে তখন। আলু হলুদ এবং সাদ মতো লবণ পাশাপাশি ঝালের গুঁড়া মাংসের গুঁড়া আদা এবং আমার যে তেজ পাতা ইলাচ ফল যা ছিলো সব কিছু দিয়ে চামচ দিয়ে নাড়াতে লেগেছিলাম। এক কথা বলতে আমি কষিয়ে রান্না করেছিলাম যতো সময় আমার মন না ভরেছে। প্রায় ২০-২৫ মিনিট আমি এই ভাবে জাল দিতে লেগেছিলাম।

পঞ্চম ধাপ।  |
- আমি প্রায় 20-25 মিনিট পরেই বুঝতে পারলাম এখন আমার পানি দেওয়ার মতো সময় হয়ে এসেছে। তাই দেরি না করে আমাদের একটি মগ আছে সেখান থেকে দুই মগ পানি নিয়ে সেখানে দিয়ে দিলাম। অবশ্যই পানি দেওয়ার ইচ্ছা ছিলো না মনে করেছিলাম পানি না দিয়ে শুধু কষিয়ে মাংস খাবো। যাই হোক আমি অপেক্ষা করতে লাগলাম কখন পানি কমে যাবে।

শেষ ধাপ। |
- যখন বুঝতে পারলাম মাংস রান্না শেষের পথে তখন আমি জিরার গুড়া উপরে ছড়িয়ে দিয়ে ছিলাম। এবং আরো দু পাঁচ মিনিট চুলার উপরে জাল দিতে লাগলাম। এবং লবণ দেখে আমি রান্নাটি শেষ করে দিয়েছিলাম। যাই হোক এই ভাবে আপনারা কয় জন রান্না করেছেন আমার জানা নেই। তবে আমার এই রান্নাটি খেতে আমার কাছে এবং আমরা যারা এক সাথে আছি তাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
আমি আশা করি আপনারা এই রান্নার রেসিপিটা উপভোগ করেছেন । সবাই ভালো এবং সুস্থ থাকবেন এবং আমার জন্য দোয়া রাখবেন। এবং সামনে আরো ভালো কিছু আপনাদের মাঝে নিয়ে আসতে পারি এই প্রার্থনা করে আজকের মতো আমি এখান থেকে বিদায় নিলাম সবাই ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।


ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।
@baizid123
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মুরগির মাংস আমরা কম বেশি সবাই খেয়ে থাকি এবং অনেক সুন্দর করে আলু দিয়ে রান্না করে থাকে তবে আপনারা দেখছি অনেক ঝোল রেখেছেন যেটা আমি অনেক কম পছন্দ করে ঝোল তরকারি আমার খুবই কম পছন্দ হয় আমি যখন গরুর মাংস দিয়ে আলু দিয়ে রান্না করি তখন ঝোল রাখলে খেতে ভালো লাগে তবে মুরগির মাংসের মধ্যে ঝোল একেবারেই রাখি না যাই হোক অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মুরগির রন্ধন প্রণালী আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন।
আসলে মানুষ হিসেবে ঝোল রাখতে হয়েছে ঝোল রাখার ইচ্ছা আমার ছিলো না। এবং আমরা তিন জন খাওয়া দাওয়া করতাম কিন্তু গতকালকে আমরা ছয় জন এক সাথে খাওয়া দাওয়া করেছি। যার জন্য আমাদের একটু ঝোল রাখতে হয়েছিল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
এমনিতেও পুরুষ মানুষ তরকারির মধ্যে ঝোল খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে এটা আমি জানি কেননা আমার হাজব্যান্ড হয় আমার শ্বশুর খায় তবে আমার কাছে মুরগির মধ্যে ঝোলটা খুব কম রাখে ভালো হয়ে থাকে তবে আপনারা যেহেতু মানুষ অনেক ছিলেন তাই বলবে তো যেটা জানতে পেরে আসলে বিষয়টা আমার কাছে ক্লিয়ার হল আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কে বলছে আমাদের বাইজিদ ভাই রান্না করতে পারে না কত সুন্দরভাবে রান্না করেছে দেখে শুধু খেতে ইচ্ছে করছে।। আমাদের ভাবি অনেক ভাগ্যবান হবে যে আমাদের বাইজিদ ভাইয়ের মত একজন মানুষ পাবে যে কিনা খুব সুন্দর ভাবে রান্না করতে পারে।।
অনেক ভালো লাগলো ভাই এত সুন্দরভাবে একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।।
এই ভাবে কাউকে বলতে নাই শরম করে অনেক । আসলে ভাই আমি ভালো রান্না করতে পারি না। যতটুকু শিখেছি এখানে এসেই শিখেছি। এবং নিজে রান্না করতে পারি বলে বউকে রান্না করে খাওয়াতে হবে এমন কোন কথা না। আমারও তো ইচ্ছা করে তার হাতের রান্না খেতে যেমন আপনার অনেক ইচ্ছা করে আমাদের ভাবির হাতে খাওয়া দাওয়া করতে।